কাজল সরকার, হবিগঞ্জ
চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ভূমিহীন ৭৩টি পরিবারের হাতে ঘরের চাবি ও কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু ছয় মাস না যেতেই ঘর পাওয়া আটটি পরিবার তাদের জন্য বরাদ্দ করা ঘর ফেরত দিতে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছে। তারা মনে করে, এই ঘর বসবাসের উপযুক্ত না। মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী এসব ঘর সারা দেশে ভূমিহীনদের হাতে তুলে দিয়েছেন।
উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিল্টন পাল ঘর ফেরত দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাছাকাছি ইকরতলী এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৭৪টি ঘর নির্মাণ করে সরকার। ৭৩টি হস্তান্তর করা হয়।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আগে কালেঙ্গা বনে থাকতাম। সেখানে অনেক কাজ ছিল। বাগানে কাজ করতে পারতাম, জুমচাষ করতাম, লাকড়ি কুড়াতাম। কিন্তু এখানে ঘর পেলেও বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো কাজ নেই। পানির সমস্যা। ছয় মাস হয়ে গেছে বিদ্যুৎ নেই।’
আমিনুল বলেন, ‘বিদ্যুতের জন্য আমাদের কাছ থেকে ২ হাজার করে টাকা নিয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ দিচ্ছে না। তাই অনেকে চলে গেছে। আমরা চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আরেক বাসিন্দা আফিয়া বেগম বলেন, ‘এখানে কাজকাম নাই। বিদ্যুৎ নাই। পানির সমস্যা। কোনো নিরাপত্তা নাই। বখাটে পুলাপান দিনরাতে এখানে বিভিন্ন অসামাজিক কাজ করে।’ তিনি বলেন, ‘অন্য সব বাদ দিলাম, বাজার করার লাগি তিন কিলোমিটার দূরে যাওয়া লাগে। তিন কিলোমিটারের ভেতরে একটা লবণের প্যাকেটও কেনা যায় না। এখানে আমরা কীভাবে থাকব?’
গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির খান বলেন, ‘এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো কর্মসংস্থান নেই। যে কারণে এখানে কেউ থাকতে চান না। ইতিমধ্যে ৮–৯টি পরিবার উপজেলা প্রশাসনের কাছে ঘরের চাবি ও কাগজপত্র হস্তান্তর করে দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনই ভালো বলতে পারবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিৎ রায় দাশ বলেন, ‘এখানের সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। নতুন করে কয়েকটি টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। বিদ্যুতের জন্য মিটারসহ সংযোগ দিতে সরকারিভাবে চিঠি এসেছে। খুব শিগগির প্রত্যেক সংযোগ দেওয়া হবে। সেখানে খাসজমিতে কৃষি, হাঁস–মুরগি পালন, মাছ চাষ করার সুযোগ করে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মিল্টন পাল বলেন, ‘বেশ কয়েকটি পরিবার ঘর ফেরত নিতে আমাদের কাছে আবেদন করেছে। আমার তাদের আবেদন গ্রহণ করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ভূমিহীন ৭৩টি পরিবারের হাতে ঘরের চাবি ও কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু ছয় মাস না যেতেই ঘর পাওয়া আটটি পরিবার তাদের জন্য বরাদ্দ করা ঘর ফেরত দিতে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছে। তারা মনে করে, এই ঘর বসবাসের উপযুক্ত না। মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী এসব ঘর সারা দেশে ভূমিহীনদের হাতে তুলে দিয়েছেন।
উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিল্টন পাল ঘর ফেরত দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাছাকাছি ইকরতলী এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৭৪টি ঘর নির্মাণ করে সরকার। ৭৩টি হস্তান্তর করা হয়।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আগে কালেঙ্গা বনে থাকতাম। সেখানে অনেক কাজ ছিল। বাগানে কাজ করতে পারতাম, জুমচাষ করতাম, লাকড়ি কুড়াতাম। কিন্তু এখানে ঘর পেলেও বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো কাজ নেই। পানির সমস্যা। ছয় মাস হয়ে গেছে বিদ্যুৎ নেই।’
আমিনুল বলেন, ‘বিদ্যুতের জন্য আমাদের কাছ থেকে ২ হাজার করে টাকা নিয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ দিচ্ছে না। তাই অনেকে চলে গেছে। আমরা চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আরেক বাসিন্দা আফিয়া বেগম বলেন, ‘এখানে কাজকাম নাই। বিদ্যুৎ নাই। পানির সমস্যা। কোনো নিরাপত্তা নাই। বখাটে পুলাপান দিনরাতে এখানে বিভিন্ন অসামাজিক কাজ করে।’ তিনি বলেন, ‘অন্য সব বাদ দিলাম, বাজার করার লাগি তিন কিলোমিটার দূরে যাওয়া লাগে। তিন কিলোমিটারের ভেতরে একটা লবণের প্যাকেটও কেনা যায় না। এখানে আমরা কীভাবে থাকব?’
গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির খান বলেন, ‘এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো কর্মসংস্থান নেই। যে কারণে এখানে কেউ থাকতে চান না। ইতিমধ্যে ৮–৯টি পরিবার উপজেলা প্রশাসনের কাছে ঘরের চাবি ও কাগজপত্র হস্তান্তর করে দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনই ভালো বলতে পারবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিৎ রায় দাশ বলেন, ‘এখানের সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। নতুন করে কয়েকটি টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। বিদ্যুতের জন্য মিটারসহ সংযোগ দিতে সরকারিভাবে চিঠি এসেছে। খুব শিগগির প্রত্যেক সংযোগ দেওয়া হবে। সেখানে খাসজমিতে কৃষি, হাঁস–মুরগি পালন, মাছ চাষ করার সুযোগ করে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মিল্টন পাল বলেন, ‘বেশ কয়েকটি পরিবার ঘর ফেরত নিতে আমাদের কাছে আবেদন করেছে। আমার তাদের আবেদন গ্রহণ করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫