তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
মঙ্গলবার রাত ১০টা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাঘাচং স্টেশনে প্রবেশ করছিল কমিউটার ট্রেন তিতাস। ট্রেনের পেছনের দিকে ২ নম্বর বগিতে জানালার পাশে বসা ছিলেন জসিম উদ্দিন। হঠাৎ বাইরে থেকে ছুটে আসে ঢিল। আঘাত করে জসিমের মাথায়। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো বগিতে।
২৩ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে ঢাকা থেকে জামালপুরগামী একটি কমিউটার ট্রেন। ট্রেনটি স্টেশন ছাড়ার পরেই ডাকাতের দল হানা দেয় ছাদে। কেড়ে নেয় যাত্রীদের টাকা ও মোবাইল ফোনসেট। প্রতিরোধ করতে গিয়ে হামলায় প্রাণ হারান দুই যাত্রী।
চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি—এসব নতুন নয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বেড়ে গেছে এসব ঘটনা। গত ৯ মাসে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে ১১০টি। আর চুরি-ছিনতাই তো আছেই। এসব ঘটনায় দিনদিন অনিরাপদ হয়ে উঠছে নিরাপদ বাহন হিসেবে পরিচিত রেলভ্রমণ।
ট্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় ও শঙ্কা দুটোই বাড়ছে যাত্রীদের মধ্যে। কমলাপুর রেলস্টেশনে কথা হয় ময়মনসিংহগামী এক যাত্রীর সঙ্গে। আমজাদ হোসেন নামের ওই যাত্রী বলেন, ‘আমি নিয়মিত কমিউটার ট্রেনে যাতায়াত করি। বিমানবন্দর স্টেশন পার হওয়ার পর ট্রেনের ছাদেও যাত্রী ওঠে। ট্রেনের ভেতরে আসন ছাড়া যাত্রী তোলা হয়। যাত্রীদের চাপে মাঝে মাঝে মানুষের পকেট মারাসহ যাত্রীদের মালামালও হারিয়ে যায় লোকাল ট্রেন থেকে।
ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে শাজাহান খান নামের আরেক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘লোকাল ট্রেনে আমাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। যে যখন পারছে ট্রেনে পাথর মারছে, কে কখন কোন স্টেশন থেকে ওঠে বোঝা যায় না। কারণ, এসব ট্রেনে নিরাপত্তাবাহিনীর কেউ থাকে না। হয় না ঠিকমতো টিকিট চেকিং। আন্তনগর ট্রেনে পুলিশ দেখা গেলেও টাকার বিনিময়ে যাত্রী তুলতেই ব্যস্ত থাকে তারা।’
দেশের যত মানুষ ট্রেনে ভ্রমণ করে, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি যাত্রী থাকে লোকাল ট্রেনে। অথচ সেখানেই নিরাপত্তার ঘাটতি সবচেয়ে বেশি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, একটি আন্তনগর ট্রেনে ১৮ থেকে ২০টি বগির যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য রেল পুলিশের তিনজন সদস্য থাকেন। কিন্তু লোকাল, কমিউটার ও মেইল ট্রেনে তা-ও থাকেন না। ট্রেনের যাত্রীদের নিরাপত্তা ঘাটতির শুরুটা এখান থেকেই হয়। এ ছাড়া নিয়ম না মেনে ছাদে যাত্রী তোলার বিষয়টি তো আছেই।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, লোকাল ট্রেনে পুলিশ থাকার কোনো নিয়ম নেই। কারণ, এসব ট্রেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চালানো হয়। বর্তমানে সারা দেশে ১০০টি আন্তনগর এবং ১১৭টি মেইল, লোকাল, কমিউটার ডেমু ট্রেন চলাচল করছে। এসব ট্রেনের ৫৪টি চলে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়গুলো রেলের পুলিশ বাহিনী দেখে। তবে কোনো নিরাপত্তাই তো নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থা নয়। ফলে বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা ঘটতেই পারে।’
রেলওয়ের মালামাল ও সম্পদ রক্ষার জন্য রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) এবং ট্রেনের যাত্রীদের নিরাপত্তায় ও অপরাধ দমনের বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) কাজ করে থাকে। তবে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, দুটি বাহিনী হওয়ায় কাজ ঠিকমতো হয় না। তাই যাত্রী নিরাপত্তা এবং রেলসম্পদ রক্ষার জন্য দুটি বাহিনী না রেখে একটি বাহিনীর ওপর দায়িত্ব দিলে ভালো হতো।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীতে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন সদস্য রয়েছেন। রেলওয়ে পুলিশের আছে প্রায় ২ হাজার ৩০০ জন সদস্য সারা দেশে ট্রেনের যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য। ট্রেনের তুলনায় দুই বাহিনীর লোকবলের সংকট রয়েছে, যার ফলে প্রয়োজনীয় সেবা দিতে পারছেন না তাঁরা।
ঢাকা রেলওয়ে জেলার পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জামালপুরের ঘটনার পর স্টেশনগুলোতে পুলিশের তৎপরতা আরও বাড়ানো হয়েছে। স্টেশনে বা ট্রেনে কাউকে সন্দেহ মনে হলে তল্লাশি করা হচ্ছে। যেহেতু আমাদের লোকবল কম, ফলে লোকাল ও কমিউটার ট্রেনে আমরা নিরাপত্তা দিই না। রেলওয়ে পুলিশের জনবল আরও বাড়ালে যাত্রীদের ট্রেনে পুরোপুরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে।’
মঙ্গলবার রাত ১০টা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাঘাচং স্টেশনে প্রবেশ করছিল কমিউটার ট্রেন তিতাস। ট্রেনের পেছনের দিকে ২ নম্বর বগিতে জানালার পাশে বসা ছিলেন জসিম উদ্দিন। হঠাৎ বাইরে থেকে ছুটে আসে ঢিল। আঘাত করে জসিমের মাথায়। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো বগিতে।
২৩ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে ঢাকা থেকে জামালপুরগামী একটি কমিউটার ট্রেন। ট্রেনটি স্টেশন ছাড়ার পরেই ডাকাতের দল হানা দেয় ছাদে। কেড়ে নেয় যাত্রীদের টাকা ও মোবাইল ফোনসেট। প্রতিরোধ করতে গিয়ে হামলায় প্রাণ হারান দুই যাত্রী।
চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি—এসব নতুন নয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বেড়ে গেছে এসব ঘটনা। গত ৯ মাসে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে ১১০টি। আর চুরি-ছিনতাই তো আছেই। এসব ঘটনায় দিনদিন অনিরাপদ হয়ে উঠছে নিরাপদ বাহন হিসেবে পরিচিত রেলভ্রমণ।
ট্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় ও শঙ্কা দুটোই বাড়ছে যাত্রীদের মধ্যে। কমলাপুর রেলস্টেশনে কথা হয় ময়মনসিংহগামী এক যাত্রীর সঙ্গে। আমজাদ হোসেন নামের ওই যাত্রী বলেন, ‘আমি নিয়মিত কমিউটার ট্রেনে যাতায়াত করি। বিমানবন্দর স্টেশন পার হওয়ার পর ট্রেনের ছাদেও যাত্রী ওঠে। ট্রেনের ভেতরে আসন ছাড়া যাত্রী তোলা হয়। যাত্রীদের চাপে মাঝে মাঝে মানুষের পকেট মারাসহ যাত্রীদের মালামালও হারিয়ে যায় লোকাল ট্রেন থেকে।
ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে শাজাহান খান নামের আরেক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘লোকাল ট্রেনে আমাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। যে যখন পারছে ট্রেনে পাথর মারছে, কে কখন কোন স্টেশন থেকে ওঠে বোঝা যায় না। কারণ, এসব ট্রেনে নিরাপত্তাবাহিনীর কেউ থাকে না। হয় না ঠিকমতো টিকিট চেকিং। আন্তনগর ট্রেনে পুলিশ দেখা গেলেও টাকার বিনিময়ে যাত্রী তুলতেই ব্যস্ত থাকে তারা।’
দেশের যত মানুষ ট্রেনে ভ্রমণ করে, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি যাত্রী থাকে লোকাল ট্রেনে। অথচ সেখানেই নিরাপত্তার ঘাটতি সবচেয়ে বেশি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, একটি আন্তনগর ট্রেনে ১৮ থেকে ২০টি বগির যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য রেল পুলিশের তিনজন সদস্য থাকেন। কিন্তু লোকাল, কমিউটার ও মেইল ট্রেনে তা-ও থাকেন না। ট্রেনের যাত্রীদের নিরাপত্তা ঘাটতির শুরুটা এখান থেকেই হয়। এ ছাড়া নিয়ম না মেনে ছাদে যাত্রী তোলার বিষয়টি তো আছেই।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, লোকাল ট্রেনে পুলিশ থাকার কোনো নিয়ম নেই। কারণ, এসব ট্রেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চালানো হয়। বর্তমানে সারা দেশে ১০০টি আন্তনগর এবং ১১৭টি মেইল, লোকাল, কমিউটার ডেমু ট্রেন চলাচল করছে। এসব ট্রেনের ৫৪টি চলে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়গুলো রেলের পুলিশ বাহিনী দেখে। তবে কোনো নিরাপত্তাই তো নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থা নয়। ফলে বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা ঘটতেই পারে।’
রেলওয়ের মালামাল ও সম্পদ রক্ষার জন্য রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) এবং ট্রেনের যাত্রীদের নিরাপত্তায় ও অপরাধ দমনের বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) কাজ করে থাকে। তবে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, দুটি বাহিনী হওয়ায় কাজ ঠিকমতো হয় না। তাই যাত্রী নিরাপত্তা এবং রেলসম্পদ রক্ষার জন্য দুটি বাহিনী না রেখে একটি বাহিনীর ওপর দায়িত্ব দিলে ভালো হতো।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীতে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন সদস্য রয়েছেন। রেলওয়ে পুলিশের আছে প্রায় ২ হাজার ৩০০ জন সদস্য সারা দেশে ট্রেনের যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য। ট্রেনের তুলনায় দুই বাহিনীর লোকবলের সংকট রয়েছে, যার ফলে প্রয়োজনীয় সেবা দিতে পারছেন না তাঁরা।
ঢাকা রেলওয়ে জেলার পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জামালপুরের ঘটনার পর স্টেশনগুলোতে পুলিশের তৎপরতা আরও বাড়ানো হয়েছে। স্টেশনে বা ট্রেনে কাউকে সন্দেহ মনে হলে তল্লাশি করা হচ্ছে। যেহেতু আমাদের লোকবল কম, ফলে লোকাল ও কমিউটার ট্রেনে আমরা নিরাপত্তা দিই না। রেলওয়ে পুলিশের জনবল আরও বাড়ালে যাত্রীদের ট্রেনে পুরোপুরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে।’
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫