নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্নায়ু রোগে আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসায় বাংলাদেশে প্রথমবারের মত জিন থেরাপি দেওয়ার পর এর খরচ কমানোর উপায় বের করার উপর জোর দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে শিশুদের বিরল স্নায়ু রোগের চিকিৎসায় প্রথমবারের মত জিন থেরাপি প্রয়োগ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, ‘এমন অনেক শত শত রোগ আছে, যেগুলো বাবা-মায়েরা ধরতে পারেন না। এসব অভিভাবকদের কষ্ট অনেক বেশি। সে জায়গায় এমন চিকিৎসা আশার আলো নিয়ে এসেছে। কিন্তু যে ব্যয়বহুল চিকিৎসা সেটি যদি মানুষের নাগালে আনা না যায় তাহলে সুফল পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। যে শিশুকে দেওয়া হয়েছে সে ভাগ্যবান। চিকিৎসা যেহেতু শুরু হয়েছে, আশাকরি ব্যয় কমবে, মানুষ নিতে পারবে।
এদিন ২২ মাস বয়সী রায়হান নামের এক শিশুকে প্রায় ২২ কোটি টাকা মূল্যের এই থেরাপি নোভার্টিসের উদ্যোগে বিনামূল্যে দেওয়া হয়। তবে অত্যন্ত ব্যয়বহুল এই চিকিৎসার খরচ বহন সম্ভব নয়। তাই খরচ কমানোর উপায় বের করতে পারলে যুগান্তকারী এই চিকিৎসার সুফল মিলবে বলে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্য সচিব।
নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ বলেন, ‘এই চিকিৎসা নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের ১০ বছরের ইতিহাসে যুগান্তকারী অধ্যায়। একটা বাচ্চাকে নিশ্চিত মৃত্যু থেকে আমরা বাঁচার সুযোগ করে দিয়েছি। সে এখন নিশ্চিতভাবে আকাশ দেখতে পারবে, নিশ্বাস নিতে পারবে। অধ্যাপক ডা. নারায়ণ তার টিম নিয়ে সেটি করেছেন। এজন্য আমরা আনন্দিত এবং গর্বিত।’
তিনি বলেন, ‘নিউরো রোগীদের অধিকাংশকেই ভালো করতে পারি না। এক্ষেত্রে কিছু বিরল রোগ আছে, যেগুলোর মৃত্যু অবধারিত। সেগুলো নিয়ে আমাদের কিছুই করার থাকে না। বর্তমানে আমাদের রোগীদের ৪০ থেকে ৪২ ভাগ রোগীই শিশু। এই শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আলাদা একটা এটেনশন (মনযোগ) দরকার। এজন্য আমি মাননীয় স্বাস্থ্য সচিব মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কারণ, আমাদের পর্যাপ্ত সক্ষমতা না থাকায় অসংখ্য রোগীকেই বেসরকারি পর্যায়ে চিকিৎসার দারস্থ হতে হয়।’
দীন মোহাম্মদ বলেন, ‘আমাদের দেশে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। আমাদের হাসপাতালে আইসিইউ সেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। কিন্তু একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ বেডে রাত পার হলেই ৫০ হাজার টাকা। এর বাইরে তো বিভিন্ন পরীক্ষা-ফি তো আছেই। কয়টা পরিবারের এতো খরচ বহনের সুযোগ আছে? এক্ষেত্রে সরকারি সেক্টরকে আরও উন্নত করতে হবে। সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সুন্দরভাবে সাজান, যেকোন ধরণের পরামর্শ, সহযোগিতা আমরা করব।’
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘জিন থেরাপির কাজ অনেক ব্যয়বহুল। তবে আন্তরিকতা থাকলে সবকিছু সম্ভব হয়। কোভিডে আমরা এটা করে দেখিয়েছি। মূলত লিডারশিপের কারণে নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতাল গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় এখন সেরা। রোগীদের চাপে অনেক সময় অনেক কিছুই করা সম্ভব না হলেও এখানে বিশ্ব মানের সেবা মিলছে। আবার অনেক রোগী বঞ্চিতও হচ্ছে।
তিনি বলেন, ৮টি বিভাগে নতুন হতে যাওয়া মেডিকেল কলেজগুলোতে নিউরোসায়েন্সেস বিভাগ চালু হলে এ রোগীদের ঢাকায় আসতে হবে না। একই সঙ্গে সব ‘টার্শিয়ারি’ পর্যায়ের হাসপাতালে স্নায়ু রোগের চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ওষুধের দাম অনেক বেশি। মানুষ যাতে এই সেবা নিতে পারে সেই ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে নোভার্টিস কোম্পানির বাংলাদেশের প্রধান ডা. রিয়াদ মামুন জানান, ২০১৯ সাল থেকে এই জিন থেরাপি দিয়ে আসছে নোভার্টিস। এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৩০০ জনকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২০২০ সাল থেকে লটারির মাধ্যমে প্রতিমাসে দুজন করে এখন পর্যন্ত ২৫০ জনকে বিনামূল্যে এই থেরাপি দেওয়া হয়েছে। যত কম বয়সে ডায়াগনসিস করতে পারা যাবে শনাক্ত ও চিকিৎসা পাওয়া তত সহজ হবে।
নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন ভর্তিযোগ্য রোগী আসে ১০০ কিন্তু ভর্তি করাতে পারছি তার এক-তৃতীয়াংশ। বাকিরা বিদেশে যাচ্ছে। কিন্তু নিউরোসায়েন্সের চিকিৎসার পরিধি বাড়াতে পারলে মানুষ বিদেশমুখী হবে না। এখানে যেসব সার্জারি করা হয়, একেকটিতে ৮-১২ ঘণ্টা পর্যন্ত লেগে যায়। তাই, অন্য হাসপাতালের সঙ্গে এ হাসপাতালকে মেলালে চলবে না।’
স্নায়ু রোগে আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসায় বাংলাদেশে প্রথমবারের মত জিন থেরাপি দেওয়ার পর এর খরচ কমানোর উপায় বের করার উপর জোর দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে শিশুদের বিরল স্নায়ু রোগের চিকিৎসায় প্রথমবারের মত জিন থেরাপি প্রয়োগ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, ‘এমন অনেক শত শত রোগ আছে, যেগুলো বাবা-মায়েরা ধরতে পারেন না। এসব অভিভাবকদের কষ্ট অনেক বেশি। সে জায়গায় এমন চিকিৎসা আশার আলো নিয়ে এসেছে। কিন্তু যে ব্যয়বহুল চিকিৎসা সেটি যদি মানুষের নাগালে আনা না যায় তাহলে সুফল পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। যে শিশুকে দেওয়া হয়েছে সে ভাগ্যবান। চিকিৎসা যেহেতু শুরু হয়েছে, আশাকরি ব্যয় কমবে, মানুষ নিতে পারবে।
এদিন ২২ মাস বয়সী রায়হান নামের এক শিশুকে প্রায় ২২ কোটি টাকা মূল্যের এই থেরাপি নোভার্টিসের উদ্যোগে বিনামূল্যে দেওয়া হয়। তবে অত্যন্ত ব্যয়বহুল এই চিকিৎসার খরচ বহন সম্ভব নয়। তাই খরচ কমানোর উপায় বের করতে পারলে যুগান্তকারী এই চিকিৎসার সুফল মিলবে বলে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্য সচিব।
নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ বলেন, ‘এই চিকিৎসা নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের ১০ বছরের ইতিহাসে যুগান্তকারী অধ্যায়। একটা বাচ্চাকে নিশ্চিত মৃত্যু থেকে আমরা বাঁচার সুযোগ করে দিয়েছি। সে এখন নিশ্চিতভাবে আকাশ দেখতে পারবে, নিশ্বাস নিতে পারবে। অধ্যাপক ডা. নারায়ণ তার টিম নিয়ে সেটি করেছেন। এজন্য আমরা আনন্দিত এবং গর্বিত।’
তিনি বলেন, ‘নিউরো রোগীদের অধিকাংশকেই ভালো করতে পারি না। এক্ষেত্রে কিছু বিরল রোগ আছে, যেগুলোর মৃত্যু অবধারিত। সেগুলো নিয়ে আমাদের কিছুই করার থাকে না। বর্তমানে আমাদের রোগীদের ৪০ থেকে ৪২ ভাগ রোগীই শিশু। এই শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আলাদা একটা এটেনশন (মনযোগ) দরকার। এজন্য আমি মাননীয় স্বাস্থ্য সচিব মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কারণ, আমাদের পর্যাপ্ত সক্ষমতা না থাকায় অসংখ্য রোগীকেই বেসরকারি পর্যায়ে চিকিৎসার দারস্থ হতে হয়।’
দীন মোহাম্মদ বলেন, ‘আমাদের দেশে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। আমাদের হাসপাতালে আইসিইউ সেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। কিন্তু একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ বেডে রাত পার হলেই ৫০ হাজার টাকা। এর বাইরে তো বিভিন্ন পরীক্ষা-ফি তো আছেই। কয়টা পরিবারের এতো খরচ বহনের সুযোগ আছে? এক্ষেত্রে সরকারি সেক্টরকে আরও উন্নত করতে হবে। সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সুন্দরভাবে সাজান, যেকোন ধরণের পরামর্শ, সহযোগিতা আমরা করব।’
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘জিন থেরাপির কাজ অনেক ব্যয়বহুল। তবে আন্তরিকতা থাকলে সবকিছু সম্ভব হয়। কোভিডে আমরা এটা করে দেখিয়েছি। মূলত লিডারশিপের কারণে নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতাল গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় এখন সেরা। রোগীদের চাপে অনেক সময় অনেক কিছুই করা সম্ভব না হলেও এখানে বিশ্ব মানের সেবা মিলছে। আবার অনেক রোগী বঞ্চিতও হচ্ছে।
তিনি বলেন, ৮টি বিভাগে নতুন হতে যাওয়া মেডিকেল কলেজগুলোতে নিউরোসায়েন্সেস বিভাগ চালু হলে এ রোগীদের ঢাকায় আসতে হবে না। একই সঙ্গে সব ‘টার্শিয়ারি’ পর্যায়ের হাসপাতালে স্নায়ু রোগের চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ওষুধের দাম অনেক বেশি। মানুষ যাতে এই সেবা নিতে পারে সেই ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে নোভার্টিস কোম্পানির বাংলাদেশের প্রধান ডা. রিয়াদ মামুন জানান, ২০১৯ সাল থেকে এই জিন থেরাপি দিয়ে আসছে নোভার্টিস। এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৩০০ জনকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২০২০ সাল থেকে লটারির মাধ্যমে প্রতিমাসে দুজন করে এখন পর্যন্ত ২৫০ জনকে বিনামূল্যে এই থেরাপি দেওয়া হয়েছে। যত কম বয়সে ডায়াগনসিস করতে পারা যাবে শনাক্ত ও চিকিৎসা পাওয়া তত সহজ হবে।
নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন ভর্তিযোগ্য রোগী আসে ১০০ কিন্তু ভর্তি করাতে পারছি তার এক-তৃতীয়াংশ। বাকিরা বিদেশে যাচ্ছে। কিন্তু নিউরোসায়েন্সের চিকিৎসার পরিধি বাড়াতে পারলে মানুষ বিদেশমুখী হবে না। এখানে যেসব সার্জারি করা হয়, একেকটিতে ৮-১২ ঘণ্টা পর্যন্ত লেগে যায়। তাই, অন্য হাসপাতালের সঙ্গে এ হাসপাতালকে মেলালে চলবে না।’
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫