নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বর্তমান সংসদে সরকারি দল ও বিরোধী দল একাকার। তাই জনগণের যে আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন এই সংসদ সেটি ঘটাতে পারছে না বলে দাবি করেছেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।
বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।
হারুনুর বলেছেন, জাতীয় সংসদ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। বর্তমান জাতীয় সংসদ, আমরা এখানে সরকারি দল, বিরোধী দল এই অভিন্ন মত একাকার হয়ে গেছি। আমাদের পাশে বিরোধী দলের সদস্যরা রয়েছেন। উনারাই বলছেন, আমরা কাগজে-কলমে বিরোধী দল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে যেখানে লাঙল ছিল সেখানে নৌকা নাই। যেখানে নৌকা ছিল সেখানে লাঙল নাই। তাদের দায়বদ্ধতা আছে। সত্যিকার অর্থে জনগণের যে আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন এই সংসদ সেটি ঘটাতে পারছে না।
হারুনুর রশীদ বলেন, পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয় নাই। আমাদের একপক্ষের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে অন্যপক্ষ জয়ী হয়েছে। আর ভবিষ্যতে কী হবে আমি বলতে পারব না। সত্যিকার অর্থে আজকে আমাদের জাতীয় একটি বিরাট সংকট। উচ্চশিক্ষাঙ্গন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডাক্তার হয়, ইঞ্জিনিয়ার হয়, এবং ওই উচ্চশিক্ষাঙ্গণ থেকে জাতীয় নেতাও তৈরি হয়। কিন্তু আজকে ডাক্তার তৈরি হচ্ছে, ইঞ্জিনিয়ার তৈরি হচ্ছে কিন্তু আজকে নেতা তৈরি হচ্ছে না উচ্চশিক্ষাঙ্গন থেকে। কারণ সেখানে রাজনীতি নাই, রাজনীতির চর্চা নাই। আজকে জাতি একটা গভীর সংকটের মধ্যে পড়েছে। অবশ্যই রাজনীতি চর্চায় আমাদের ফিরে আসতে হবে। বিরোধী দলকে আজকে রাজনৈতিক কথা বলার সুযোগ দিতে হবে।
হারুনুর রশীদ বলেন, যারা সামনের দিনে দেশকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে সেই মানুষগুলো আমরা তৈরি করতে পারছি না। যোগ্য মানুষ তৈরির জন্য প্রয়োজন অনুভব করছি না। প্রয়োজন যুগোপযোগী জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের শিক্ষা পরিকল্পনা মোটেও যুগোপযোগী নয়। কোনো প্রচেষ্টা বা উদ্যোগ আমরা দেখছি না। একটা দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ, কার্যকর পদক্ষেপ যদি আমরা নিতে না পারি বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আমরা বড় রকমের ক্ষতির মুখে পড়ব।
রাজনৈতিক প্রশাসনিক সর্বস্তরে মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আশঙ্কাজনকভাবে দুর্নীতির ভয়াবহ বিস্তার। শিক্ষা ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস, বিভিন্ন নিয়োগে প্রশ্নপত্র ফাঁস। এমসিকিউ পদ্ধতির মাধ্যমে জনশূন্য প্রজন্মের বিস্তৃতি শিক্ষা ব্যবস্থাকে দেউলিয়া থেকে আরও দেউলিয়ার দিকে আমরা নিয়ে যাচ্ছি। জাতি হিসেবে আমরা সব দিক থেকেই যেন একটা ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এই কথাগুলো বললে, আমাদের সরকার দলীয় সদস্যরা অনেকে কষ্ট পাবেন। সত্য সত্যিকার অর্থেই বড়ই কঠিন।
সংবিধানের একটি প্রস্তাবনা তুলে ধরে বিএনপি দলীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, এখন বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্থানীয় সরকারের নির্বাচন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এর আগেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার রূপকল্প-২০৪১ সাল পর্যন্ত রয়েছে, দরকার কী নির্বাচনের নামে এ ধরনের প্রহসন? নির্বাচনের নামে এই ধরনের হানাহানি সংঘাত খুনোখুনি দরকার কী? আমার নির্বাচনী এলাকায় আগামী ৩০ তারিখ পৌরসভা নির্বাচন রয়েছে। কিছুক্ষণ আগে খবর পেলাম সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী কাজ করে? দায়িত্ব কী?
হারুনুর রশীদ বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে সর্বদা গালিগালাজ করছি নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলছি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে সংবিধানে পরিষ্কারভাবে যে বলা হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে রাষ্ট্র, আইন বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ সকলেই যে নিরবচ্ছিন্নভাবে সহযোগিতা করবে। নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ যদি সহযোগিতা না করে আমি কীভাবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে পারব?
হারুনুর রশীদ বলেন, আজকে যারা বিনা ভোটে, নির্বাচন কমিশন যাদেরকে নির্বাচিত ঘোষণা করছে তাদেরকে আমি কী বলব? অনির্বাচিত বলব? না নির্বাচিত বলব? তারা তো নিশ্চয়ই বিনা ভোটে নির্বাচিত। এই সংবিধান আমাদেরকে পরিষ্কারভাবে বলে দিচ্ছে ১১ অনুচ্ছেদে যে যারা সেখানে ভোটার তাদের মাধ্যমে নির্বাচিত করতে হবে স্থানীয় প্রতিনিধিদের। কিন্তু এই ক্ষেত্রে আমরা ব্যর্থ। এই ক্ষেত্রে আমরা সত্যিকার অর্থেই ব্যর্থ। তৃণমূল পর্যায়ের একটি ইউনিয়ন পরিষদে এই বছরে তৃতীয় ধাপের নির্বাচন আগামী ৩০ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে। এ যাবৎ গণমাধ্যমে যে তথ্য এসেছে ৩০০ / ৪০০ অধিক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ও গোটা পরিষদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। তাদেরকে কে নির্বাচিত করল? কে তাদেরকে মনোনীত করল? তারা কীভাবে জনগণের দায়িত্ব পালন করবে? এই কথাগুলো বলতে গেলে মাননীয় সরকারি দলের সদস্যরা আমাদেরকে বাধা দিচ্ছেন।
এই সংসদ সদস্য বলেন, আমাদেরকে বিভিন্নভাবে উপহাস করছেন, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছেন। আমাদের দেশের এখন পঞ্চাশ বছর পূর্তি। আজকে চিন্তা করতে হবে যে রাষ্ট্রের যে প্রতিষ্ঠানগুলি রয়েছে নির্বাচন কমিশন বলি, আইন বিভাগ বলি, বিচার বিভাগই বলি আর আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি কথাই বলি এদের প্রতি জনগণের আস্থা বেড়েছে? না আস্থা কমে গেছে? এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতি জনগণের আস্থা একেবারে তলানিতে চলে গেছে। আজকে যখন শুনি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা মানুষকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে নাশকতার মামলা দেয়। রাজনৈতিক হাজার হাজার মামলা আজকে রয়েছে।
বিএনপি দলীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, আজকে আমরা আমাদের বিবেক, আমাদের মনুষত্বকে হারিয়ে ফেলেছি। আমাদের বিবেক, মনুষত্বকে জাগ্রত করতে হবে। সত্য যা সেটি আমাদেরকে বলতে হবে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা পরিবর্তনের একমাত্র পথ, এটি আমরা বিশ্বাস করি। অবশ্যই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা নির্মাণ করতে হবে। কিন্তু আজকে আমাদের এই ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হয়ে গেছে। আমাদের গণতন্ত্রের সংকট, আমাদের আইনের সুশাসনের সংকট, আমাদের মাদকের যে ভয়াবহ বিস্তার ঘটছে এই সমস্ত সংকট থেকে জাতিকে মুক্ত করতে গেলে অবশ্যই জাতীয় ঐকমত্যের দরকার।
বর্তমান সংসদে সরকারি দল ও বিরোধী দল একাকার। তাই জনগণের যে আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন এই সংসদ সেটি ঘটাতে পারছে না বলে দাবি করেছেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।
বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।
হারুনুর বলেছেন, জাতীয় সংসদ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। বর্তমান জাতীয় সংসদ, আমরা এখানে সরকারি দল, বিরোধী দল এই অভিন্ন মত একাকার হয়ে গেছি। আমাদের পাশে বিরোধী দলের সদস্যরা রয়েছেন। উনারাই বলছেন, আমরা কাগজে-কলমে বিরোধী দল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে যেখানে লাঙল ছিল সেখানে নৌকা নাই। যেখানে নৌকা ছিল সেখানে লাঙল নাই। তাদের দায়বদ্ধতা আছে। সত্যিকার অর্থে জনগণের যে আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন এই সংসদ সেটি ঘটাতে পারছে না।
হারুনুর রশীদ বলেন, পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয় নাই। আমাদের একপক্ষের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে অন্যপক্ষ জয়ী হয়েছে। আর ভবিষ্যতে কী হবে আমি বলতে পারব না। সত্যিকার অর্থে আজকে আমাদের জাতীয় একটি বিরাট সংকট। উচ্চশিক্ষাঙ্গন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডাক্তার হয়, ইঞ্জিনিয়ার হয়, এবং ওই উচ্চশিক্ষাঙ্গণ থেকে জাতীয় নেতাও তৈরি হয়। কিন্তু আজকে ডাক্তার তৈরি হচ্ছে, ইঞ্জিনিয়ার তৈরি হচ্ছে কিন্তু আজকে নেতা তৈরি হচ্ছে না উচ্চশিক্ষাঙ্গন থেকে। কারণ সেখানে রাজনীতি নাই, রাজনীতির চর্চা নাই। আজকে জাতি একটা গভীর সংকটের মধ্যে পড়েছে। অবশ্যই রাজনীতি চর্চায় আমাদের ফিরে আসতে হবে। বিরোধী দলকে আজকে রাজনৈতিক কথা বলার সুযোগ দিতে হবে।
হারুনুর রশীদ বলেন, যারা সামনের দিনে দেশকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে সেই মানুষগুলো আমরা তৈরি করতে পারছি না। যোগ্য মানুষ তৈরির জন্য প্রয়োজন অনুভব করছি না। প্রয়োজন যুগোপযোগী জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের শিক্ষা পরিকল্পনা মোটেও যুগোপযোগী নয়। কোনো প্রচেষ্টা বা উদ্যোগ আমরা দেখছি না। একটা দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ, কার্যকর পদক্ষেপ যদি আমরা নিতে না পারি বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আমরা বড় রকমের ক্ষতির মুখে পড়ব।
রাজনৈতিক প্রশাসনিক সর্বস্তরে মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আশঙ্কাজনকভাবে দুর্নীতির ভয়াবহ বিস্তার। শিক্ষা ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস, বিভিন্ন নিয়োগে প্রশ্নপত্র ফাঁস। এমসিকিউ পদ্ধতির মাধ্যমে জনশূন্য প্রজন্মের বিস্তৃতি শিক্ষা ব্যবস্থাকে দেউলিয়া থেকে আরও দেউলিয়ার দিকে আমরা নিয়ে যাচ্ছি। জাতি হিসেবে আমরা সব দিক থেকেই যেন একটা ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এই কথাগুলো বললে, আমাদের সরকার দলীয় সদস্যরা অনেকে কষ্ট পাবেন। সত্য সত্যিকার অর্থেই বড়ই কঠিন।
সংবিধানের একটি প্রস্তাবনা তুলে ধরে বিএনপি দলীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, এখন বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্থানীয় সরকারের নির্বাচন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এর আগেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার রূপকল্প-২০৪১ সাল পর্যন্ত রয়েছে, দরকার কী নির্বাচনের নামে এ ধরনের প্রহসন? নির্বাচনের নামে এই ধরনের হানাহানি সংঘাত খুনোখুনি দরকার কী? আমার নির্বাচনী এলাকায় আগামী ৩০ তারিখ পৌরসভা নির্বাচন রয়েছে। কিছুক্ষণ আগে খবর পেলাম সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী কাজ করে? দায়িত্ব কী?
হারুনুর রশীদ বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে সর্বদা গালিগালাজ করছি নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলছি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে সংবিধানে পরিষ্কারভাবে যে বলা হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে রাষ্ট্র, আইন বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ সকলেই যে নিরবচ্ছিন্নভাবে সহযোগিতা করবে। নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ যদি সহযোগিতা না করে আমি কীভাবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে পারব?
হারুনুর রশীদ বলেন, আজকে যারা বিনা ভোটে, নির্বাচন কমিশন যাদেরকে নির্বাচিত ঘোষণা করছে তাদেরকে আমি কী বলব? অনির্বাচিত বলব? না নির্বাচিত বলব? তারা তো নিশ্চয়ই বিনা ভোটে নির্বাচিত। এই সংবিধান আমাদেরকে পরিষ্কারভাবে বলে দিচ্ছে ১১ অনুচ্ছেদে যে যারা সেখানে ভোটার তাদের মাধ্যমে নির্বাচিত করতে হবে স্থানীয় প্রতিনিধিদের। কিন্তু এই ক্ষেত্রে আমরা ব্যর্থ। এই ক্ষেত্রে আমরা সত্যিকার অর্থেই ব্যর্থ। তৃণমূল পর্যায়ের একটি ইউনিয়ন পরিষদে এই বছরে তৃতীয় ধাপের নির্বাচন আগামী ৩০ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে। এ যাবৎ গণমাধ্যমে যে তথ্য এসেছে ৩০০ / ৪০০ অধিক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ও গোটা পরিষদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। তাদেরকে কে নির্বাচিত করল? কে তাদেরকে মনোনীত করল? তারা কীভাবে জনগণের দায়িত্ব পালন করবে? এই কথাগুলো বলতে গেলে মাননীয় সরকারি দলের সদস্যরা আমাদেরকে বাধা দিচ্ছেন।
এই সংসদ সদস্য বলেন, আমাদেরকে বিভিন্নভাবে উপহাস করছেন, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছেন। আমাদের দেশের এখন পঞ্চাশ বছর পূর্তি। আজকে চিন্তা করতে হবে যে রাষ্ট্রের যে প্রতিষ্ঠানগুলি রয়েছে নির্বাচন কমিশন বলি, আইন বিভাগ বলি, বিচার বিভাগই বলি আর আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি কথাই বলি এদের প্রতি জনগণের আস্থা বেড়েছে? না আস্থা কমে গেছে? এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতি জনগণের আস্থা একেবারে তলানিতে চলে গেছে। আজকে যখন শুনি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা মানুষকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে নাশকতার মামলা দেয়। রাজনৈতিক হাজার হাজার মামলা আজকে রয়েছে।
বিএনপি দলীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, আজকে আমরা আমাদের বিবেক, আমাদের মনুষত্বকে হারিয়ে ফেলেছি। আমাদের বিবেক, মনুষত্বকে জাগ্রত করতে হবে। সত্য যা সেটি আমাদেরকে বলতে হবে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা পরিবর্তনের একমাত্র পথ, এটি আমরা বিশ্বাস করি। অবশ্যই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা নির্মাণ করতে হবে। কিন্তু আজকে আমাদের এই ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হয়ে গেছে। আমাদের গণতন্ত্রের সংকট, আমাদের আইনের সুশাসনের সংকট, আমাদের মাদকের যে ভয়াবহ বিস্তার ঘটছে এই সমস্ত সংকট থেকে জাতিকে মুক্ত করতে গেলে অবশ্যই জাতীয় ঐকমত্যের দরকার।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫