নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
টিকা কেনাকাটায় অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউস গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সঠিক নয় বলে দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ ছাড়া সংস্থার অর্থায়নকারী হিসেবে অস্ট্রেলীয় কোম্পানি বিএইচপির নাম জড়িয়ে দেওয়া বক্তব্যেরও প্রতিবাদ জানিয়েছে বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।
আজ রোববার গণমাধ্যমে টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলমের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, মুখ্যসচিবের বক্তব্য বিভ্রান্তিকর এবং ভুল তথ্য ও ধারণা ভিত্তিক।
টিআইবি বলছে, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তাঁর বক্তব্যে টিআইবিকে উদ্ধৃত করে কোভিড টিকা কেনায় গড়ে ৬৯ টাকা ঘুষ দেওয়ার যে বিষয় অবতারণা করেছেন সেটি পুরোপুরি বিভ্রান্তিকর। কেননা ১২ এপ্রিল টিআইবি প্রকাশিত ‘করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবিলায় সুশাসন: অন্তর্ভুক্তি ও স্বচ্ছতার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে ৬৯ টাকা ঘুষ দেওয়ার বিষয়টি এসেছে টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে গ্রহীতাদের বুথ ফেরত জরিপের ফলাফলে। এটি কোনোভাবেই টিকা কেনাকাটার সঙ্গে যুক্ত নয়।
গবেষণার অংশ হিসেবে ৩ হাজার ৩৯৩ জন টিকা গ্রহীতার দৈবচয়নে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে বুথ ফেরত জরিপ করা হয়। এর মধ্যে ২ শতাংশ টিকা গ্রহীতা জানিয়েছেন, তাঁরা অনিয়ম-দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে—সময়ক্ষেপণ, টিকা কেন্দ্রে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ও সরকারি কর্মকর্তাদের সুবিধা দেওয়া, দুর্ব্যবহার এবং কিছু কেন্দ্রে টিকা থাকা সত্ত্বেও টিকা গ্রহীতাদের ফিরিয়ে দেওয়া অন্যতম। আবার অতিরিক্ত ভিড় এড়িয়ে দ্রুত টিকা পেতে ১০ দশমিক ১ শতাংশ গ্রহীতাকে গড়ে ৬৯ টাকা ঘুষ হিসেবে দিতে হয়েছে বলে জরিপে উঠে এসেছে। এটি কোনোভাবেই টিকা কেনায় কথিত ঘুষ দেওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত নয় বলে প্রতিবাদে উল্লেখ করেছে টিআইবি।
মুখ্যসচিব টিআইবির অর্থায়ন নিয়েও ভুল তথ্য বা ধারণার ভিত্তিতে অস্ট্রেলীয় মাইনিং কোম্পানি বিএইচপির নাম জড়িয়ে ফেলেছেন বলে দাবি করেছে সংস্থাটি। বলা হয়েছে, টিআইবি কখনোই বিএইচপির কাছ থেকে কোনো ধরনের তহবিল গ্রহণ করেনি এবং করার প্রশ্নও আসেনি। বিএইচপির সঙ্গে টিআইবির কখনো কোনোভাবেই পরিচিতি বা যোগাযোগ হয়নি। টিআইবিকে মূলত অর্থায়ন করে আসছে—ইউকে এআইডি (ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস-এফসিডিও), সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এজেন্সি (এসআইডিএ), সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন (এসডিসি)। এ সংক্রান্ত সব তথ্য টিআইবির ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত রয়েছে।
টিআইবির অর্থায়ন ও উল্লেখিত গবেষণা প্রতিবেদন বিষয়ে কোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে টিআইবি গবেষণা ও অর্থায়ন বিষয়ে সকল প্রকার তথ্য বিনিময় ও অধিপরামর্শ কার্যক্রমে আগ্রহী বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
গতকাল শনিবার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘এলডিসি পরবর্তীতে রপ্তানির চ্যালেঞ্জ: বেসরকারি খাতের জন্য বিকল্প’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমেদ কায়কাউস।
বিভিন্ন ইস্যুতে বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রসঙ্গক্রমে টিআইবির সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের বিষয়ে কায়কাউস বলেন, ‘তারা বলছে, কোভিডের প্রতিটি টিকা কেনায় আমাদের ৬৯ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। অথচ এসব টিকা কেনায় এডিবি, বিশ্ব ব্যাংক জড়িত ছিল।’
টিআইবি বাংলাদেশকে ‘চোর’ বলছে অভিযোগ করে সাবেক এই বিদ্যুৎ সচিব বলেন, ‘অথচ টিআইবিকে অর্থায়ন করছে অস্ট্রেলিয়ান ফার্ম বিপিএইচ। প্রতিষ্ঠানটি পরিবেশের ক্ষতি করার জন্য বারবার জরিমানার সম্মুখীন হয়েছে।’
টিআইবিকে উদ্দেশ করে কায়কাউস বলেন, ‘আপনারা তাদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন কেন? আমাদের খালি চোর বলবেন, এটা তামাশা পাইছেন নাকি আপনারা? শুধু বাংলাদেশকে চোর বলবেন, এটা কি ফাইজলামি নাকি?’
টিকা কেনাকাটায় অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউস গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সঠিক নয় বলে দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ ছাড়া সংস্থার অর্থায়নকারী হিসেবে অস্ট্রেলীয় কোম্পানি বিএইচপির নাম জড়িয়ে দেওয়া বক্তব্যেরও প্রতিবাদ জানিয়েছে বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।
আজ রোববার গণমাধ্যমে টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলমের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, মুখ্যসচিবের বক্তব্য বিভ্রান্তিকর এবং ভুল তথ্য ও ধারণা ভিত্তিক।
টিআইবি বলছে, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তাঁর বক্তব্যে টিআইবিকে উদ্ধৃত করে কোভিড টিকা কেনায় গড়ে ৬৯ টাকা ঘুষ দেওয়ার যে বিষয় অবতারণা করেছেন সেটি পুরোপুরি বিভ্রান্তিকর। কেননা ১২ এপ্রিল টিআইবি প্রকাশিত ‘করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবিলায় সুশাসন: অন্তর্ভুক্তি ও স্বচ্ছতার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে ৬৯ টাকা ঘুষ দেওয়ার বিষয়টি এসেছে টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে গ্রহীতাদের বুথ ফেরত জরিপের ফলাফলে। এটি কোনোভাবেই টিকা কেনাকাটার সঙ্গে যুক্ত নয়।
গবেষণার অংশ হিসেবে ৩ হাজার ৩৯৩ জন টিকা গ্রহীতার দৈবচয়নে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে বুথ ফেরত জরিপ করা হয়। এর মধ্যে ২ শতাংশ টিকা গ্রহীতা জানিয়েছেন, তাঁরা অনিয়ম-দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে—সময়ক্ষেপণ, টিকা কেন্দ্রে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ও সরকারি কর্মকর্তাদের সুবিধা দেওয়া, দুর্ব্যবহার এবং কিছু কেন্দ্রে টিকা থাকা সত্ত্বেও টিকা গ্রহীতাদের ফিরিয়ে দেওয়া অন্যতম। আবার অতিরিক্ত ভিড় এড়িয়ে দ্রুত টিকা পেতে ১০ দশমিক ১ শতাংশ গ্রহীতাকে গড়ে ৬৯ টাকা ঘুষ হিসেবে দিতে হয়েছে বলে জরিপে উঠে এসেছে। এটি কোনোভাবেই টিকা কেনায় কথিত ঘুষ দেওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত নয় বলে প্রতিবাদে উল্লেখ করেছে টিআইবি।
মুখ্যসচিব টিআইবির অর্থায়ন নিয়েও ভুল তথ্য বা ধারণার ভিত্তিতে অস্ট্রেলীয় মাইনিং কোম্পানি বিএইচপির নাম জড়িয়ে ফেলেছেন বলে দাবি করেছে সংস্থাটি। বলা হয়েছে, টিআইবি কখনোই বিএইচপির কাছ থেকে কোনো ধরনের তহবিল গ্রহণ করেনি এবং করার প্রশ্নও আসেনি। বিএইচপির সঙ্গে টিআইবির কখনো কোনোভাবেই পরিচিতি বা যোগাযোগ হয়নি। টিআইবিকে মূলত অর্থায়ন করে আসছে—ইউকে এআইডি (ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস-এফসিডিও), সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এজেন্সি (এসআইডিএ), সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন (এসডিসি)। এ সংক্রান্ত সব তথ্য টিআইবির ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত রয়েছে।
টিআইবির অর্থায়ন ও উল্লেখিত গবেষণা প্রতিবেদন বিষয়ে কোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে টিআইবি গবেষণা ও অর্থায়ন বিষয়ে সকল প্রকার তথ্য বিনিময় ও অধিপরামর্শ কার্যক্রমে আগ্রহী বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
গতকাল শনিবার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘এলডিসি পরবর্তীতে রপ্তানির চ্যালেঞ্জ: বেসরকারি খাতের জন্য বিকল্প’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমেদ কায়কাউস।
বিভিন্ন ইস্যুতে বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রসঙ্গক্রমে টিআইবির সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের বিষয়ে কায়কাউস বলেন, ‘তারা বলছে, কোভিডের প্রতিটি টিকা কেনায় আমাদের ৬৯ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। অথচ এসব টিকা কেনায় এডিবি, বিশ্ব ব্যাংক জড়িত ছিল।’
টিআইবি বাংলাদেশকে ‘চোর’ বলছে অভিযোগ করে সাবেক এই বিদ্যুৎ সচিব বলেন, ‘অথচ টিআইবিকে অর্থায়ন করছে অস্ট্রেলিয়ান ফার্ম বিপিএইচ। প্রতিষ্ঠানটি পরিবেশের ক্ষতি করার জন্য বারবার জরিমানার সম্মুখীন হয়েছে।’
টিআইবিকে উদ্দেশ করে কায়কাউস বলেন, ‘আপনারা তাদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন কেন? আমাদের খালি চোর বলবেন, এটা তামাশা পাইছেন নাকি আপনারা? শুধু বাংলাদেশকে চোর বলবেন, এটা কি ফাইজলামি নাকি?’
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
২৫ দিন আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
২৫ দিন আগেরাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
২৫ দিন আগেবাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
২৫ দিন আগে