নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দুর্নীতি দমন কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রতিবছরই বিভিন্ন সরকারি দপ্তরকে দুর্নীতির উৎস দেখিয়ে সুপারিশ দেয় সংস্থাটি। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয় না বলে অভিযোগ করেছেন দুদকের চেয়ারম্যান মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ। সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রত্যাশা অনুযায়ী সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয় না। আমরা প্রতি বছরই সুপারিশ দিয়ে থাকি।’
এ ব্যাপারে পর্যবেক্ষণের এখতিয়ার নেই জানিয়ে মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাব। সুপারিশ বাস্তবায়নের কাজ স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের। এটা তারা করছে কী না, তা মনিটরিং করা আমাদের এখতিয়ারে নেই।’
এর আগে গতকাল রোববার রাষ্ট্রপতির কাছে দুদকের বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান। প্রাদুর্ভাব ও বিভিন্ন সীমাবদ্ধতায় গত বছর প্রতিবেদন দাখিল করেনি সংস্থাটি। সে জন্য ২০২০ ও ২০২১ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন একত্রে পেশ করেছে দুদক।
রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ জানান, আইন অনুযায়ী দুর্নীতি বন্ধে কাজ করছেন তারা। প্রতিবেদনে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর, সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, সাবরেজিস্ট্রি অফিস এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির ৩২টি উৎস চিহ্নিত করা হয়। সরকারি সেবার জন্য ঘুষ, দুর্নীতি, হয়রানি ও দীর্ঘসূত্রতা রোধে দপ্তরগুলোকে আধুনিকায়নসহ ৩৯ দফা সুপারিশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই বছরে দুদক ১ হাজার ৩৫৫টি অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ ও ৬৯৫টি মামলা করেছে। একই সঙ্গে ১৪ কোটি টাকা জরিমানা ও ৫০৬ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করা হয়।
এবারের বার্ষিক প্রতিবেদনে দুদক সরকারের পাঁচটি খাতে দুর্নীতির উৎস ও তা প্রতিরোধে সুপারিশমালা দিয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহর নেতৃত্বে পেশ করা বার্ষিক প্রতিবেদনে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে ১০ টি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ৬ টি, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ১০ টি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য খাতে ১৩টি এবং প্রাণিসম্পদ খাতে দুর্নীতির ২৮টি উৎসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অনুরোধ করেছি, এ সুপারিশগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তা নিশ্চিত করতে তারা যেন কাঠামো তৈরি করে দেয়। কারণ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করে।’
দুদকের সার্বিক কার্যক্রম প্রসঙ্গে মঈনুদ্দিন আবদুল্লাহ বলেন, ‘করোনার কারণে সরকার সব অফিস আদালত বন্ধ রেখেছে। কখনো অর্ধেক কর্মকর্তা কাজ করেছে। কিন্তু আমাদের অনুসন্ধান ও তদন্ত থেমে নেই। দেখবেন এই সময়ে আমাদের মামলার হার বেড়েছে। আমাদের কমিশনের উদ্দেশ্য হলো মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমানো এবং কোয়ালিটি রিপোর্ট দেওয়া।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) জহিরুল হক, কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মোজাম্মেল হক খান, মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান, মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল, পরিচালক মীর জয়নুল আবেদন শিবলী, সৈয়দ ইকবাল হোসেন এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ।
দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের আলোকে সুপারিশ বাস্তবায়নে আমরা চাপ দিতে পারি না। সেটা দুদকের আগ্রাসন বা ক্ষমতার অপব্যবহার হয়ে যাবে। তবে আপনাদের (সাংবাদিক) কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত থাকলে তা যদি আমাদের কাছে উপস্থাপন করেন, তাহলে আমরা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চাপ দিতে পারি।’
দুর্নীতি দমন কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রতিবছরই বিভিন্ন সরকারি দপ্তরকে দুর্নীতির উৎস দেখিয়ে সুপারিশ দেয় সংস্থাটি। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয় না বলে অভিযোগ করেছেন দুদকের চেয়ারম্যান মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ। সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রত্যাশা অনুযায়ী সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয় না। আমরা প্রতি বছরই সুপারিশ দিয়ে থাকি।’
এ ব্যাপারে পর্যবেক্ষণের এখতিয়ার নেই জানিয়ে মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাব। সুপারিশ বাস্তবায়নের কাজ স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের। এটা তারা করছে কী না, তা মনিটরিং করা আমাদের এখতিয়ারে নেই।’
এর আগে গতকাল রোববার রাষ্ট্রপতির কাছে দুদকের বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান। প্রাদুর্ভাব ও বিভিন্ন সীমাবদ্ধতায় গত বছর প্রতিবেদন দাখিল করেনি সংস্থাটি। সে জন্য ২০২০ ও ২০২১ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন একত্রে পেশ করেছে দুদক।
রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ জানান, আইন অনুযায়ী দুর্নীতি বন্ধে কাজ করছেন তারা। প্রতিবেদনে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর, সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, সাবরেজিস্ট্রি অফিস এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির ৩২টি উৎস চিহ্নিত করা হয়। সরকারি সেবার জন্য ঘুষ, দুর্নীতি, হয়রানি ও দীর্ঘসূত্রতা রোধে দপ্তরগুলোকে আধুনিকায়নসহ ৩৯ দফা সুপারিশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই বছরে দুদক ১ হাজার ৩৫৫টি অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ ও ৬৯৫টি মামলা করেছে। একই সঙ্গে ১৪ কোটি টাকা জরিমানা ও ৫০৬ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করা হয়।
এবারের বার্ষিক প্রতিবেদনে দুদক সরকারের পাঁচটি খাতে দুর্নীতির উৎস ও তা প্রতিরোধে সুপারিশমালা দিয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহর নেতৃত্বে পেশ করা বার্ষিক প্রতিবেদনে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে ১০ টি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ৬ টি, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ১০ টি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য খাতে ১৩টি এবং প্রাণিসম্পদ খাতে দুর্নীতির ২৮টি উৎসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অনুরোধ করেছি, এ সুপারিশগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তা নিশ্চিত করতে তারা যেন কাঠামো তৈরি করে দেয়। কারণ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করে।’
দুদকের সার্বিক কার্যক্রম প্রসঙ্গে মঈনুদ্দিন আবদুল্লাহ বলেন, ‘করোনার কারণে সরকার সব অফিস আদালত বন্ধ রেখেছে। কখনো অর্ধেক কর্মকর্তা কাজ করেছে। কিন্তু আমাদের অনুসন্ধান ও তদন্ত থেমে নেই। দেখবেন এই সময়ে আমাদের মামলার হার বেড়েছে। আমাদের কমিশনের উদ্দেশ্য হলো মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমানো এবং কোয়ালিটি রিপোর্ট দেওয়া।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) জহিরুল হক, কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মোজাম্মেল হক খান, মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান, মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল, পরিচালক মীর জয়নুল আবেদন শিবলী, সৈয়দ ইকবাল হোসেন এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ।
দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের আলোকে সুপারিশ বাস্তবায়নে আমরা চাপ দিতে পারি না। সেটা দুদকের আগ্রাসন বা ক্ষমতার অপব্যবহার হয়ে যাবে। তবে আপনাদের (সাংবাদিক) কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত থাকলে তা যদি আমাদের কাছে উপস্থাপন করেন, তাহলে আমরা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চাপ দিতে পারি।’
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫