নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী এক বছরের মধ্যে সারা দেশের জলাভূমিগুলোর এরিয়া নির্ধারণ করে ম্যাপিংয়ের মধ্যে নিয়ে আসার তাগিদ দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও বন অধিদপ্তরে বিশ্ব জলাভূমি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি একটা নির্দেশনা দিয়েছেন যে আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের যে অ্যাকাউন্টিং, সেটা যেন আমাদের জিডিপির মধ্যেও প্রতিফলিত হয়। অর্থাৎ তাহলে প্রতিবছর আমি বুঝতে পারব, আমার সে সম্পদ বাড়ল না কমল। আমাদের যে পাহাড়গুলো আছে, সেগুলো আমরা ম্যাপিং করব। কেউ কেউ বলছিলেন, একটা জেলার জলাভূমিকে ম্যাপিংয়ের মধ্যে নিয়ে আসার বিষয়ে। কিন্তু একটা জেলা না, আমরা পুরো বাংলাদেশের জলাভূমিকে ম্যাপিংয়ের মধ্যে নিয়ে আসতে চাই। তাহলে আমাদের সম্পদটা কোথায়, সেটাকে আমরা কীভাবে ব্যবহার করব, তা নিশ্চিত করতে পারব।’
দিবসের মধ্যে আটকে না থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমরা প্রেজেন্টেশন এবং সবার বক্তব্য শুনে এত তথ্য জানলাম, সেখানে সমস্যার কথা বলা হয়েছে, সমাধানের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এত তথ্য থাকার পরেও আমরা কেন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারলাম না? এটা আমার কাছে খুব স্বাভাবিক একটা প্রশ্ন। আজকে যদি বিশ্ব জলাভূমি দিবস না থাকত, তাহলে আমরা এখানে এই ধরনের আলোচনা করার সুযোগ পেতাম না। এটা বিশ্ব দিবস হিসেবে উদ্যাপনের যে দায়িত্ব আসে, আমরা সেটাতে আটকে থাকতে চাই না। আমরা চাই সত্যিকার অর্থে সমাধানের জন্য আলোচনা করতে। আমি চাইব বন অধিদপ্তর যেন আগামী ১ সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে দিনব্যাপী একটা আলোচনার আয়োজন করে। আগামী এক বছর আমরা কোন কাজটা করব, সেই লক্ষ্যটা নির্ধারণ করতে পারি।’
সাবের হোসেন চৌধুরী আরও বলেন, দেশে নদ-নদী আছে, খাল-বিল আছে। সবকিছুই জলাভূমির সম্পদের মধ্যে পড়ে। নদী নিয়ে তো আমাদের একটা চ্যালেঞ্জ আছে। একদিকে দখল, অন্যদিকে দূষণ। সব বিষয় আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। এখানে একটা সমন্বয়ের বিষয় আছে। তবে আমাদের যতটুকু দায়িত্ব আছে, সেটা আসলে আমরা কতটুকু পালন করছি—এই প্রশ্নও চলে আসছে। আমরা যখন ইকোলজিক্যাল ক্রিটিক্যাল এরিয়ার কথা বলি, তাহলে আমাদের ইকোলজিক্যাল ক্রিটিক্যাল এরিয়ার ১৩টি আছে। এগুলোর মধ্যে একটি সুন্দরবন ছাড়া বাকি ১২টি কিন্তু শুধু ঘোষণা পর্যায়ে আছে। ঘোষণাকে আমরা কীভাবে কার্যকর করব? আমরা বলছি, এটা আমাদের অন্যতম প্রাকৃতিক সম্পদ কিন্তু এই সম্পদের ব্যবহার আমরা কতটুকু নিশ্চিত করতে পারছি। আমরা যদি টেকসই উন্নয়নের আলোচনা করি, তাহলে সেখানে আমাদের এই প্রাকৃতিক সম্পদের ভূমিকাটা কী হবে? আমি এটাকে কতটুকু কাজে লাগাতে পারব? এ সময় দেশের সব প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার্থে মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় আরও কার্যকর করার তাগিদ দেন তিনি।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী।
আগামী এক বছরের মধ্যে সারা দেশের জলাভূমিগুলোর এরিয়া নির্ধারণ করে ম্যাপিংয়ের মধ্যে নিয়ে আসার তাগিদ দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও বন অধিদপ্তরে বিশ্ব জলাভূমি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি একটা নির্দেশনা দিয়েছেন যে আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের যে অ্যাকাউন্টিং, সেটা যেন আমাদের জিডিপির মধ্যেও প্রতিফলিত হয়। অর্থাৎ তাহলে প্রতিবছর আমি বুঝতে পারব, আমার সে সম্পদ বাড়ল না কমল। আমাদের যে পাহাড়গুলো আছে, সেগুলো আমরা ম্যাপিং করব। কেউ কেউ বলছিলেন, একটা জেলার জলাভূমিকে ম্যাপিংয়ের মধ্যে নিয়ে আসার বিষয়ে। কিন্তু একটা জেলা না, আমরা পুরো বাংলাদেশের জলাভূমিকে ম্যাপিংয়ের মধ্যে নিয়ে আসতে চাই। তাহলে আমাদের সম্পদটা কোথায়, সেটাকে আমরা কীভাবে ব্যবহার করব, তা নিশ্চিত করতে পারব।’
দিবসের মধ্যে আটকে না থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমরা প্রেজেন্টেশন এবং সবার বক্তব্য শুনে এত তথ্য জানলাম, সেখানে সমস্যার কথা বলা হয়েছে, সমাধানের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এত তথ্য থাকার পরেও আমরা কেন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারলাম না? এটা আমার কাছে খুব স্বাভাবিক একটা প্রশ্ন। আজকে যদি বিশ্ব জলাভূমি দিবস না থাকত, তাহলে আমরা এখানে এই ধরনের আলোচনা করার সুযোগ পেতাম না। এটা বিশ্ব দিবস হিসেবে উদ্যাপনের যে দায়িত্ব আসে, আমরা সেটাতে আটকে থাকতে চাই না। আমরা চাই সত্যিকার অর্থে সমাধানের জন্য আলোচনা করতে। আমি চাইব বন অধিদপ্তর যেন আগামী ১ সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে দিনব্যাপী একটা আলোচনার আয়োজন করে। আগামী এক বছর আমরা কোন কাজটা করব, সেই লক্ষ্যটা নির্ধারণ করতে পারি।’
সাবের হোসেন চৌধুরী আরও বলেন, দেশে নদ-নদী আছে, খাল-বিল আছে। সবকিছুই জলাভূমির সম্পদের মধ্যে পড়ে। নদী নিয়ে তো আমাদের একটা চ্যালেঞ্জ আছে। একদিকে দখল, অন্যদিকে দূষণ। সব বিষয় আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। এখানে একটা সমন্বয়ের বিষয় আছে। তবে আমাদের যতটুকু দায়িত্ব আছে, সেটা আসলে আমরা কতটুকু পালন করছি—এই প্রশ্নও চলে আসছে। আমরা যখন ইকোলজিক্যাল ক্রিটিক্যাল এরিয়ার কথা বলি, তাহলে আমাদের ইকোলজিক্যাল ক্রিটিক্যাল এরিয়ার ১৩টি আছে। এগুলোর মধ্যে একটি সুন্দরবন ছাড়া বাকি ১২টি কিন্তু শুধু ঘোষণা পর্যায়ে আছে। ঘোষণাকে আমরা কীভাবে কার্যকর করব? আমরা বলছি, এটা আমাদের অন্যতম প্রাকৃতিক সম্পদ কিন্তু এই সম্পদের ব্যবহার আমরা কতটুকু নিশ্চিত করতে পারছি। আমরা যদি টেকসই উন্নয়নের আলোচনা করি, তাহলে সেখানে আমাদের এই প্রাকৃতিক সম্পদের ভূমিকাটা কী হবে? আমি এটাকে কতটুকু কাজে লাগাতে পারব? এ সময় দেশের সব প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার্থে মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় আরও কার্যকর করার তাগিদ দেন তিনি।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫