Ajker Patrika

পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খোলার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২১, ১৯: ৪৯
পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খোলার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

করোনা মহামারির মধ্যে দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ঘরবন্দী শিক্ষার্থীরাও আছেন অস্বস্তিতে। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের দ্রুত টিকা দিয়ে, করোনা পরিস্থিতি একটু নিয়ন্ত্রণে এলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার সচিবদের সভায় অংশ নিয়ে সরকারপ্রধান এই নির্দেশনা দিয়েছেন বলে সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কি নির্দেশনা দিয়েছে সেই প্রশ্নে আনোয়ারুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন একটা কমফোরটেবল সিনারিও আসলে যত তাড়াতাড়ি স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া। এটি নিয়ে তারা (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) প্ল্যান প্রোগ্রাম করছে।

‘পাশাপাশি আমাদের সরকারি স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইন বা ডিজিটাল সিস্টেমেও যাতে চলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ'তে পুরোপুরি শিক্ষা কার্যক্রম ডিজিটালি চলছে এবং গ্র্যাজুয়েশন হয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীও নির্দেশনা দিয়েছেন, শিক্ষাকার্যক্রম ভার্চুয়ালি হোক বা অনলাইনে হোক চলুক। পাশাপাশি একটা কমফোরটেবল সিনারিওতে আসলেই যেন সেটা খুলে দেওয়া হয়। সভায় শিক্ষাসচিব বলেছেন, তারা একটা প্ল্যান প্রোগ্রাম করছেন, মঙ্গলবার আইসিটি বিভাগের সঙ্গে তারা বৈঠক করেছেন, দ্রুতই পাবলিকলি জানাবে।’

যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কারণ আমরা ছয় কোটি ভ্যাকসিন পেয়ে যাচ্ছি। বিভিন্ন গ্রুপ করে করে ছাত্রদের মধ্যে যারা বয়সের সীমানার মধ্যে আসবে তাদেরকে প্রিভিলেজওয়েতে ভ্যাকসিন দেব। ছাত্রদের মধ্যে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যারা তাদেরকে দ্রুত টিকা দেওয়া হবে।

‘প্রধানমন্ত্রীর ইন্সট্রাকশন ছিল দুইটা জিনিস দেখতে হবে-জেনারেল সিনারিও যদি কমফোরটেবল অবস্থায় চলে আসে ও ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আসে এবং দুই নম্বর হল ভ্যাকসিনেশন। দুইটা জিনিস বিবেচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন। সচিবরা এবং উনি (প্রধানমন্ত্রী) নিজেও বলেছেন, ছেলেমেয়েরা বাসায় বসে থাকতে থাকতে অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে আছে। সুতরাং তাদের তো বাইরে নিয়ে আসা দরকার।’ 

সভায় ১৬ জন সচিব কথা বলেছেন জানিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সচিবদের বক্তব্যের আলোকে মাঝে মাঝে ইন্টারফেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন জায়গা থেকে করোনার ২১ কোটি ডোজ টিকার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে বলে সভায় জানানো হয়েছে।  

খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সেবা, কৃষি উন্নয়ন পরিকল্পনা, স্বাস্থ্য সেবা, করোনা ব্যবস্থাপনা, করোনার টিকা, মহামারির মধ্যে আর্থিক ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল নিরাপত্তা, মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতের পর সমস্যা-সম্ভাবনা, নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নসহ ১৩টি এজেন্ডা নিয়ে কথা বলেন সচিবরা। 

দুর্নীতি প্রতিরোধ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কি নির্দেশনা দিয়েছেন সেই প্রশ্নে আনোয়ারুল বলেন, আমরা দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি। আমরা বলেছি আপনাদের কাছে কমপ্লেইন থাকলে আপনারা যান। আমরাও সবাইকে বলে দেব। আজকে বলে দেওয়া হয়েছে, যার যার সেক্টর সেই দেখবেন। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, এগুলো দেখা সচিবদের দায়িত্ব। ইমোরাল প্র্যাকটিস হলে প্রত্যেক সচিবকে দেখতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত