নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনা কমেছে, স্কুলও খুলেছে। কিন্তু আটকে আছে সাড়ে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। এই পরীক্ষার অপেক্ষায় দিন পার করছেন ১৩ লক্ষাধিক প্রার্থী। আর কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনা পরিস্থিতির জন্য এই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পিএসসি (পাবলিক সার্ভিস কমিশন) কিংবা বড় কোনো পরীক্ষাই তো হচ্ছে না। আমাদের পরীক্ষা নিয়ে এত অস্থির কেন?’
গত বছরের ১৯ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৩২ হাজার ৫৭৭ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে প্রাক্-প্রাথমিক পর্যায়ে ২৫ হাজার ৬৩০ জন নিয়োগ পাবেন। বাকিদের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক হিসেবে নেওয়া হবে। গত ২৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অনলাইনে এই পদের জন্য আবেদন নেওয়া শুরু হয়। আবেদনের সময়সীমা ছিল ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত। আবেদনের এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর কেটে গেছে প্রায় ১০ মাস।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক পদে আবেদনকারী রাবেয়া আক্তার বলেন, ‘এক বছর হইতে বসল আবেদন করছি। কত পরীক্ষার তারিখ হইল, স্থগিত হইল, আবার তারিখও পড়ল, পরীক্ষা হইল। আর প্রাইমারির (প্রাথমিকের) পরীক্ষা আর হয় না।’
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী এখনো আমরা সমাবেশ করতে পারব না।’ এর মধ্যে ১৪ লাখ পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণে পরীক্ষা নেওয়াটা সমীচীন নয় বলে জানান তিনি।
প্রাথমিক শিক্ষক পদে মোট আবেদনকারী ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন। তবে এই সংখ্যাটা আগেরবারের চেয়ে কম। সবশেষ ২০১৯ সালের পরীক্ষায় ১৩ হাজার পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছিল ২৪ লাখের বেশি। কারণ, সে সময় উচ্চমাধ্যমিক পাসেই নারীরা প্রাথমিক শিক্ষক পদের
জন্য আবেদন করতে পেরেছেন। কিন্তু এবার আবেদনের যোগ্যতা স্নাতক পাস। করোনার কারণে স্নাতক বা সম্মান চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা না হওয়ায় অনেকেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে আবেদন করতে পারেননি।
বর্তমান বেতন স্কেল অনুযায়ী প্রশিক্ষণবিহীন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ১৫তম গ্রেড অনুযায়ী ৯ হাজার ৭০০ টাকা স্কেলে বেতন পান এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ১৪তম গ্রেডে ১০ হাজার ২০০ টাকা স্কেলে বেতন পান। তবে এবার নতুন করে যাঁরা সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন, তাঁদের বেতন হবে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর গ্রেড ১৩ অনুযায়ী ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা।
ডিপিই সূত্রে জানা গেছে, এবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে একাধিক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে, কেন্দ্রসচিব হিসেবে নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা থাকতে পারবেন না। লিখিত পরীক্ষার দিন লটারি করে কেন্দ্রসচিব নির্বাচন করা হবে। এ ছাড়া এবার চারটি ধাপে পরীক্ষা হবে বলে জানা গেছে।
ডিপিইর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, `আমাদের সব প্রস্তুতি আছে। পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজও শেষ। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এ বছর হওয়ার সম্ভাবনা কম। করোনা পরিস্থিতির কারণে আমরা ঝুঁকি নিতে চাচ্ছি না।’
করোনা কমেছে, স্কুলও খুলেছে। কিন্তু আটকে আছে সাড়ে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। এই পরীক্ষার অপেক্ষায় দিন পার করছেন ১৩ লক্ষাধিক প্রার্থী। আর কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনা পরিস্থিতির জন্য এই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পিএসসি (পাবলিক সার্ভিস কমিশন) কিংবা বড় কোনো পরীক্ষাই তো হচ্ছে না। আমাদের পরীক্ষা নিয়ে এত অস্থির কেন?’
গত বছরের ১৯ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৩২ হাজার ৫৭৭ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে প্রাক্-প্রাথমিক পর্যায়ে ২৫ হাজার ৬৩০ জন নিয়োগ পাবেন। বাকিদের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক হিসেবে নেওয়া হবে। গত ২৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অনলাইনে এই পদের জন্য আবেদন নেওয়া শুরু হয়। আবেদনের সময়সীমা ছিল ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত। আবেদনের এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর কেটে গেছে প্রায় ১০ মাস।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক পদে আবেদনকারী রাবেয়া আক্তার বলেন, ‘এক বছর হইতে বসল আবেদন করছি। কত পরীক্ষার তারিখ হইল, স্থগিত হইল, আবার তারিখও পড়ল, পরীক্ষা হইল। আর প্রাইমারির (প্রাথমিকের) পরীক্ষা আর হয় না।’
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী এখনো আমরা সমাবেশ করতে পারব না।’ এর মধ্যে ১৪ লাখ পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণে পরীক্ষা নেওয়াটা সমীচীন নয় বলে জানান তিনি।
প্রাথমিক শিক্ষক পদে মোট আবেদনকারী ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন। তবে এই সংখ্যাটা আগেরবারের চেয়ে কম। সবশেষ ২০১৯ সালের পরীক্ষায় ১৩ হাজার পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছিল ২৪ লাখের বেশি। কারণ, সে সময় উচ্চমাধ্যমিক পাসেই নারীরা প্রাথমিক শিক্ষক পদের
জন্য আবেদন করতে পেরেছেন। কিন্তু এবার আবেদনের যোগ্যতা স্নাতক পাস। করোনার কারণে স্নাতক বা সম্মান চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা না হওয়ায় অনেকেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে আবেদন করতে পারেননি।
বর্তমান বেতন স্কেল অনুযায়ী প্রশিক্ষণবিহীন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ১৫তম গ্রেড অনুযায়ী ৯ হাজার ৭০০ টাকা স্কেলে বেতন পান এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ১৪তম গ্রেডে ১০ হাজার ২০০ টাকা স্কেলে বেতন পান। তবে এবার নতুন করে যাঁরা সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন, তাঁদের বেতন হবে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর গ্রেড ১৩ অনুযায়ী ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা।
ডিপিই সূত্রে জানা গেছে, এবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে একাধিক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে, কেন্দ্রসচিব হিসেবে নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা থাকতে পারবেন না। লিখিত পরীক্ষার দিন লটারি করে কেন্দ্রসচিব নির্বাচন করা হবে। এ ছাড়া এবার চারটি ধাপে পরীক্ষা হবে বলে জানা গেছে।
ডিপিইর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, `আমাদের সব প্রস্তুতি আছে। পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজও শেষ। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এ বছর হওয়ার সম্ভাবনা কম। করোনা পরিস্থিতির কারণে আমরা ঝুঁকি নিতে চাচ্ছি না।’
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫