নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নারীনেত্রী হওয়ার কারণেই বারবার জঙ্গিদের এমন হত্যাচেষ্টার মুখে পড়তে হয়েছে শেখ হাসিনাকে। সমাবেশস্থলে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পেতে রেখে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায়ে এই মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
এই মামলায় আজ সোমবার হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এই রায় প্রকাশ করা হয়েছে। শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার এই মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিলেন। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান রায়ে স্বাক্ষর করেন। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিচারপতিদ্বয় সংক্ষিপ্ত রায় দিয়েছিলেন।
রায়ে বলা হয়, ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গিরা বারবার নারীনেত্রী শেখ হাসিনার ওপর হামলা করে।
রায়ে আরও বলা হয়, হামলার আগে আসামিরা ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি মাদ্রাসায় সভা করে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পেতে রাখা হয়। বোমাটির বিস্ফোরণ হয়নি। কিন্তু যদি বিস্ফোরিত হতো তাহলে শুধু শেখ হাসিনা নন, আরও অনেকের প্রাণহানি ঘটতো। এলাকার ঘরবাড়ি পর্যন্ত লন্ডভন্ড হয়ে যেতো।
রায়ে আরও বলা হয়, মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ ও বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী এই মামলায় উদ্ধারকৃত বোমা দুটি বিশেষ কায়দায় বিশেষ বিস্ফোরক দ্বারা তৈরি হয়েছে। এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে মারাত্মকভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বোমা বিস্ফোরিত হলে সাড়ে ৯ ফুট মাটির গভীরে ও ৩৪ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত ওই এলাকায় কিছুই থাকত না, সব ধ্বংস হয়ে যেত।
১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন ও একজনের ১৪ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে দেওয়া এই রায়ে নিম্ন আদালতে ১৪ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সরোয়ার হোসেন মিয়াকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা আসামিরা হলেন–ওয়াসিম আখতার ওরফে তারেক হোসেন ওরফে মারফত আলী, মো. রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম ওরফে শিমন খান, মো. ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন ওরফে মোসাহাব মোড়ল, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বক্কর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই ও মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে আবু ওমর।
এ ছাড়া মেহেদি হাসান ওরফে গাজী খান ওরফে আবদুল ওয়াদুদকে যাবজ্জীবন এবং আনিসুল ওরফে আনিস ও মো. মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমানকে দেওয়া ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। তবে কারাবন্দী এই দুজনের এরই মধ্যে সাজাভোগ করা হয়ে গেলে তাঁদের কারাগার থেকে মুক্তি দিতে বলা হয়েছে। আর নিম্ন আদালতে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সরোয়ার হোসেন মিয়াকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
হরকাতুল জেহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান মামলাটিতে মূল আসামি ছিলেন। কিন্তু অন্য মামলায় এই জঙ্গি নেতার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এই মামলা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়।
২০০০ সালের ২১ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজের মাঠে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশস্থলের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কোটালিপাড়া থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করা হয়।
২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর মুফতি হান্নানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়। আদালতে সাক্ষ্য দেন ৩৪ জন। ২০০৯ সালের জুনে অধিকতর তদন্ত করে আরও নয়জনকে অভিযুক্ত হিসেবে যুক্ত করে সম্পূরক চার্জশিট দেওয়া হয়। তখন মামলাটি পাঠানো হয় ঢাকা-২ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। সেই ট্রাইব্যুনালে ২০১৭ সালের ২০শে আগস্ট বিচার শেষ করে রায় দেওয়া হয়।
নারীনেত্রী হওয়ার কারণেই বারবার জঙ্গিদের এমন হত্যাচেষ্টার মুখে পড়তে হয়েছে শেখ হাসিনাকে। সমাবেশস্থলে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পেতে রেখে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায়ে এই মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
এই মামলায় আজ সোমবার হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এই রায় প্রকাশ করা হয়েছে। শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার এই মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিলেন। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান রায়ে স্বাক্ষর করেন। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিচারপতিদ্বয় সংক্ষিপ্ত রায় দিয়েছিলেন।
রায়ে বলা হয়, ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গিরা বারবার নারীনেত্রী শেখ হাসিনার ওপর হামলা করে।
রায়ে আরও বলা হয়, হামলার আগে আসামিরা ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি মাদ্রাসায় সভা করে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পেতে রাখা হয়। বোমাটির বিস্ফোরণ হয়নি। কিন্তু যদি বিস্ফোরিত হতো তাহলে শুধু শেখ হাসিনা নন, আরও অনেকের প্রাণহানি ঘটতো। এলাকার ঘরবাড়ি পর্যন্ত লন্ডভন্ড হয়ে যেতো।
রায়ে আরও বলা হয়, মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ ও বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী এই মামলায় উদ্ধারকৃত বোমা দুটি বিশেষ কায়দায় বিশেষ বিস্ফোরক দ্বারা তৈরি হয়েছে। এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে মারাত্মকভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বোমা বিস্ফোরিত হলে সাড়ে ৯ ফুট মাটির গভীরে ও ৩৪ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত ওই এলাকায় কিছুই থাকত না, সব ধ্বংস হয়ে যেত।
১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন ও একজনের ১৪ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে দেওয়া এই রায়ে নিম্ন আদালতে ১৪ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সরোয়ার হোসেন মিয়াকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা আসামিরা হলেন–ওয়াসিম আখতার ওরফে তারেক হোসেন ওরফে মারফত আলী, মো. রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম ওরফে শিমন খান, মো. ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন ওরফে মোসাহাব মোড়ল, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বক্কর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই ও মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে আবু ওমর।
এ ছাড়া মেহেদি হাসান ওরফে গাজী খান ওরফে আবদুল ওয়াদুদকে যাবজ্জীবন এবং আনিসুল ওরফে আনিস ও মো. মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমানকে দেওয়া ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। তবে কারাবন্দী এই দুজনের এরই মধ্যে সাজাভোগ করা হয়ে গেলে তাঁদের কারাগার থেকে মুক্তি দিতে বলা হয়েছে। আর নিম্ন আদালতে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সরোয়ার হোসেন মিয়াকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
হরকাতুল জেহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান মামলাটিতে মূল আসামি ছিলেন। কিন্তু অন্য মামলায় এই জঙ্গি নেতার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এই মামলা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়।
২০০০ সালের ২১ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজের মাঠে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশস্থলের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কোটালিপাড়া থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করা হয়।
২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর মুফতি হান্নানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়। আদালতে সাক্ষ্য দেন ৩৪ জন। ২০০৯ সালের জুনে অধিকতর তদন্ত করে আরও নয়জনকে অভিযুক্ত হিসেবে যুক্ত করে সম্পূরক চার্জশিট দেওয়া হয়। তখন মামলাটি পাঠানো হয় ঢাকা-২ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। সেই ট্রাইব্যুনালে ২০১৭ সালের ২০শে আগস্ট বিচার শেষ করে রায় দেওয়া হয়।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
২৪ দিন আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
২৪ দিন আগেরাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
২৪ দিন আগেবাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
২৪ দিন আগে