নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ফেসবুকে ভুয়া পোস্ট দেওয়ার কারণে দেশে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। ফলে এর দায় ফেসবুক এড়াতে পারে না। এ জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে নোটিশ করবে সরকার। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা হবে না।
আজ রোববার সচিবালয়ে সম্পাদক ফোরামের সঙ্গে বৈঠক শেষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কুমিল্লার ঘটনা যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড না হতো তাহলে এ ঘটনা বিস্তৃত হয়ে সারা দেশে এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না। রংপুরের পীরগঞ্জের ঘটনাও সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে। সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটে, ফেসবুকের পোস্টের কারণে এ ঘটনা ঘটে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নাসিরনগর, কক্সবাজার ও রামুর ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে। এটি নিয়ে ভাবার বিষয় আছে। এটি শুধু আমাদের দেশে নয়, বিশ্বব্যাপী এটি উদ্বেগ তৈরি করেছে। এক জরিপে উঠে এসেছে ইউরোপের ৮০ ভাগ মানুষ মনে করে সোশ্যাল মিডিয়া অনেক ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি, সমাজের স্থিতি ও শান্তির জন্য হুমকি। সরকারের পক্ষ থেকে অনেক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, বাংলাদেশেও যেন আইডি কার্ড দিয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে, সেই পদ্ধতি করার জন্য। কিন্তু ফেসবুক কর্তৃপক্ষ রাজি হয়নি।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে আমাদের দেশে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে ফেসবুকে ভুয়া পোস্ট দেওয়ার জন্য, এটির দায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বা সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। আমি মনে করি, এ নিয়ে আমাদের ভাবার প্রয়োজন আছে। বিশ্বব্যাপী এটি ভাবনার বিষয়, আলোচনার বিষয়।’
তবে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনার জন্য শুধু ফেসবুকের পোস্ট এককভাবে দায়ী বলে মনে করেন না তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তবে ফেসবুকে পোস্ট যদি না যেত, ভিডিও আপলোড না হতো, তাহলে যে পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে, সে পরিস্থিতি হতো না। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই যুক্ত ছিল, সবাই দায়ী। যে কোরআন শরিফ রেখে এসেছে সে দায়ী, তাকে যারা প্ররোচনা দিয়ে করিয়েছে তারা দায়ী। যারা একটি পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাইবাছাই না করে সমাজে হানাহানি তৈরি করল তারাও দায়ী। একই সঙ্গে ফেসবুক কর্তৃপক্ষও দায়ী। কারণ, তাদের মাধ্যমে ব্যবহার করে সমাজে অস্থিরতা তৈরির জন্য এ কাজগুলো করা হয়েছে। অবশ্যই ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে আমরা নোটিশ করব। এখানে তারা দায় এড়াতে পারে না। অতীতে যেসব ঘটনা ঘটেছে সেখানেও সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করা হয়েছে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা হবে কি না, এ প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে চাই না। কিন্তু সবকিছুই এমনভাবে পরিচালিত হওয়া প্রয়োজন সেটি যাতে খারাপ কাজে ব্যবহৃত না হয় এবং সেখানে যাতে স্বচ্ছতা থাকে। এখন ফেসবুকে পরিচয় গোপন করে ভুয়া আইডি দিয়ে পোস্ট দেওয়া হয়, তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এটির প্রতিকার দরকার আছে। কোনো কিছু নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।’
এদিকে বিজ্ঞাপনের বিল পরিশোধে সরকারি দপ্তরগুলোকে আবারও তাগাদাপত্র দেওয়া হবে বলে বৈঠকে সম্পাদক পরিষদের সদস্যদের জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘এ সপ্তাহেই আমরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইএমইডির সঙ্গে যোগাযোগ করব।’ ডিএফপির বিজ্ঞাপনের টাকা নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
ফেসবুকে ভুয়া পোস্ট দেওয়ার কারণে দেশে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। ফলে এর দায় ফেসবুক এড়াতে পারে না। এ জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে নোটিশ করবে সরকার। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা হবে না।
আজ রোববার সচিবালয়ে সম্পাদক ফোরামের সঙ্গে বৈঠক শেষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কুমিল্লার ঘটনা যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড না হতো তাহলে এ ঘটনা বিস্তৃত হয়ে সারা দেশে এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না। রংপুরের পীরগঞ্জের ঘটনাও সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে। সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটে, ফেসবুকের পোস্টের কারণে এ ঘটনা ঘটে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নাসিরনগর, কক্সবাজার ও রামুর ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে। এটি নিয়ে ভাবার বিষয় আছে। এটি শুধু আমাদের দেশে নয়, বিশ্বব্যাপী এটি উদ্বেগ তৈরি করেছে। এক জরিপে উঠে এসেছে ইউরোপের ৮০ ভাগ মানুষ মনে করে সোশ্যাল মিডিয়া অনেক ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি, সমাজের স্থিতি ও শান্তির জন্য হুমকি। সরকারের পক্ষ থেকে অনেক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, বাংলাদেশেও যেন আইডি কার্ড দিয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে, সেই পদ্ধতি করার জন্য। কিন্তু ফেসবুক কর্তৃপক্ষ রাজি হয়নি।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে আমাদের দেশে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে ফেসবুকে ভুয়া পোস্ট দেওয়ার জন্য, এটির দায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বা সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। আমি মনে করি, এ নিয়ে আমাদের ভাবার প্রয়োজন আছে। বিশ্বব্যাপী এটি ভাবনার বিষয়, আলোচনার বিষয়।’
তবে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনার জন্য শুধু ফেসবুকের পোস্ট এককভাবে দায়ী বলে মনে করেন না তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তবে ফেসবুকে পোস্ট যদি না যেত, ভিডিও আপলোড না হতো, তাহলে যে পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে, সে পরিস্থিতি হতো না। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই যুক্ত ছিল, সবাই দায়ী। যে কোরআন শরিফ রেখে এসেছে সে দায়ী, তাকে যারা প্ররোচনা দিয়ে করিয়েছে তারা দায়ী। যারা একটি পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাইবাছাই না করে সমাজে হানাহানি তৈরি করল তারাও দায়ী। একই সঙ্গে ফেসবুক কর্তৃপক্ষও দায়ী। কারণ, তাদের মাধ্যমে ব্যবহার করে সমাজে অস্থিরতা তৈরির জন্য এ কাজগুলো করা হয়েছে। অবশ্যই ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে আমরা নোটিশ করব। এখানে তারা দায় এড়াতে পারে না। অতীতে যেসব ঘটনা ঘটেছে সেখানেও সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করা হয়েছে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা হবে কি না, এ প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে চাই না। কিন্তু সবকিছুই এমনভাবে পরিচালিত হওয়া প্রয়োজন সেটি যাতে খারাপ কাজে ব্যবহৃত না হয় এবং সেখানে যাতে স্বচ্ছতা থাকে। এখন ফেসবুকে পরিচয় গোপন করে ভুয়া আইডি দিয়ে পোস্ট দেওয়া হয়, তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এটির প্রতিকার দরকার আছে। কোনো কিছু নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।’
এদিকে বিজ্ঞাপনের বিল পরিশোধে সরকারি দপ্তরগুলোকে আবারও তাগাদাপত্র দেওয়া হবে বলে বৈঠকে সম্পাদক পরিষদের সদস্যদের জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘এ সপ্তাহেই আমরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইএমইডির সঙ্গে যোগাযোগ করব।’ ডিএফপির বিজ্ঞাপনের টাকা নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫