নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তনে সম্মতি দিয়েছে সরকার। ছয়টি শর্তে অর্থ বিভাগ মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তনে সায় দিয়ে গত সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
মাঠ প্রশাসনের তিনটি অফিসের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তনের অনুরোধ জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ১৬ মার্চ অর্থ বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছিল। সেখানে ১৩তম গ্রেডের অফিস সুপারিনটেনডেন্ট, সিএকাম উচ্চমান সহকারী ও সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটরের পদনাম বদলে উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা; ১৪তম গ্রেডের প্রধান সহকারী, ট্রেজারি হিসাবরক্ষক, সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর ও পরিসংখ্যান সহকারীর পদনাম সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং ১৫তম গ্রেডের উচ্চমান সহকারীর পদনাম পরিবর্তন করে উপ-সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা করার অনুরোধ জানানো হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে অর্থ বিভাগ।
পদনাম পরিবর্তনে সম্মতি দিয়ে অর্থ বিভাগ বলেছে, পদ নাম পরিবর্তন হলেও বেতন গ্রেড পরিবর্তন করা যাবে না এবং বিদ্যমান নিয়োগ বিধি সংশোধন করতে হবে। এ ছাড়া পদনাম পরিবর্তনের আগে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির অনুমোদন এবং প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর অনুমোদন নিতে হবে। আর পরিবর্তিত পদ নামগুলোর পদসংখ্যা বিদ্যমান পদগুলোর মোট পদসংখ্যার সমান হবে, অর্থাৎ মোট পদসংখ্যার কোনো কম-বেশি হবে না।
মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীরা পদবি পরিবর্তন ও বেতন গ্রেড উন্নীতের দাবিতে গত ১ মার্চ থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ওই সব অফিসে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ। এরপর আন্দোলনরত কর্মচারী নেতাদের সচিবালয়ে ডেকে এনে তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। ওই বৈঠকের পর গত ১২ মার্চ কর্মবিরতির কর্মসূচি ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন কর্মচারীরা। কর্মসূচি স্থগিত করলেও দাবি আদায়ে আগামী ১ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহাসমাবেশ ঘোষণা করেন তারা।
বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতির (বাকাসস) সভাপতি মো. আকবর হোসেন মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তনে অর্থ বিভাগ সম্মতি দেওয়ায় আমরা ১ এপ্রিলের মহাসমাবেশ আর করছি না। কারণ পদনাম পরিবর্তনের পর বেতন গ্রেড উন্নীতের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে আমাদের মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।’
২০১৩ সালের ৩০ মে তহসিলদার (বর্তমান ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা) এবং সহকারী তহশিলদারদের (বর্তমান ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা) বেতন গ্রেড পাঁচ ধাপ উন্নীত করে ১১-১২তম গ্রেড করা হয়। এরপর অন্য অফিসে অস্থিরতা তৈরি হলে তা নিরসনে একটি কমিটি করে সরকার। চারজন সচিবের সমন্বয়ে সেই কমিটি ওই আদেশ বাতিলের সুপারিশ করলে আদেশটি বাতিল করে সরকার। সম্প্রতি সেই বাতিল আদেশ বহাল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে করে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, ইউএনও ও এসিল্যান্ড কার্যালয়ের কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নিজেদের পদবি ও বেতন গ্রেড উন্নয়নের দাবিতে আন্দোলনে নামেন।
একই দাবিতে ২০২০ সালে ১৫ থেকে ৩০ নভেম্বর কর্মবিরতি পালন করেন মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীরা। এরপর ২০২১ সালের শুরুতে টানা আন্দোলনের ঘোষণা দেন তারা। তখন তৎকালীন জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যা নিষ্পত্তির আশ্বাস দেন, এরপর কর্মসূচি স্থগিত করেন তারা। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আবারও আন্দোলনের ঘোষণা দেন কর্মচারীদের নেতারা। তখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ সেই কর্মসূচি কিছুদিনের জন্য স্থগিত করে দাবি আদায় না হলে ১ মার্চ থেকে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন কর্মচারীরা।
বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তনে সম্মতি দিয়েছে সরকার। ছয়টি শর্তে অর্থ বিভাগ মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তনে সায় দিয়ে গত সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
মাঠ প্রশাসনের তিনটি অফিসের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তনের অনুরোধ জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ১৬ মার্চ অর্থ বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছিল। সেখানে ১৩তম গ্রেডের অফিস সুপারিনটেনডেন্ট, সিএকাম উচ্চমান সহকারী ও সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটরের পদনাম বদলে উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা; ১৪তম গ্রেডের প্রধান সহকারী, ট্রেজারি হিসাবরক্ষক, সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর ও পরিসংখ্যান সহকারীর পদনাম সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং ১৫তম গ্রেডের উচ্চমান সহকারীর পদনাম পরিবর্তন করে উপ-সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা করার অনুরোধ জানানো হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে অর্থ বিভাগ।
পদনাম পরিবর্তনে সম্মতি দিয়ে অর্থ বিভাগ বলেছে, পদ নাম পরিবর্তন হলেও বেতন গ্রেড পরিবর্তন করা যাবে না এবং বিদ্যমান নিয়োগ বিধি সংশোধন করতে হবে। এ ছাড়া পদনাম পরিবর্তনের আগে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির অনুমোদন এবং প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর অনুমোদন নিতে হবে। আর পরিবর্তিত পদ নামগুলোর পদসংখ্যা বিদ্যমান পদগুলোর মোট পদসংখ্যার সমান হবে, অর্থাৎ মোট পদসংখ্যার কোনো কম-বেশি হবে না।
মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীরা পদবি পরিবর্তন ও বেতন গ্রেড উন্নীতের দাবিতে গত ১ মার্চ থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ওই সব অফিসে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ। এরপর আন্দোলনরত কর্মচারী নেতাদের সচিবালয়ে ডেকে এনে তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। ওই বৈঠকের পর গত ১২ মার্চ কর্মবিরতির কর্মসূচি ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন কর্মচারীরা। কর্মসূচি স্থগিত করলেও দাবি আদায়ে আগামী ১ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহাসমাবেশ ঘোষণা করেন তারা।
বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতির (বাকাসস) সভাপতি মো. আকবর হোসেন মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তনে অর্থ বিভাগ সম্মতি দেওয়ায় আমরা ১ এপ্রিলের মহাসমাবেশ আর করছি না। কারণ পদনাম পরিবর্তনের পর বেতন গ্রেড উন্নীতের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে আমাদের মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।’
২০১৩ সালের ৩০ মে তহসিলদার (বর্তমান ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা) এবং সহকারী তহশিলদারদের (বর্তমান ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা) বেতন গ্রেড পাঁচ ধাপ উন্নীত করে ১১-১২তম গ্রেড করা হয়। এরপর অন্য অফিসে অস্থিরতা তৈরি হলে তা নিরসনে একটি কমিটি করে সরকার। চারজন সচিবের সমন্বয়ে সেই কমিটি ওই আদেশ বাতিলের সুপারিশ করলে আদেশটি বাতিল করে সরকার। সম্প্রতি সেই বাতিল আদেশ বহাল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে করে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, ইউএনও ও এসিল্যান্ড কার্যালয়ের কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নিজেদের পদবি ও বেতন গ্রেড উন্নয়নের দাবিতে আন্দোলনে নামেন।
একই দাবিতে ২০২০ সালে ১৫ থেকে ৩০ নভেম্বর কর্মবিরতি পালন করেন মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীরা। এরপর ২০২১ সালের শুরুতে টানা আন্দোলনের ঘোষণা দেন তারা। তখন তৎকালীন জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যা নিষ্পত্তির আশ্বাস দেন, এরপর কর্মসূচি স্থগিত করেন তারা। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আবারও আন্দোলনের ঘোষণা দেন কর্মচারীদের নেতারা। তখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ সেই কর্মসূচি কিছুদিনের জন্য স্থগিত করে দাবি আদায় না হলে ১ মার্চ থেকে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন কর্মচারীরা।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫