২০২৩ সালে বিশ্বে ১০ লাখ ১৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে প্রতিরোধযোগ্য সড়ক দুর্ঘটনায়। এসব ঘটনায় ৫০ লাখের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। বিশ্বব্যাপী মানুষের মৃত্যুর ১২তম কারণ এটি। প্রতিরোধযোগ্য সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় ৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের। মৃত্যুর ৯২ শতাংশই ঘটে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। মোট মৃত্যুর ৭৯ শতাংশ ঘটে স্বল্প আয়ের দেশগুলোতে। এসব দুর্ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ বৈশ্বিক জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ১০ থাকে ১২ শতাংশ।
বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) আয়োজিত বাংলাদেশে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে দুই দিনের কর্মশালায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাতে এসব তথ্য জানানো হয়। কর্মশালায় সহায়তা করেছে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর এবং গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টনারশিপ।
তবে বাংলাদেশে প্রতিরোধযোগ্য সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত হওয়ার সঠিক কোনো তথ্য নেই। ২০১১ সালে সরকারি হিসেবে দেশে প্রতিরোধযোগ্য সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৫ হাজার ৮৪ জনের। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, এই সংখ্যা ৩১ হাজার ৫৭৮ জনের। অর্থাৎ দেশে প্রতি লাখ মানুষের মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যু হয় প্রতিরোধযোগ্য সড়ক দুর্ঘটনায়।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনমিতি জরিপ-২০১৬ তে বলা হয়েছে, সড়কে ২৩ হাজার ১৬৬ মানুষের মৃত্যু হয়। আবার সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, প্রতিরোধযোগ্য সড়ক দুর্ঘটনায় দেশে প্রতি বছর ২৮ হাজার থেকে ৩১ হাজার ৫০০ জনের মৃত্যু হয়। এসব কারণে দেশের ৬৭ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়। যদিও এসডিজি’র ধারা ১১ এর ২-এ ২০৩০ সালের মধ্যে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে।
কর্মশালায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে সড়ক দুর্ঘটনা শব্দটি ব্যবহার না করে রোড ক্র্যাশ শব্দটি ব্যবহার করা উপযুক্ত। কারণ বাংলা দুর্ঘটনা শব্দটিতে কারও দায় থাকে না। এটি দৈব ঘটনা হিসেবে প্রতীয়মান হয়। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনার সঙ্গে সব সময় কেউ না কেউ দায়ী থাকে।
সাইফুন নেওয়াজ রোড ক্রাসের অন্যতম পাঁচটি কারণ উল্লেখ করেন। এগুলো হলো—১. গতি-গাড়ির গড় গতি ৫ শতাংশ কমালে ক্রাস ৩০ শতাংশ কমানো সম্ভব। ২. মদ্যপবস্থায় গাড়ি চালানো; ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০ শতাংশ ক্র্যাশের জন্য দায়ী মদ্যপ চালকেরা। ৩. সঠিক হেলমেট পরিধানের মাধ্যমে ৪০ শতাংশ মৃত্যু এবং ৭০ শতাংশ ঝুঁকি কমানো সম্ভব। ৪. সিট বেল্ট ব্যবহারের মাধ্যমে মৃত্যুঝুঁকি ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব। ৫. রিস্ট্রেইন ব্যবহার শিশুমৃত্যু ৭০ শতাংশ কমাতে পারে।
কর্মশালায় সড়ক নিরাপত্তার বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং স্থানীয় প্রসঙ্গ; নিরাপদ সড়ক নিরাপত্তায় করণীয়, কম্প্রিহেনসিভ রোড সেফটি ল এবং রিস্ক ফ্যাক্টর, ক্র্যাশ রিপোর্টিং, সত্যতা যাচাই এবং সাংবাদিকদের জন্য সড়ক নিরাপত্তা সম্পর্কে গঠনমূলক সাক্ষাৎকার গ্রহণের কৌশল, সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক ইউএন ডিকেড ফর একশন; বাংলাদেশে সড়ক নিরাপত্তার ওভারভিউ-সড়ক নিরাপত্তা; নিরাপদ; মাল্টি মডেল পরিবহন ও ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা; নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো; নিরাপদ যানবাহন, নিরাপদ সড়ক ব্যবহার; ক্র্যাশ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা; কম্প্রিহেনসিভ সড়ক নিরাপত্তা আইন; সড়ক নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ; নিয়ে আলোচনা করা।
সেশনগুলো পরিচালনা করেন বিএনএনআরসির সিউও এএইচএম বজলুর রহমান, জিআরএসপি গ্র্যান্টস ম্যানেজার তাইফুর রহমান, বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ, জিএইচআই’র ডিরেক্টর অ্যাডভোকেসি মারভিন ক্রিশ্চিয়ান প্রমুখ।
২০২৩ সালে বিশ্বে ১০ লাখ ১৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে প্রতিরোধযোগ্য সড়ক দুর্ঘটনায়। এসব ঘটনায় ৫০ লাখের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। বিশ্বব্যাপী মানুষের মৃত্যুর ১২তম কারণ এটি। প্রতিরোধযোগ্য সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় ৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের। মৃত্যুর ৯২ শতাংশই ঘটে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। মোট মৃত্যুর ৭৯ শতাংশ ঘটে স্বল্প আয়ের দেশগুলোতে। এসব দুর্ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ বৈশ্বিক জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ১০ থাকে ১২ শতাংশ।
বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) আয়োজিত বাংলাদেশে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে দুই দিনের কর্মশালায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাতে এসব তথ্য জানানো হয়। কর্মশালায় সহায়তা করেছে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর এবং গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টনারশিপ।
তবে বাংলাদেশে প্রতিরোধযোগ্য সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত হওয়ার সঠিক কোনো তথ্য নেই। ২০১১ সালে সরকারি হিসেবে দেশে প্রতিরোধযোগ্য সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৫ হাজার ৮৪ জনের। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, এই সংখ্যা ৩১ হাজার ৫৭৮ জনের। অর্থাৎ দেশে প্রতি লাখ মানুষের মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যু হয় প্রতিরোধযোগ্য সড়ক দুর্ঘটনায়।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনমিতি জরিপ-২০১৬ তে বলা হয়েছে, সড়কে ২৩ হাজার ১৬৬ মানুষের মৃত্যু হয়। আবার সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, প্রতিরোধযোগ্য সড়ক দুর্ঘটনায় দেশে প্রতি বছর ২৮ হাজার থেকে ৩১ হাজার ৫০০ জনের মৃত্যু হয়। এসব কারণে দেশের ৬৭ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়। যদিও এসডিজি’র ধারা ১১ এর ২-এ ২০৩০ সালের মধ্যে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে।
কর্মশালায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে সড়ক দুর্ঘটনা শব্দটি ব্যবহার না করে রোড ক্র্যাশ শব্দটি ব্যবহার করা উপযুক্ত। কারণ বাংলা দুর্ঘটনা শব্দটিতে কারও দায় থাকে না। এটি দৈব ঘটনা হিসেবে প্রতীয়মান হয়। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনার সঙ্গে সব সময় কেউ না কেউ দায়ী থাকে।
সাইফুন নেওয়াজ রোড ক্রাসের অন্যতম পাঁচটি কারণ উল্লেখ করেন। এগুলো হলো—১. গতি-গাড়ির গড় গতি ৫ শতাংশ কমালে ক্রাস ৩০ শতাংশ কমানো সম্ভব। ২. মদ্যপবস্থায় গাড়ি চালানো; ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০ শতাংশ ক্র্যাশের জন্য দায়ী মদ্যপ চালকেরা। ৩. সঠিক হেলমেট পরিধানের মাধ্যমে ৪০ শতাংশ মৃত্যু এবং ৭০ শতাংশ ঝুঁকি কমানো সম্ভব। ৪. সিট বেল্ট ব্যবহারের মাধ্যমে মৃত্যুঝুঁকি ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব। ৫. রিস্ট্রেইন ব্যবহার শিশুমৃত্যু ৭০ শতাংশ কমাতে পারে।
কর্মশালায় সড়ক নিরাপত্তার বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং স্থানীয় প্রসঙ্গ; নিরাপদ সড়ক নিরাপত্তায় করণীয়, কম্প্রিহেনসিভ রোড সেফটি ল এবং রিস্ক ফ্যাক্টর, ক্র্যাশ রিপোর্টিং, সত্যতা যাচাই এবং সাংবাদিকদের জন্য সড়ক নিরাপত্তা সম্পর্কে গঠনমূলক সাক্ষাৎকার গ্রহণের কৌশল, সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক ইউএন ডিকেড ফর একশন; বাংলাদেশে সড়ক নিরাপত্তার ওভারভিউ-সড়ক নিরাপত্তা; নিরাপদ; মাল্টি মডেল পরিবহন ও ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা; নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো; নিরাপদ যানবাহন, নিরাপদ সড়ক ব্যবহার; ক্র্যাশ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা; কম্প্রিহেনসিভ সড়ক নিরাপত্তা আইন; সড়ক নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ; নিয়ে আলোচনা করা।
সেশনগুলো পরিচালনা করেন বিএনএনআরসির সিউও এএইচএম বজলুর রহমান, জিআরএসপি গ্র্যান্টস ম্যানেজার তাইফুর রহমান, বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ, জিএইচআই’র ডিরেক্টর অ্যাডভোকেসি মারভিন ক্রিশ্চিয়ান প্রমুখ।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
২০ দিন আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
২০ দিন আগেরাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
২০ দিন আগেবাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
২০ দিন আগে