নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গণভবনে আজ সোমবার নির্বাচন-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সংসদে বিরোধী দল, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক, বিএনপি এবং বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক চর্চা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
এ সময় এক বিদেশি সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করা নিয়ে জানতে চান। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক চমৎকার। আমাদের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই। আমাদের ভালো সম্পর্ক আছে। এটি নির্ভর করছে আপনার এবং আপনাদের (যুক্তরাষ্ট্র) সরকারের ওপর।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের জনগণ খুবই চমৎকার। তারা আমার কথা শোনে, যদি আমি তাদের কিছু বলি, কোনো অনুরোধ করি। কিছু বিরোধী আছে, এটা খুবই স্বাভাবিক, এটা থাকবেই। আপনারা জানেন, আমি প্রতিশোধপরায়ণ না, আমি কখনো কারও ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করিনি। আমি খুবই খোলা মনের, আমি খুবই উদার।’
বিবিসির সাংবাদিক সামিরা হুসেইন শেখ হাসিনাকে বলেন, ২০১৮ সালের পর আপনি প্রধান বিরোধী দলকে সংলাপে অন্তর্ভুক্ত করেননি। তাদের অনুপস্থিতিতে গতকালকের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। যেখানে ৬০ শতাংশ মানুষ ভোট দেয়নি। আপনার সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সীমিত করেছে—মানবাধিকারকর্মীরা এমন সমালোচনা করছেন। আপনি কি এখনো বিশ্বাস করেন, কোনো বিরোধী দল ছাড়া বাংলাদেশে একটি গতিশীল গণতন্ত্র থাকবে?
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে। যদি কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নেয়, তার মানে এটা বোঝায় না যে সেখানে গণতন্ত্র নেই। আপনাকে বিবেচনা করতে হবে, জনগণ অংশ নিয়েছে কি নেয়নি।’
ওই সাংবাদিকের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি যে দলটির (বিএনপি) কথা বলেছেন, তারা কী করেছে; তারা আগুন দিয়েছে, আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করে। মাত্র কিছুদিন আগে তারা ট্রেনে আগুন দিয়েছিল এবং নারী-শিশুসহ মানুষ হত্যা করেছে। এটা কি গণতন্ত্র? হ্যাঁ, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। কিন্তু যখন সাধারণ মানুষকে হত্যার চেষ্টা করা হয়, শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। আমি জানি না এটি কী রাজনীতি! এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। কারোরই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করা উচিত না। মানুষ এটা গ্রহণ করে না। এটা শুধু একটা ঘটনা নয়। এ ধরনের ঘটনা এ দেশে একাধিকবার ঘটেছে। আমরা ধৈর্য দেখিয়েছি। আমরা মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেছি।’
তিনি বলেন, ‘দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। তারা চেষ্টা করেছে, বাধা দিয়েছে, জনগণ যাতে ভোট দিতে না যায়। কিন্তু জনগণ তাদের কথা শোনেনি। কারণ, আমাদের জনগণ এখন তাদের অধিকার নিয়ে খুবই সচেতন। ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার। গণতন্ত্রের যদি আলাদা কোনো সংজ্ঞা থাকে, সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, এটা জনগণের অধিকার। যখন জনগণ অংশগ্রহণ করে, তারা তাদের সরকারের জন্য ভোট দেয়। সুতরাং জনগণের অংশগ্রহণই মূল বিষয়।’
ভারতের টেলিগ্রাফ পত্রিকার সাংবাদিক দেবাদ্বীপ পুরোহিত বলেন, ‘আপনি যখন গণতন্ত্রের কথা বলছেন, তখন বাংলাদেশে আপনার বিরোধী দলেরও প্রয়োজন হবে। এ ব্যাপারে আপনি কী ভাবছেন?’
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনি কি বলছেন, আমার উচিত একটি বিরোধী দল গঠন করা? আমি তা করতে পারি? আমি নিজেও বিরোধী দলে ছিলাম দীর্ঘ সময়। আমরা আমাদের দলকে সংগঠিত করেছি। সুতরাং বিরোধীদেরও তাদের নিজেদের দলকে সংগঠিত করতে হবে। তারা যদি তা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তার জন্য কে দায়ী? আপনি যদি আমাকে বলেন বিরোধী দলের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সংগঠিত করতে। যদি আপনি চান, আমরা সেটা করতে পারি। কিন্তু সেটা সত্যিকারের বিরোধী দল হবে না।’
বিএনপির নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, একটি দল হয়তো অংশগ্রহণ করেনি। কারণ, তারা কখনোই করতে চায় না। সে দলগুলো মিলিটারি ডিকটেটরের হাতে তৈরি হয়। ফলে তারা নিজেরা চলতে পারে না, নিজেদের জনসমর্থন থাকে না। সেই জন্য নির্বাচনকে ভয় পায়।’
বিজয়কে জনগণের বিজয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ বিজয়টা আমার বিজয় না। আমি মনে করি জনগণের বিজয়।’ বিদেশি সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনটা যে অবাধ, সুষ্ঠু হতে পারে, সেই দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পেরেছি। আপনাদের আগমন আমাদের দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের অধিকারটা আরও সুরক্ষিত হয়েছে। আপনারা নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবেন, বাংলাদেশের কথা বলবেন। আপনাদের আগমন আমাদের গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থাকে আরও মজবুত করবে, শক্তিশালী করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
গণভবনে আজ সোমবার নির্বাচন-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সংসদে বিরোধী দল, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক, বিএনপি এবং বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক চর্চা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
এ সময় এক বিদেশি সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করা নিয়ে জানতে চান। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক চমৎকার। আমাদের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই। আমাদের ভালো সম্পর্ক আছে। এটি নির্ভর করছে আপনার এবং আপনাদের (যুক্তরাষ্ট্র) সরকারের ওপর।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের জনগণ খুবই চমৎকার। তারা আমার কথা শোনে, যদি আমি তাদের কিছু বলি, কোনো অনুরোধ করি। কিছু বিরোধী আছে, এটা খুবই স্বাভাবিক, এটা থাকবেই। আপনারা জানেন, আমি প্রতিশোধপরায়ণ না, আমি কখনো কারও ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করিনি। আমি খুবই খোলা মনের, আমি খুবই উদার।’
বিবিসির সাংবাদিক সামিরা হুসেইন শেখ হাসিনাকে বলেন, ২০১৮ সালের পর আপনি প্রধান বিরোধী দলকে সংলাপে অন্তর্ভুক্ত করেননি। তাদের অনুপস্থিতিতে গতকালকের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। যেখানে ৬০ শতাংশ মানুষ ভোট দেয়নি। আপনার সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সীমিত করেছে—মানবাধিকারকর্মীরা এমন সমালোচনা করছেন। আপনি কি এখনো বিশ্বাস করেন, কোনো বিরোধী দল ছাড়া বাংলাদেশে একটি গতিশীল গণতন্ত্র থাকবে?
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে। যদি কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নেয়, তার মানে এটা বোঝায় না যে সেখানে গণতন্ত্র নেই। আপনাকে বিবেচনা করতে হবে, জনগণ অংশ নিয়েছে কি নেয়নি।’
ওই সাংবাদিকের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি যে দলটির (বিএনপি) কথা বলেছেন, তারা কী করেছে; তারা আগুন দিয়েছে, আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করে। মাত্র কিছুদিন আগে তারা ট্রেনে আগুন দিয়েছিল এবং নারী-শিশুসহ মানুষ হত্যা করেছে। এটা কি গণতন্ত্র? হ্যাঁ, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। কিন্তু যখন সাধারণ মানুষকে হত্যার চেষ্টা করা হয়, শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। আমি জানি না এটি কী রাজনীতি! এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। কারোরই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করা উচিত না। মানুষ এটা গ্রহণ করে না। এটা শুধু একটা ঘটনা নয়। এ ধরনের ঘটনা এ দেশে একাধিকবার ঘটেছে। আমরা ধৈর্য দেখিয়েছি। আমরা মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেছি।’
তিনি বলেন, ‘দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। তারা চেষ্টা করেছে, বাধা দিয়েছে, জনগণ যাতে ভোট দিতে না যায়। কিন্তু জনগণ তাদের কথা শোনেনি। কারণ, আমাদের জনগণ এখন তাদের অধিকার নিয়ে খুবই সচেতন। ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার। গণতন্ত্রের যদি আলাদা কোনো সংজ্ঞা থাকে, সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, এটা জনগণের অধিকার। যখন জনগণ অংশগ্রহণ করে, তারা তাদের সরকারের জন্য ভোট দেয়। সুতরাং জনগণের অংশগ্রহণই মূল বিষয়।’
ভারতের টেলিগ্রাফ পত্রিকার সাংবাদিক দেবাদ্বীপ পুরোহিত বলেন, ‘আপনি যখন গণতন্ত্রের কথা বলছেন, তখন বাংলাদেশে আপনার বিরোধী দলেরও প্রয়োজন হবে। এ ব্যাপারে আপনি কী ভাবছেন?’
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনি কি বলছেন, আমার উচিত একটি বিরোধী দল গঠন করা? আমি তা করতে পারি? আমি নিজেও বিরোধী দলে ছিলাম দীর্ঘ সময়। আমরা আমাদের দলকে সংগঠিত করেছি। সুতরাং বিরোধীদেরও তাদের নিজেদের দলকে সংগঠিত করতে হবে। তারা যদি তা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তার জন্য কে দায়ী? আপনি যদি আমাকে বলেন বিরোধী দলের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সংগঠিত করতে। যদি আপনি চান, আমরা সেটা করতে পারি। কিন্তু সেটা সত্যিকারের বিরোধী দল হবে না।’
বিএনপির নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, একটি দল হয়তো অংশগ্রহণ করেনি। কারণ, তারা কখনোই করতে চায় না। সে দলগুলো মিলিটারি ডিকটেটরের হাতে তৈরি হয়। ফলে তারা নিজেরা চলতে পারে না, নিজেদের জনসমর্থন থাকে না। সেই জন্য নির্বাচনকে ভয় পায়।’
বিজয়কে জনগণের বিজয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ বিজয়টা আমার বিজয় না। আমি মনে করি জনগণের বিজয়।’ বিদেশি সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনটা যে অবাধ, সুষ্ঠু হতে পারে, সেই দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পেরেছি। আপনাদের আগমন আমাদের দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের অধিকারটা আরও সুরক্ষিত হয়েছে। আপনারা নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবেন, বাংলাদেশের কথা বলবেন। আপনাদের আগমন আমাদের গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থাকে আরও মজবুত করবে, শক্তিশালী করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫