নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির জন্য গবেষণা হচ্ছে। এ জন্য ইনস্টিটিউট তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, টিকার ওপর যাতে গবেষণা হয়, আমরা নিজেরাই যাতে টিকা তৈরি করতে পারি। আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল তৈরি করা দরকার। তার জন্য ইনস্টিটিউট তৈরি করব। আমরাও যাতে ভবিষ্যতে টিকা তৈরি করতে পারি তার জন্য যা যা দরকার ব্যবস্থা নেব। সেই ধরনের পরিকল্পনাও নিয়েছি।
আজ বুধবার আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা যখন গবেষণা পর্যায়ে ছিল, তখন প্রতিটি জায়গায় যোগাযোগ করেছি, কোথায় পাওয়া যায় টিকা। পৃথিবীর অনেক দেশই টিকা দিতে পারে নাই এখনো। আমরা কিন্তু নিয়ে এসে দেওয়া শুরু করেছি। ভারতে যখন মহামারি আকারে শুরু হলো, তখন তারা টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা কিছুটা সমস্যায় পড়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা আবার টিকা কেনা শুরু করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটা মানুষের কাছে করোনার টিকা যাতে পৌঁছে যায়, তার ব্যবস্থা আমরা পর্যায়ক্রমে নিচ্ছি। সেটাই আমরা করব। আমার কাছে দুঃখজনক লাগে যাঁদের আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগেভাগে টিকা দিয়েছি, দুই ডোজ নেওয়ার পর তাঁরাই এখন সমালোচনা করেন। অথচ তাঁরাই সবার আগে নিয়েছেন। তাঁদের আবার বড় বড় সমালোচনার কথা। একে গালি, ওকে গালি দেন। আমরা শুনি। এটাই অবাক লাগে। কিন্তু তাঁরা যখন নিয়েছিলেন তখন তো এ কথা বলেননি। এখন আবার সমালোচনা কেন? বিশ্বের পরিস্থিতিটা বুঝতে হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, যে টিকা আমরা ৪ ডলারে কিনেছিলাম, এখন তা ১৫ ডলারে কিনতে হচ্ছে। সামনে হয়তো আরও বেশি দাম হবে। আমরা তো আগেই টাকা–পয়সা দিয়ে সব চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু এটা আন্তর্জাতিক বিষয়। যাঁরা সমালোচনা করেন, তাঁদের বলব, একটু ধৈর্য ধরেন। তারপর দেখেন আমরা কতটুকু কী করতে পারি। তারপর সমালোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস আমাদের সকলের জীবনকে অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নিয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি বিচ্ছিন্ন হয়ে আছি বোধ হয় আমি। এর কারণে আমি না পারি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছিলাম বলেই আজকে আপনাদের সামনে বসতে পেরেছি। বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার সুযোগ পাই বা রাষ্ট্রের কর্মসূচি পালন করার সুযোগ পাই। তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস আমাদের যথেষ্ট কষ্ট দিচ্ছে। সারা বিশ্বে সমস্যা হচ্ছে। আমরা একদিকে অর্থনৈতিক গতিটা ঠিক রাখার চেষ্টা করছি। যদিও এতে অনেক ক্ষতি হচ্ছে। তারপরও যে লক্ষ্যটা ছিল সেটা হয়তো পূরণ করতে পারিনি। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই সব থেকে ভালো আছে এবং থাকবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উন্নয়ন কোনো ম্যাজিক না, এটা আমাদের পরিকল্পনা, দর্শন ও আদর্শ। আমরা গ্রামের মানুষকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি, যেটা জাতির পিতা চেয়েছিলেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছি বলেই আজকে ধীরে ধীরে উন্নতি লাভ করছি, এগিয়ে যেতে পারছি।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ গণভবন থেকে আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন। সূচনা বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আরও বক্তব্য দেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, কার্যনির্বাহী সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।
ঢাকা: বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির জন্য গবেষণা হচ্ছে। এ জন্য ইনস্টিটিউট তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, টিকার ওপর যাতে গবেষণা হয়, আমরা নিজেরাই যাতে টিকা তৈরি করতে পারি। আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল তৈরি করা দরকার। তার জন্য ইনস্টিটিউট তৈরি করব। আমরাও যাতে ভবিষ্যতে টিকা তৈরি করতে পারি তার জন্য যা যা দরকার ব্যবস্থা নেব। সেই ধরনের পরিকল্পনাও নিয়েছি।
আজ বুধবার আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা যখন গবেষণা পর্যায়ে ছিল, তখন প্রতিটি জায়গায় যোগাযোগ করেছি, কোথায় পাওয়া যায় টিকা। পৃথিবীর অনেক দেশই টিকা দিতে পারে নাই এখনো। আমরা কিন্তু নিয়ে এসে দেওয়া শুরু করেছি। ভারতে যখন মহামারি আকারে শুরু হলো, তখন তারা টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা কিছুটা সমস্যায় পড়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা আবার টিকা কেনা শুরু করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটা মানুষের কাছে করোনার টিকা যাতে পৌঁছে যায়, তার ব্যবস্থা আমরা পর্যায়ক্রমে নিচ্ছি। সেটাই আমরা করব। আমার কাছে দুঃখজনক লাগে যাঁদের আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগেভাগে টিকা দিয়েছি, দুই ডোজ নেওয়ার পর তাঁরাই এখন সমালোচনা করেন। অথচ তাঁরাই সবার আগে নিয়েছেন। তাঁদের আবার বড় বড় সমালোচনার কথা। একে গালি, ওকে গালি দেন। আমরা শুনি। এটাই অবাক লাগে। কিন্তু তাঁরা যখন নিয়েছিলেন তখন তো এ কথা বলেননি। এখন আবার সমালোচনা কেন? বিশ্বের পরিস্থিতিটা বুঝতে হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, যে টিকা আমরা ৪ ডলারে কিনেছিলাম, এখন তা ১৫ ডলারে কিনতে হচ্ছে। সামনে হয়তো আরও বেশি দাম হবে। আমরা তো আগেই টাকা–পয়সা দিয়ে সব চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু এটা আন্তর্জাতিক বিষয়। যাঁরা সমালোচনা করেন, তাঁদের বলব, একটু ধৈর্য ধরেন। তারপর দেখেন আমরা কতটুকু কী করতে পারি। তারপর সমালোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস আমাদের সকলের জীবনকে অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নিয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি বিচ্ছিন্ন হয়ে আছি বোধ হয় আমি। এর কারণে আমি না পারি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছিলাম বলেই আজকে আপনাদের সামনে বসতে পেরেছি। বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার সুযোগ পাই বা রাষ্ট্রের কর্মসূচি পালন করার সুযোগ পাই। তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস আমাদের যথেষ্ট কষ্ট দিচ্ছে। সারা বিশ্বে সমস্যা হচ্ছে। আমরা একদিকে অর্থনৈতিক গতিটা ঠিক রাখার চেষ্টা করছি। যদিও এতে অনেক ক্ষতি হচ্ছে। তারপরও যে লক্ষ্যটা ছিল সেটা হয়তো পূরণ করতে পারিনি। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই সব থেকে ভালো আছে এবং থাকবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উন্নয়ন কোনো ম্যাজিক না, এটা আমাদের পরিকল্পনা, দর্শন ও আদর্শ। আমরা গ্রামের মানুষকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি, যেটা জাতির পিতা চেয়েছিলেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছি বলেই আজকে ধীরে ধীরে উন্নতি লাভ করছি, এগিয়ে যেতে পারছি।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ গণভবন থেকে আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন। সূচনা বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আরও বক্তব্য দেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, কার্যনির্বাহী সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫