নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেছেন, ‘একাত্তরের চেয়েও খারাপ অবস্থায় আছি আমরা। কিছুদিনের মধ্যেই এ দেশ সুন্নি মুসলিম অধিকারের দেশ হবে। সুন্নি পুরুষ ছাড়া অন্য কারও অধিকার থাকবে না এ দেশে। আর নারীরা থাকবে সেবা ও সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য। সাম্প্রদায়িকতার কাছে আমরা আত্মসমর্পণ করে ফেলেছি।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন আয়োজিত আলোচনা সভায় এ সব কথা বলেন সুলতানা কামাল।
সুলতানা কামাল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থেকেও তারা তাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছে। এখনকার রাজনীতিবিদেরা নিজে যা বলেন তা বিশ্বাস করেন না। তাঁরা ভয়ে অসহিষ্ণুতার নীতি গ্রহণ করেছেন। অনৈতিকতার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলছেন না। দেশে আজ মানুষ গায়েব হয়ে যাচ্ছে। মানুষের অধিকার হরণ করছে। কেউ কাউকে মারলেও পুলিশ ভুক্তভোগীকে সহায়তা করে না। কারণ অপরাধীদের সঙ্গে তাদের সংযোগ আছে। তাই সামাজিক শক্তির অন্যতম দায়িত্ব— রাষ্ট্রকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে, জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। এ জন্য সম্মিলিত শক্তির উদ্ভব ঘটাতে হবে।’
এই মানবাধিকারকর্মী বলেন, ‘দেশে এখন শিক্ষা-দীক্ষাসহ সবকিছু চলে দায়সারাভাবে। সবাই সন্তানদের একটিই শিক্ষা দেন— কী করে টাকা বানানো যায়। এ কারণেই সামাজিক অবক্ষয় হচ্ছে। সবার একটাই চাওয়া— আমাকে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। আজ সংখ্যালঘু হামলাকারীরা গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। দেশে টিপ বিক্রেতা ফেরিওয়ালারাও গোপনে টিপ বিক্রি করে। তারা বলে, আজকাল প্রকাশ্যে টিপ বিক্রি করতে পারি না।’
এ সময় সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘সামাজিক শিক্ষা দিতে না পারা পরিবারের একটি ব্যর্থতা। শিক্ষার মান দিন দিন কমে যাচ্ছে। ৩ ঘণ্টার পরীক্ষা ২ ঘণ্টায় নেওয়া হচ্ছে। অনেক জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ইংরেজি বানান শিখাতে হয়। শিক্ষকেরা আজ অবহেলিত। শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ একজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ও প্রতিরোধ করছে না। প্রতিবাদ প্রতিরোধ না করায় এসব হামলা নির্যাতন বেড়ে যাচ্ছে। সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার হয়নি বলে এ ঘটনা প্রতিবছর হচ্ছে এবং এ বছরও হবে। তিন বছরে ধরে আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ পালন করলাম। কিন্তু কেউ কি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ গ্রহণ বা অনুসরণ করছি? আজ রাজনীতির সঙ্গে সংস্কৃতির কোনো সম্পর্ক নেই। শতকরা ৮০ ভাগ সংসদ সদস্য ব্যবসায়ী। আর ত্যাগীরা রাজনীতি করতে পারছেন না অর্থের অভাবে।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, ইতিহাসবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, মানবাধিকার কর্মী খুশি কবীর, অধ্যাপক এমএম আকাশ, ড. সারোয়ার আলী, অধ্যাপক রুবাইয়াত ফেরদৌস প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সব রাজনৈতিক দল ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে। সব দলকে বাধ্য করতে হবে যে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা যাবে না। তাহলে ধর্মের অপব্যবহার কমবে।
মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেছেন, ‘একাত্তরের চেয়েও খারাপ অবস্থায় আছি আমরা। কিছুদিনের মধ্যেই এ দেশ সুন্নি মুসলিম অধিকারের দেশ হবে। সুন্নি পুরুষ ছাড়া অন্য কারও অধিকার থাকবে না এ দেশে। আর নারীরা থাকবে সেবা ও সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য। সাম্প্রদায়িকতার কাছে আমরা আত্মসমর্পণ করে ফেলেছি।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন আয়োজিত আলোচনা সভায় এ সব কথা বলেন সুলতানা কামাল।
সুলতানা কামাল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থেকেও তারা তাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছে। এখনকার রাজনীতিবিদেরা নিজে যা বলেন তা বিশ্বাস করেন না। তাঁরা ভয়ে অসহিষ্ণুতার নীতি গ্রহণ করেছেন। অনৈতিকতার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলছেন না। দেশে আজ মানুষ গায়েব হয়ে যাচ্ছে। মানুষের অধিকার হরণ করছে। কেউ কাউকে মারলেও পুলিশ ভুক্তভোগীকে সহায়তা করে না। কারণ অপরাধীদের সঙ্গে তাদের সংযোগ আছে। তাই সামাজিক শক্তির অন্যতম দায়িত্ব— রাষ্ট্রকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে, জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। এ জন্য সম্মিলিত শক্তির উদ্ভব ঘটাতে হবে।’
এই মানবাধিকারকর্মী বলেন, ‘দেশে এখন শিক্ষা-দীক্ষাসহ সবকিছু চলে দায়সারাভাবে। সবাই সন্তানদের একটিই শিক্ষা দেন— কী করে টাকা বানানো যায়। এ কারণেই সামাজিক অবক্ষয় হচ্ছে। সবার একটাই চাওয়া— আমাকে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। আজ সংখ্যালঘু হামলাকারীরা গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। দেশে টিপ বিক্রেতা ফেরিওয়ালারাও গোপনে টিপ বিক্রি করে। তারা বলে, আজকাল প্রকাশ্যে টিপ বিক্রি করতে পারি না।’
এ সময় সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘সামাজিক শিক্ষা দিতে না পারা পরিবারের একটি ব্যর্থতা। শিক্ষার মান দিন দিন কমে যাচ্ছে। ৩ ঘণ্টার পরীক্ষা ২ ঘণ্টায় নেওয়া হচ্ছে। অনেক জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ইংরেজি বানান শিখাতে হয়। শিক্ষকেরা আজ অবহেলিত। শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ একজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ও প্রতিরোধ করছে না। প্রতিবাদ প্রতিরোধ না করায় এসব হামলা নির্যাতন বেড়ে যাচ্ছে। সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার হয়নি বলে এ ঘটনা প্রতিবছর হচ্ছে এবং এ বছরও হবে। তিন বছরে ধরে আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ পালন করলাম। কিন্তু কেউ কি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ গ্রহণ বা অনুসরণ করছি? আজ রাজনীতির সঙ্গে সংস্কৃতির কোনো সম্পর্ক নেই। শতকরা ৮০ ভাগ সংসদ সদস্য ব্যবসায়ী। আর ত্যাগীরা রাজনীতি করতে পারছেন না অর্থের অভাবে।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, ইতিহাসবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, মানবাধিকার কর্মী খুশি কবীর, অধ্যাপক এমএম আকাশ, ড. সারোয়ার আলী, অধ্যাপক রুবাইয়াত ফেরদৌস প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সব রাজনৈতিক দল ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে। সব দলকে বাধ্য করতে হবে যে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা যাবে না। তাহলে ধর্মের অপব্যবহার কমবে।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫