নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে প্রায় ২১ লাখ লাইসেন্সবিহীন চালক রয়েছেন বলে জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, ‘সারা দেশে সব মিলিয়ে ২০ ধরনের ৫১ লাখ ১০ হাজার ৭৮৬টি সড়কযানের বিপরীতে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত লাইসেন্সধারী চালকের সংখ্যা ছিল ২৮ লাখ ২৫ হাজার ৭০০। গত ৮ মাসে আরও দুই লাখ চালককে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে এই সংখ্যা হবে ৩০ লাখ ২৫ হাজার। সেই হিসেবে দেশে এখন প্রায় ২১ লাখ লাইসেন্সবিহীন চালক রয়েছেন।’
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের নিরাপদ যাতায়াত ও বিদ্যমান সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে আয়োজিত ওই সভায় আশীষ কুমার দে আরও বলেন, ‘লাগামহীন দুর্ঘটনা, নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনাসহ নানা কারণে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই নাজুক। ঈদযাত্রা ও ফিরতিযাত্রায় দুর্ঘটনা যেমন নিত্যসঙ্গী, তেমনি এ সময় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যাও বেড়ে যায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ঘরমুখী মানুষের নিরাপদ যাতায়াতের প্রত্যাশায় আমার কিছু সুপারিশ দিয়ে থাকি। এবার ঈদের আগেই আলোচনা করছি যাতে সরকার সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে।’
আলোচনা সভায় ঈদে ঘরমুখী মানুষের যে সমস্যাগুলো তুলে ধরা হয় সেগুলো হলো—সড়কে লাগামহীন দুর্ঘটনা, এক শ্রেণির যানবাহনে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী বহন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ট্রাক ও পিক-আপে যাত্রী বহন, টিকিট কালোবাজারি, মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়াসহ বিভিন্ন ফেরিঘাটে অব্যবস্থাপনা এবং বিভিন্ন স্থানে পরিবহনে চাঁদাবাজি।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রমিক নেতা ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে সড়ক দুর্ঘটনা একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে, এটা অলৌকিক চিন্তা। পৃথিবীর কোনো দেশে কি একেবারেই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে না? তবে দুর্ঘটনা হ্রাস করা যেতে পারে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সরকার কমিটি গঠন করেছে এবং সুপারিশ দিয়েছে। এ সরকারের আমলে আমার নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হয়েছিল সেখানে এক শ ১১টি সুপারিশ করা হয়েছিল। টাস্কফোর্স গঠনের মাধ্যমে সেসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে।’
দুর্ঘটনায় জন্য চালক দায়ী নয় উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, ‘যে সব দুর্ঘটনা ঘটে তার জন্য শুধুমাত্র চালককে দায়ী করা হয়। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই চালকেরা দায়ী নয়। দুর্ঘটনা ঘটলেই পুলিশ চালকদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে, তাদের নামে মামলা দিচ্ছে। কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, আসল কারণ দেখে দুর্ঘটনায় জন্য যে দায়ী তাকে শাস্তি দেওয়া উচিত। এমন হতে পারে দুর্ঘটনায় জন্য পথচারী, সড়ক ব্যবস্থা, বিআরটিএ, পরিবহন মালিক—যে কেউ দায়ী হতে পারে।’
সড়কে চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে শ্রমিক নেতা শাজাহান খান বলেন, ‘সড়কে চাঁদাবাজির যে অভিযোগ সেটি প্রায় ৮৫ ভাগ কমাতে পেরেছি। আগের মতো সড়কে শ্রমিক-মালিকদের নামে চাঁদাবাজি এখন হয় না। এখন বিভিন্ন পৌরসভায় এবং সিটি করপোরেশনের নামে বাস-ট্রাক থেকে চাঁদা তোলা হয়। সড়কে চাঁদাবাজি এখন মালিক-শ্রমিক করে না করে, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন করে।
দেশে প্রায় ২১ লাখ লাইসেন্সবিহীন চালক রয়েছেন বলে জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, ‘সারা দেশে সব মিলিয়ে ২০ ধরনের ৫১ লাখ ১০ হাজার ৭৮৬টি সড়কযানের বিপরীতে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত লাইসেন্সধারী চালকের সংখ্যা ছিল ২৮ লাখ ২৫ হাজার ৭০০। গত ৮ মাসে আরও দুই লাখ চালককে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে এই সংখ্যা হবে ৩০ লাখ ২৫ হাজার। সেই হিসেবে দেশে এখন প্রায় ২১ লাখ লাইসেন্সবিহীন চালক রয়েছেন।’
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের নিরাপদ যাতায়াত ও বিদ্যমান সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে আয়োজিত ওই সভায় আশীষ কুমার দে আরও বলেন, ‘লাগামহীন দুর্ঘটনা, নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনাসহ নানা কারণে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই নাজুক। ঈদযাত্রা ও ফিরতিযাত্রায় দুর্ঘটনা যেমন নিত্যসঙ্গী, তেমনি এ সময় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যাও বেড়ে যায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ঘরমুখী মানুষের নিরাপদ যাতায়াতের প্রত্যাশায় আমার কিছু সুপারিশ দিয়ে থাকি। এবার ঈদের আগেই আলোচনা করছি যাতে সরকার সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে।’
আলোচনা সভায় ঈদে ঘরমুখী মানুষের যে সমস্যাগুলো তুলে ধরা হয় সেগুলো হলো—সড়কে লাগামহীন দুর্ঘটনা, এক শ্রেণির যানবাহনে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী বহন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ট্রাক ও পিক-আপে যাত্রী বহন, টিকিট কালোবাজারি, মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়াসহ বিভিন্ন ফেরিঘাটে অব্যবস্থাপনা এবং বিভিন্ন স্থানে পরিবহনে চাঁদাবাজি।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রমিক নেতা ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে সড়ক দুর্ঘটনা একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে, এটা অলৌকিক চিন্তা। পৃথিবীর কোনো দেশে কি একেবারেই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে না? তবে দুর্ঘটনা হ্রাস করা যেতে পারে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সরকার কমিটি গঠন করেছে এবং সুপারিশ দিয়েছে। এ সরকারের আমলে আমার নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হয়েছিল সেখানে এক শ ১১টি সুপারিশ করা হয়েছিল। টাস্কফোর্স গঠনের মাধ্যমে সেসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে।’
দুর্ঘটনায় জন্য চালক দায়ী নয় উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, ‘যে সব দুর্ঘটনা ঘটে তার জন্য শুধুমাত্র চালককে দায়ী করা হয়। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই চালকেরা দায়ী নয়। দুর্ঘটনা ঘটলেই পুলিশ চালকদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে, তাদের নামে মামলা দিচ্ছে। কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, আসল কারণ দেখে দুর্ঘটনায় জন্য যে দায়ী তাকে শাস্তি দেওয়া উচিত। এমন হতে পারে দুর্ঘটনায় জন্য পথচারী, সড়ক ব্যবস্থা, বিআরটিএ, পরিবহন মালিক—যে কেউ দায়ী হতে পারে।’
সড়কে চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে শ্রমিক নেতা শাজাহান খান বলেন, ‘সড়কে চাঁদাবাজির যে অভিযোগ সেটি প্রায় ৮৫ ভাগ কমাতে পেরেছি। আগের মতো সড়কে শ্রমিক-মালিকদের নামে চাঁদাবাজি এখন হয় না। এখন বিভিন্ন পৌরসভায় এবং সিটি করপোরেশনের নামে বাস-ট্রাক থেকে চাঁদা তোলা হয়। সড়কে চাঁদাবাজি এখন মালিক-শ্রমিক করে না করে, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন করে।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫