রাহুল শর্মা, ঢাকা
টাঙ্গাইলের একটি কলেজের অধ্যক্ষকে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানাতে ফোনে ‘চায়ের দাওয়াত’ দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) যুগ্ম পরিচালক মো. আবুয়াল কায়সার। এই ‘দাওয়াতে’ সাড়া না দেওয়ায় অধ্যক্ষকে অশালীন কথা বলার ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
টাঙ্গাইলের শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজের (মির্জাপুর সরকারি কলেজ) অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মান্নান এমন নিমন্ত্রণ পেয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ডিআইএর যুগ্ম পরিচালকের কথোপকথনের ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড থেকে এসব জানা গেছে।
অধ্যক্ষের অভিযোগ, অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার উদ্দেশ্যে এমন প্রস্তাব। তবে আবুয়াল কায়সার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, অধ্যক্ষের সঙ্গে এক ছাত্রীর অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ আসায় তাঁকে দেখা করতে বলেছেন।
দুজনের কথোপকথনের ৬ মিনিট ৮ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে। এই কল রেকর্ডটি আজকের পত্রিকার কাছেও এসেছে। ফোনের এক প্রান্তে থাকার কথা আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, ফোনের অপর প্রান্তে ছিলেন ডিআইএর যুগ্ম পরিচালক মো. আবুয়াল কায়সার। ১২ থেকে ১৫ দিন আগে কলটি এসেছিল।
কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, কথোপকথনে আবুয়াল কায়সার অধ্যক্ষকে বলেন, ‘আপনার বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ এসেছে, এখনো কিন্তু জমা নিইনি। সব তথ্যই আমার কাছে আছে...আপনার বাসা কি উত্তরায়? আসুন দুজনে বসে এক কাপ চা বা কফি খাই, কথা বলি।’ একপর্যায়ে ডিআইএ কর্মকর্তা বলেন, ‘আপনি কার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করেছেন আপনি জানেন না। আমি এক্ষুনি ফোন দিচ্ছি ডিবিকে। ডিআইজি আমার বন্ধু। আপনাকে দেখে নেওয়া হবে।’ তিনি অভিযোগের বিষয়ে জানাতে বিভিন্ন অশালীন শব্দ ব্যবহার করেন।
অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফোন করে তাঁকে দেখা করতে বলেছেন ডিআইএর যুগ্ম পরিচালক। এতে রাজি না হওয়ায় হুমকি-ধমকি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘উনি (ডিআইএর যুগ্ম পরিচালক) অনৈতিক সুবিধার জন্যই চা-কফি খাওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন। এটা তো স্পষ্ট। উনি যাচ্ছেতাইভাবে কথা বলেছেন। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত।’
সূত্র বলেছে, ডিআইএর প্রধান কাজ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর বা সংস্থা পরিদর্শন এবং নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা। পরিদর্শন শেষে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা পেলে প্রতিবেদনে সেগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এর ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ডিআইএর কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযোগ বিষয়ে কথা বলতে চায়ের দাওয়াত দেওয়ার ‘ভিন্ন উদ্দেশ্য’ রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এলে তদন্ত শুরুর আগে কাউকে ডাকা অনৈতিক। আর যে ভাষায় অধ্যক্ষকে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়েছে, তাও শোভনীয় নয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গত বুধবার ডিআইএর যুগ্ম পরিচালক আবুয়াল কায়সার বলেন, ‘এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ এসেছে। এ জন্যই তাঁকে দেখা করতে বলেছি, অন্য কোনো উদ্দেশে নয়।’
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখব। সত্যতা পেলে অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমান সরকার এসব বিষয়ে কঠোর। ঘুষ-বাণিজ্যে জড়ালে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
� অভিযোগ সম্পর্কে জানাতে দেখা করার নির্দেশ।
� ‘দাওয়াত’ না নেওয়ায় অধ্যক্ষকে হুমকি-ধমকি।
� অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
টাঙ্গাইলের একটি কলেজের অধ্যক্ষকে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানাতে ফোনে ‘চায়ের দাওয়াত’ দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) যুগ্ম পরিচালক মো. আবুয়াল কায়সার। এই ‘দাওয়াতে’ সাড়া না দেওয়ায় অধ্যক্ষকে অশালীন কথা বলার ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
টাঙ্গাইলের শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজের (মির্জাপুর সরকারি কলেজ) অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মান্নান এমন নিমন্ত্রণ পেয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ডিআইএর যুগ্ম পরিচালকের কথোপকথনের ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড থেকে এসব জানা গেছে।
অধ্যক্ষের অভিযোগ, অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার উদ্দেশ্যে এমন প্রস্তাব। তবে আবুয়াল কায়সার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, অধ্যক্ষের সঙ্গে এক ছাত্রীর অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ আসায় তাঁকে দেখা করতে বলেছেন।
দুজনের কথোপকথনের ৬ মিনিট ৮ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে। এই কল রেকর্ডটি আজকের পত্রিকার কাছেও এসেছে। ফোনের এক প্রান্তে থাকার কথা আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, ফোনের অপর প্রান্তে ছিলেন ডিআইএর যুগ্ম পরিচালক মো. আবুয়াল কায়সার। ১২ থেকে ১৫ দিন আগে কলটি এসেছিল।
কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, কথোপকথনে আবুয়াল কায়সার অধ্যক্ষকে বলেন, ‘আপনার বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ এসেছে, এখনো কিন্তু জমা নিইনি। সব তথ্যই আমার কাছে আছে...আপনার বাসা কি উত্তরায়? আসুন দুজনে বসে এক কাপ চা বা কফি খাই, কথা বলি।’ একপর্যায়ে ডিআইএ কর্মকর্তা বলেন, ‘আপনি কার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করেছেন আপনি জানেন না। আমি এক্ষুনি ফোন দিচ্ছি ডিবিকে। ডিআইজি আমার বন্ধু। আপনাকে দেখে নেওয়া হবে।’ তিনি অভিযোগের বিষয়ে জানাতে বিভিন্ন অশালীন শব্দ ব্যবহার করেন।
অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফোন করে তাঁকে দেখা করতে বলেছেন ডিআইএর যুগ্ম পরিচালক। এতে রাজি না হওয়ায় হুমকি-ধমকি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘উনি (ডিআইএর যুগ্ম পরিচালক) অনৈতিক সুবিধার জন্যই চা-কফি খাওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন। এটা তো স্পষ্ট। উনি যাচ্ছেতাইভাবে কথা বলেছেন। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত।’
সূত্র বলেছে, ডিআইএর প্রধান কাজ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর বা সংস্থা পরিদর্শন এবং নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা। পরিদর্শন শেষে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা পেলে প্রতিবেদনে সেগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এর ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ডিআইএর কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযোগ বিষয়ে কথা বলতে চায়ের দাওয়াত দেওয়ার ‘ভিন্ন উদ্দেশ্য’ রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এলে তদন্ত শুরুর আগে কাউকে ডাকা অনৈতিক। আর যে ভাষায় অধ্যক্ষকে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়েছে, তাও শোভনীয় নয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গত বুধবার ডিআইএর যুগ্ম পরিচালক আবুয়াল কায়সার বলেন, ‘এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ এসেছে। এ জন্যই তাঁকে দেখা করতে বলেছি, অন্য কোনো উদ্দেশে নয়।’
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখব। সত্যতা পেলে অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমান সরকার এসব বিষয়ে কঠোর। ঘুষ-বাণিজ্যে জড়ালে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
� অভিযোগ সম্পর্কে জানাতে দেখা করার নির্দেশ।
� ‘দাওয়াত’ না নেওয়ায় অধ্যক্ষকে হুমকি-ধমকি।
� অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫