ঢাকা থেকে ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য হিন্দু–কে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে থেকে দেশে ফেরত আনার চেষ্টা করবে। তিনি বলেন, ‘আমরা সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া ব্যবহার করব তাঁকে ফিরিয়ে আনার জন্য। তবে, আমরা এখনো দ্বিপক্ষীয়ভাবে সরাসরি কোনো অনুরোধ করিনি।’
তবে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ বা কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের প্রশ্নে তিনি বলেছেন, এসব বিষয়ে তাঁর সরকার কোনো পদক্ষেপ নিতে চায় না।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছাকে সম্মান করছি। ইতিমধ্যে বিএনপি ঘোষণা দিয়েছে যে, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে। সুতরাং দেশের একটি বড় দলের মতামতকে উপেক্ষা করতে পারি না।’
তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে আপত্তি আছে কি না এ প্রশ্নে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি রাজনীতিবিদ নই। আমি কেবল রাজনীতিবিদদের ইচ্ছা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি।’
১০০ দিনের সাফল্য: অর্থনীতি ও আইনশৃঙ্খলা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিনের সাফল্য নিয়ে বলতে গিয়ে ইউনূস দাবি করেন, ‘অর্থনীতিতে আমরা “এ–প্লাস” গ্রেড পেয়েছি। আমাদের পাওনা পরিশোধের সক্ষমতা বেড়েছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে আমরা এখনো “এ” গ্রেড পাইনি, তবে উন্নতি হচ্ছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘যখন আমরা সরকার দায়িত্ব নিই, তখন অর্থনীতি ছিল ভঙ্গুর। ব্যাংক ব্যবস্থায় বিপর্যয় ছিল, যেখানে ৬০ শতাংশ ঋণ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এখন আমরা তা পুনরুদ্ধারের পথে এগোচ্ছি।’
সংখ্যালঘু অধিকার এবং সুরক্ষা
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, ‘এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রচারণা। আমার প্রথম ফোনালাপে আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বলেছি যে, এটি বাস্তবতা নয়। এটি অপপ্রচার। আমরা সবাই নাগরিক এবং আমাদের সংবিধান আমাদের পূর্ণ অধিকার দিয়েছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আমাদের সরকার মানবাধিকার রক্ষা এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক
নির্বাচনী প্রচারণার সময় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে ৫ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতিতে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনামূলক মন্তব্যের বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘যখন তিনি বাস্তব পরিস্থিতি দেখবেন, তখন তিনি অবাক হবেন। আমাদের অর্থনীতি ভালো হলে, সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।’
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক এবং সাংস্কৃতিক বন্ধন রয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সার্ক পুনরুজ্জীবিত করার প্রস্তাব দিয়েছি। আমাদের একত্রে এগিয়ে যেতে হবে।’
শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রমের প্রভাব
শেখ হাসিনার ভারত থেকে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘তিনি বাংলাদেশে আন্দোলন করার আহ্বান জানাচ্ছেন, যা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের ওপর প্রভাব ফেলছে।’
তিনি সতর্ক করেন, ‘যদি ভারত কোনো রাজনৈতিক কারণে তাঁকে আশ্রয় দেয়, এটি ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।’
ভবিষ্যৎ নির্বাচন ও সরকারের মেয়াদ
নির্বাচন প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা শুধু একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নই; আমাদের কাজ হলো বাংলাদেশকে সংস্কার করা। নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ হওয়ার পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন হোক, তবে সাংবিধানিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের জন্য সময় প্রয়োজন।’
ঢাকা থেকে ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য হিন্দু–কে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে থেকে দেশে ফেরত আনার চেষ্টা করবে। তিনি বলেন, ‘আমরা সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া ব্যবহার করব তাঁকে ফিরিয়ে আনার জন্য। তবে, আমরা এখনো দ্বিপক্ষীয়ভাবে সরাসরি কোনো অনুরোধ করিনি।’
তবে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ বা কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের প্রশ্নে তিনি বলেছেন, এসব বিষয়ে তাঁর সরকার কোনো পদক্ষেপ নিতে চায় না।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছাকে সম্মান করছি। ইতিমধ্যে বিএনপি ঘোষণা দিয়েছে যে, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে। সুতরাং দেশের একটি বড় দলের মতামতকে উপেক্ষা করতে পারি না।’
তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে আপত্তি আছে কি না এ প্রশ্নে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি রাজনীতিবিদ নই। আমি কেবল রাজনীতিবিদদের ইচ্ছা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি।’
১০০ দিনের সাফল্য: অর্থনীতি ও আইনশৃঙ্খলা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিনের সাফল্য নিয়ে বলতে গিয়ে ইউনূস দাবি করেন, ‘অর্থনীতিতে আমরা “এ–প্লাস” গ্রেড পেয়েছি। আমাদের পাওনা পরিশোধের সক্ষমতা বেড়েছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে আমরা এখনো “এ” গ্রেড পাইনি, তবে উন্নতি হচ্ছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘যখন আমরা সরকার দায়িত্ব নিই, তখন অর্থনীতি ছিল ভঙ্গুর। ব্যাংক ব্যবস্থায় বিপর্যয় ছিল, যেখানে ৬০ শতাংশ ঋণ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এখন আমরা তা পুনরুদ্ধারের পথে এগোচ্ছি।’
সংখ্যালঘু অধিকার এবং সুরক্ষা
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, ‘এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রচারণা। আমার প্রথম ফোনালাপে আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বলেছি যে, এটি বাস্তবতা নয়। এটি অপপ্রচার। আমরা সবাই নাগরিক এবং আমাদের সংবিধান আমাদের পূর্ণ অধিকার দিয়েছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আমাদের সরকার মানবাধিকার রক্ষা এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক
নির্বাচনী প্রচারণার সময় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে ৫ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতিতে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনামূলক মন্তব্যের বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘যখন তিনি বাস্তব পরিস্থিতি দেখবেন, তখন তিনি অবাক হবেন। আমাদের অর্থনীতি ভালো হলে, সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।’
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক এবং সাংস্কৃতিক বন্ধন রয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সার্ক পুনরুজ্জীবিত করার প্রস্তাব দিয়েছি। আমাদের একত্রে এগিয়ে যেতে হবে।’
শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রমের প্রভাব
শেখ হাসিনার ভারত থেকে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘তিনি বাংলাদেশে আন্দোলন করার আহ্বান জানাচ্ছেন, যা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের ওপর প্রভাব ফেলছে।’
তিনি সতর্ক করেন, ‘যদি ভারত কোনো রাজনৈতিক কারণে তাঁকে আশ্রয় দেয়, এটি ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।’
ভবিষ্যৎ নির্বাচন ও সরকারের মেয়াদ
নির্বাচন প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা শুধু একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নই; আমাদের কাজ হলো বাংলাদেশকে সংস্কার করা। নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ হওয়ার পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন হোক, তবে সাংবিধানিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের জন্য সময় প্রয়োজন।’
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫