Ajker Patrika

তিন দিনে হাসপাতালে ভর্তি ৭৮৮ ডেঙ্গু রোগী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তিন দিনে হাসপাতালে ভর্তি ৭৮৮ ডেঙ্গু রোগী

লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। এর মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে। গত একদিনে হাসপাতালে ২৬৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে শুধু রাজধানী ঢাকাতেই ভর্তি হয়েছেন ২৪৮ জন।

গতকাল সোমবার সকাল আটটা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল আটটা পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৬৪ জন। এদের মধ্যে শুধু রাজধানী ঢাকাতেই ভর্তি হয়েছেন ২৪৮ জন। এর আগে গত রোববার সকাল আটটা থেকে গতকাল সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে ২৮৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন। এর আগে গত শনিবার সকাল আটটা থেকে গত রোববার সকাল আটটা পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন ২৩৭ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী এই চিত্র দেখা গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্যে দেখা যায়, যেখানে গত বছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ৪০৯ জন। সেখানে গত তিন দিনে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৭৮৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর জানুয়ারিতে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে নয়জন, মার্চে ১৩ জন, এপ্রিলে তিনজন, মে মাসে ৪৩ জন, জুনে ২৭১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। চলতি বছরের জুলাইয়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। জুলাইয়ে ২ হাজার ২৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। চলতি বছরের আগস্টে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করার ইঙ্গিত দিচ্ছে। আগস্ট মাসের প্রথম তিন দিনে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন ৭৮৮ জন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৪৪৬ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২ হাজার ৩৭০ জন। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন ১ হাজার ৭২ জন। এদের মধ্যে রাজধানীর ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন ১ হাজার ২৫ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি রয়েছেন ৪৭ জন।

দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। এডিসের লার্ভা শনাক্ত করতে প্রতিদিনই অভিযান চলছে। এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট দোকান ও ভবন মালিককে জেল-জরিমানাও করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সার্ভে সপ্তাহ শুরু করেছে। দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনা মূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত