নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চলতি বছরের গত ছয় মাসে স্থানীয় নির্বাচনসহ রাজনৈতিক কারণে দেশের ৬৪টি জেলার প্রায় সবকটিতেই সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সংবাদমাধ্যমে উঠে আসা ২৫১টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় ৪৪ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ সব ঘটনায় আহত হয়েছেন ২ হাজার ৮৮৭ জন। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত অর্ধ-বার্ষিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংখ্যাগত প্রতিবেদনে এ সব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি ১০টি জাতীয় দৈনিক ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ ও আসকের নিজস্ব সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ তুলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের আক্রমণের লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত করা হচ্ছে। এসব ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। এসবের মধ্য দিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার যেমন লঙ্ঘিত হচ্ছে, তেমনিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র বলছে, ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর পুলিশ ও র্যাবের সাত শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়েছিল। কিন্তু গত এপ্রিল মাসে আবারও র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময়ে বিচার বহির্ভূতভাবে ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ১০ ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তাদের মধ্যে ৬ জন পুলিশ কর্তৃক এবং ৪ জন র্যাব কর্তৃক নিহত বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ২ জন, শারীরিক নির্যাতনে ৫ জন, হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে একজন এবং অসুস্থ হয়ে দুজন মৃত্যুবরণ করেন। পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীর অভিযোগ অনুযায়ী, সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে ২ জনকে অপহরণ করার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে পরবর্তী সময় ১ জন ফেরত এসেছেন এবং অপরজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এছাড়াও আরও কয়েকজন সন্দেহজনক নিখোঁজ রয়েছেন যেসব ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যায়নি, তবে পরিবার ধারণা করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের তুলে নিয়ে যেতে পারেন।
গত ছয় মাসে কারা হেফাজতে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আসকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এর মধ্যে কয়েদি ১৩ জন এবং হাজতি ২৫ জন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ছয় মাসে গণপিটুনির ঘটনায় নিহত হন মোট ২০ জন। যৌন হয়রানি কেন্দ্রিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন ১৩১ জন নারী-পুরুষ। এর মধ্যে লাঞ্ছিত এবং হামলার শিকার হয়েছেন ৮২ জন নারী। গত ছয় মাসে মোট ৮০৭ শিশু বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে হত্যার শিকার হয়েছে ১৫২ শিশু এবং আত্মহত্যা করেছে ২৬ শিশু।
আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ছয় মাসে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৪টি প্রতিমা ভাঙচুর, মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ে ১১১ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি, মামলা ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। যাদের মধ্যে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার শিকার হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন সংবাদকর্মী। সীমান্তে বিএসএফ এর নির্যাতন ও গুলিতে নিহত হয়েছেন ৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ৪ জন ও অপহরণের শিকার হয়েছেন ৬ জন।
আসক মনে করে, মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে আইনের শাসন ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা অত্যাবশ্যকীয়। অন্যথায় বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত ঘটনা বৃদ্ধি পেতে থাকে। অর্ধ-বার্ষিক মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিবেদনে আসক রাষ্ট্রের কাছে নাগরিকের সব ধরনের মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার দ্রুততার সঙ্গে নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।
চলতি বছরের গত ছয় মাসে স্থানীয় নির্বাচনসহ রাজনৈতিক কারণে দেশের ৬৪টি জেলার প্রায় সবকটিতেই সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সংবাদমাধ্যমে উঠে আসা ২৫১টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় ৪৪ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ সব ঘটনায় আহত হয়েছেন ২ হাজার ৮৮৭ জন। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত অর্ধ-বার্ষিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংখ্যাগত প্রতিবেদনে এ সব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি ১০টি জাতীয় দৈনিক ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ ও আসকের নিজস্ব সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ তুলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের আক্রমণের লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত করা হচ্ছে। এসব ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। এসবের মধ্য দিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার যেমন লঙ্ঘিত হচ্ছে, তেমনিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র বলছে, ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর পুলিশ ও র্যাবের সাত শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়েছিল। কিন্তু গত এপ্রিল মাসে আবারও র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময়ে বিচার বহির্ভূতভাবে ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ১০ ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তাদের মধ্যে ৬ জন পুলিশ কর্তৃক এবং ৪ জন র্যাব কর্তৃক নিহত বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ২ জন, শারীরিক নির্যাতনে ৫ জন, হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে একজন এবং অসুস্থ হয়ে দুজন মৃত্যুবরণ করেন। পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীর অভিযোগ অনুযায়ী, সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে ২ জনকে অপহরণ করার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে পরবর্তী সময় ১ জন ফেরত এসেছেন এবং অপরজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এছাড়াও আরও কয়েকজন সন্দেহজনক নিখোঁজ রয়েছেন যেসব ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যায়নি, তবে পরিবার ধারণা করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের তুলে নিয়ে যেতে পারেন।
গত ছয় মাসে কারা হেফাজতে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আসকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এর মধ্যে কয়েদি ১৩ জন এবং হাজতি ২৫ জন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ছয় মাসে গণপিটুনির ঘটনায় নিহত হন মোট ২০ জন। যৌন হয়রানি কেন্দ্রিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন ১৩১ জন নারী-পুরুষ। এর মধ্যে লাঞ্ছিত এবং হামলার শিকার হয়েছেন ৮২ জন নারী। গত ছয় মাসে মোট ৮০৭ শিশু বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে হত্যার শিকার হয়েছে ১৫২ শিশু এবং আত্মহত্যা করেছে ২৬ শিশু।
আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ছয় মাসে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৪টি প্রতিমা ভাঙচুর, মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ে ১১১ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি, মামলা ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। যাদের মধ্যে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার শিকার হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন সংবাদকর্মী। সীমান্তে বিএসএফ এর নির্যাতন ও গুলিতে নিহত হয়েছেন ৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ৪ জন ও অপহরণের শিকার হয়েছেন ৬ জন।
আসক মনে করে, মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে আইনের শাসন ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা অত্যাবশ্যকীয়। অন্যথায় বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত ঘটনা বৃদ্ধি পেতে থাকে। অর্ধ-বার্ষিক মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিবেদনে আসক রাষ্ট্রের কাছে নাগরিকের সব ধরনের মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার দ্রুততার সঙ্গে নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫