জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা
জেলখানায় যাওয়া-আসা করা বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক জীবনটি ছিল অনিশ্চয়তায় পরিপূর্ণ। কোনো দিন দুপুরে ভাত খাচ্ছেন বাড়িতে, এ সময় হয়তো পুলিশের জিপ এসে থামছে বাড়ির সামনে। বুঝতে পারছেন আবার শুরু হবে জেলখানায় বসবাস।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের জন্ম হলেও চলচ্চিত্র বলতে তখন পর্যন্ত জনপ্রিয় ছিল ভারতীয় চলচ্চিত্র। পূর্ব পাকিস্তানের চলচ্চিত্রশিল্প তখনো গড়ে ওঠেনি। আব্দুল জব্বার খানের ‘মুখ ও মুখোশ’ আরও পরের ব্যাপার।
১৯৫৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে হঠাৎ করে বেশ কিছু বাংলা চলচ্চিত্র আমদানি করা হয়। উত্তম-সুচিত্রা জুটির ‘অগ্নিপরীক্ষা’, ‘শাপমোচন’, ‘সাগরিকা’, ‘শিল্পী’, ‘হারানো সুর’ ইত্যাদি ছবি জনপ্রিয় হয়। ওই বছর অক্টোবর মাসের দিকে ঢাকার মায়া সিনেমা হলে ‘শাপমোচন’ ছবিটি দেখানো হচ্ছিল। এই ছবির ‘ঝড় উঠেছে বাউল বাতাস’ আর ‘সুরের আকাশে তুমি যেন শুকতারা’ গান দুটো সবার মুখে মুখে ফিরত। একদিন মমিনুল হক খোকা বঙ্গবন্ধু ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে নিয়ে গেলেন ‘শাপমোচন’ ছবিটি দেখাতে। সদা ব্যস্ত মুজিবের সিনেমা দেখার সময় কোথায়? বেগম মুজিবের জবরদস্তিতে রাজি হয়েছিলেন। ছবি শেষ হলে বেগম মুজিব বললেন, ‘আমাদের তো প্রতিভার অভাব নেই, আমাদের দেশেও তো গড়ে উঠতে পারে সিনেমা শিল্প। কেন হচ্ছে না বুঝতে পারি না।’
উত্তরে বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘সিনেমা করার জন্য যে কাঠামো দরকার, তা এখানে কোথায়? বঞ্চনা তো সর্বক্ষেত্রেই।’বঙ্গবন্ধু কিন্তু বেগম মুজিবের প্রশ্নটির কথা ভুলে যাননি।
১৯৫৭ সালে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিম পাকিস্তানের চলচ্চিত্রশিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি সংস্থা গঠনকল্পে এক কোটি টাকা বরাদ্দের উদ্যোগ নেয়। এ অবস্থায় পূর্ব পাকিস্তানে চলচ্চিত্রশিল্পের জন্য সমপরিমাণ অর্থ বরাদ্দের দাবি তোলা হয়। সে দাবি তোলেন প্রাদেশিক চলচ্চিত্র বিভাগের প্রধান নাজীর আহমদ। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তারা তখন পূর্ব পাকিস্তানে একটি চলচ্চিত্র সংস্থা গঠনের পরামর্শ দেন। নাজীর আহমদ বিষয়টি তখনকার শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের গোচরে আনেন।
‘চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা’ প্রতিষ্ঠার বিলের একটি খসড়ার জন্য যেসব কাগজপত্র তৈরি করা দরকার, তা তৈরি করার নির্দেশ দেন বঙ্গবন্ধু।
তখন প্রাদেশিক আইন পরিষদের অধিবেশন শেষ হতে মাত্র দুদিন বাকি। এ অবস্থায় শিল্প দপ্তরের উপসচিব আবুল খায়ের ও নাজীর আহমদ এফডিসি বিলের কাগজপত্র তৈরি করেন। ওই বছরের ৩ এপ্রিল প্রাদেশিক আইন পরিষদের অধিবেশনের শেষ দিন বঙ্গবন্ধু ‘পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা’ বিল উত্থাপন করেন। বিলটি উত্থাপনের পর কিছু সংশোধনী আনেন পরিষদের সদস্যরা। পরে সংশোধিত বিলটি বিনা বাধায় আইন পরিষদে পাস হয়। যাত্রা করে পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা, যা আজকের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা বা এফডিসি নামে পরিচিত। এই এফডিসি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নেরই একটি প্রকাশ।
সূত্র: মমিনুল হক খোকা, অস্তরাগে স্মৃতি সমুজ্জ্বল, বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার ও আমি, পৃষ্ঠা ৫২–৫৪
জেলখানায় যাওয়া-আসা করা বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক জীবনটি ছিল অনিশ্চয়তায় পরিপূর্ণ। কোনো দিন দুপুরে ভাত খাচ্ছেন বাড়িতে, এ সময় হয়তো পুলিশের জিপ এসে থামছে বাড়ির সামনে। বুঝতে পারছেন আবার শুরু হবে জেলখানায় বসবাস।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের জন্ম হলেও চলচ্চিত্র বলতে তখন পর্যন্ত জনপ্রিয় ছিল ভারতীয় চলচ্চিত্র। পূর্ব পাকিস্তানের চলচ্চিত্রশিল্প তখনো গড়ে ওঠেনি। আব্দুল জব্বার খানের ‘মুখ ও মুখোশ’ আরও পরের ব্যাপার।
১৯৫৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে হঠাৎ করে বেশ কিছু বাংলা চলচ্চিত্র আমদানি করা হয়। উত্তম-সুচিত্রা জুটির ‘অগ্নিপরীক্ষা’, ‘শাপমোচন’, ‘সাগরিকা’, ‘শিল্পী’, ‘হারানো সুর’ ইত্যাদি ছবি জনপ্রিয় হয়। ওই বছর অক্টোবর মাসের দিকে ঢাকার মায়া সিনেমা হলে ‘শাপমোচন’ ছবিটি দেখানো হচ্ছিল। এই ছবির ‘ঝড় উঠেছে বাউল বাতাস’ আর ‘সুরের আকাশে তুমি যেন শুকতারা’ গান দুটো সবার মুখে মুখে ফিরত। একদিন মমিনুল হক খোকা বঙ্গবন্ধু ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে নিয়ে গেলেন ‘শাপমোচন’ ছবিটি দেখাতে। সদা ব্যস্ত মুজিবের সিনেমা দেখার সময় কোথায়? বেগম মুজিবের জবরদস্তিতে রাজি হয়েছিলেন। ছবি শেষ হলে বেগম মুজিব বললেন, ‘আমাদের তো প্রতিভার অভাব নেই, আমাদের দেশেও তো গড়ে উঠতে পারে সিনেমা শিল্প। কেন হচ্ছে না বুঝতে পারি না।’
উত্তরে বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘সিনেমা করার জন্য যে কাঠামো দরকার, তা এখানে কোথায়? বঞ্চনা তো সর্বক্ষেত্রেই।’বঙ্গবন্ধু কিন্তু বেগম মুজিবের প্রশ্নটির কথা ভুলে যাননি।
১৯৫৭ সালে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিম পাকিস্তানের চলচ্চিত্রশিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি সংস্থা গঠনকল্পে এক কোটি টাকা বরাদ্দের উদ্যোগ নেয়। এ অবস্থায় পূর্ব পাকিস্তানে চলচ্চিত্রশিল্পের জন্য সমপরিমাণ অর্থ বরাদ্দের দাবি তোলা হয়। সে দাবি তোলেন প্রাদেশিক চলচ্চিত্র বিভাগের প্রধান নাজীর আহমদ। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তারা তখন পূর্ব পাকিস্তানে একটি চলচ্চিত্র সংস্থা গঠনের পরামর্শ দেন। নাজীর আহমদ বিষয়টি তখনকার শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের গোচরে আনেন।
‘চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা’ প্রতিষ্ঠার বিলের একটি খসড়ার জন্য যেসব কাগজপত্র তৈরি করা দরকার, তা তৈরি করার নির্দেশ দেন বঙ্গবন্ধু।
তখন প্রাদেশিক আইন পরিষদের অধিবেশন শেষ হতে মাত্র দুদিন বাকি। এ অবস্থায় শিল্প দপ্তরের উপসচিব আবুল খায়ের ও নাজীর আহমদ এফডিসি বিলের কাগজপত্র তৈরি করেন। ওই বছরের ৩ এপ্রিল প্রাদেশিক আইন পরিষদের অধিবেশনের শেষ দিন বঙ্গবন্ধু ‘পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা’ বিল উত্থাপন করেন। বিলটি উত্থাপনের পর কিছু সংশোধনী আনেন পরিষদের সদস্যরা। পরে সংশোধিত বিলটি বিনা বাধায় আইন পরিষদে পাস হয়। যাত্রা করে পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা, যা আজকের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা বা এফডিসি নামে পরিচিত। এই এফডিসি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নেরই একটি প্রকাশ।
সূত্র: মমিনুল হক খোকা, অস্তরাগে স্মৃতি সমুজ্জ্বল, বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার ও আমি, পৃষ্ঠা ৫২–৫৪
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫