রাহুল শর্মা, ঢাকা
পদায়ন-পদোন্নতি নিয়ে অসন্তোষে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে (ইইডি) প্রায় স্থবিরতা বিরাজ করছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, বিগত আমলে সুবিধাভোগী হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের পদায়ন ও পদোন্নতির উদ্যোগে এত দিন পদোন্নতিবঞ্চিত ও
বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অসন্তোষ এবং পুনঃ দরপত্র করা, দরপত্র ও ড্রয়িং অনুমোদনে দেরির কারণে ইইডির কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছ।
ইইডির সব বিষয় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবা।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন ভবন নির্মাণ, বিদ্যমান ভবনগুলোর সম্প্রসারণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও সংস্কার এবং আসবাব সরবরাহ করে। এ ছাড়া মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, আইসিটি ল্যাব স্থাপন, ইন্টারনেট সংযোগ, আইসিটি-সুবিধা সরবরাহও করে।
ইইডি সূত্র জানায়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশ। এতে ইইডির কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তবে এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া কয়েকজন কর্মকর্তা ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময়ে সুবিধাভোগী ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একপর্যায়ে দেলোয়ার হোসেন মজুমদার পদত্যাগে বাধ্য হন।
সূত্র বলেছে, গত ১৮ আগস্ট ইইডির প্রধান প্রকৌশলী পদে রুটিন দায়িত্ব দিতে তিন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রায়হান বাদশা, আফরোজা বেগম ও সমীর কুমার রজক দাসের নাম প্রধান কার্যালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। ২৫ আগস্ট প্রধান প্রকৌশলীর রুটিন দায়িত্ব পান ঢাকা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রায়হান বাদশা। মূলত এর পর থেকে ইইডির প্রধান কার্যালয় থেকে সারা দেশের কার্যালয়ে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্তত ১০ জন নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, এই তিন কর্মকর্তা ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঢাকা সার্কেল ও প্রধান কার্যালয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন ও দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তাঁরা ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সুবিধাভোগী হিসেবেও পরিচিত। রায়হান বাদশা প্রায় ১০ বছর গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে কর্মরত ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহে থাকাকালে দুর্নীতির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, ইইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি দিতে তিন কর্মকর্তা রায়হান বাদশা, আফরোজা বেগম ও সমীর কুমার রজক দাসের নাম মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে তা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য গেছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। এরপর যাবে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডে (এসএসবি)। সেখান থেকে চূড়ান্ত হয়ে এলে অফিস আদেশ জারি করবে মন্ত্রণালয়।
কয়েকজন নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, এই পদোন্নতির উদ্যোগের কারণে ইইডিতে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া অনেক কর্মকর্তার দীর্ঘদিন পদোন্নতি হচ্ছে না। দরপত্র ও ড্রয়িং অনুমোদনেও দেরি হচ্ছে। সব মিলিয়ে ইইডিতে অস্থিরতা ও স্থবিরতা বিরাজ করছে।
সূত্র বলেছে, প্রধান প্রকৌশলীর রুটিন দায়িত্বে থাকা রায়হান বাদশা ঢাকা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর দায়িত্বেও আছেন। এতে ঢাকা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে তিনি ফাইলে স্বাক্ষর করার পর তা যায় প্রধান প্রকৌশলীর (নিজের) কাছে। এরপর তিনিই প্রধান প্রকৌশলীর রুটিন দায়িত্ব হিসেবে সেই ফাইলে আবার সই করে অনুমোদন দেন।
ইতিপূর্বে প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করা তিনজন বলেছেন, একজনের গুরুত্বপূর্ণ দুই পদে থাকার নজির ইইডিতে ছিল না। এটা ভালো দৃষ্টান্ত নয়। এতে স্বার্থের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হবে। তিনি (রায়হান বাদশা) অন্য কাউকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব দিতে পারতেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার মোবাইল নম্বরে ফোন ও এসএমএস করলেও সাড়া দেননি ইইডির প্রধান প্রকৌশলী (রুটিন দায়িত্ব) রায়হান বাদশা। পরে একাধিকবার তাঁর দপ্তরে গিয়েও দেখা পাওয়া যায়নি। তাঁর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, রুটিন দায়িত্বে থাকা প্রধান প্রকৌশলী কোনো বিষয়েই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন না।
সার্বিক বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ২২ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি আপাতত কোনো মন্তব্য করবেন না। ইইডির সব বিষয় তাঁরা পর্যবেক্ষণ করছেন।
পদায়ন-পদোন্নতি নিয়ে অসন্তোষে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে (ইইডি) প্রায় স্থবিরতা বিরাজ করছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, বিগত আমলে সুবিধাভোগী হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের পদায়ন ও পদোন্নতির উদ্যোগে এত দিন পদোন্নতিবঞ্চিত ও
বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অসন্তোষ এবং পুনঃ দরপত্র করা, দরপত্র ও ড্রয়িং অনুমোদনে দেরির কারণে ইইডির কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছ।
ইইডির সব বিষয় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবা।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন ভবন নির্মাণ, বিদ্যমান ভবনগুলোর সম্প্রসারণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও সংস্কার এবং আসবাব সরবরাহ করে। এ ছাড়া মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, আইসিটি ল্যাব স্থাপন, ইন্টারনেট সংযোগ, আইসিটি-সুবিধা সরবরাহও করে।
ইইডি সূত্র জানায়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশ। এতে ইইডির কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তবে এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া কয়েকজন কর্মকর্তা ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময়ে সুবিধাভোগী ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একপর্যায়ে দেলোয়ার হোসেন মজুমদার পদত্যাগে বাধ্য হন।
সূত্র বলেছে, গত ১৮ আগস্ট ইইডির প্রধান প্রকৌশলী পদে রুটিন দায়িত্ব দিতে তিন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রায়হান বাদশা, আফরোজা বেগম ও সমীর কুমার রজক দাসের নাম প্রধান কার্যালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। ২৫ আগস্ট প্রধান প্রকৌশলীর রুটিন দায়িত্ব পান ঢাকা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রায়হান বাদশা। মূলত এর পর থেকে ইইডির প্রধান কার্যালয় থেকে সারা দেশের কার্যালয়ে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্তত ১০ জন নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, এই তিন কর্মকর্তা ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঢাকা সার্কেল ও প্রধান কার্যালয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন ও দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তাঁরা ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সুবিধাভোগী হিসেবেও পরিচিত। রায়হান বাদশা প্রায় ১০ বছর গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে কর্মরত ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহে থাকাকালে দুর্নীতির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, ইইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি দিতে তিন কর্মকর্তা রায়হান বাদশা, আফরোজা বেগম ও সমীর কুমার রজক দাসের নাম মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে তা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য গেছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। এরপর যাবে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডে (এসএসবি)। সেখান থেকে চূড়ান্ত হয়ে এলে অফিস আদেশ জারি করবে মন্ত্রণালয়।
কয়েকজন নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, এই পদোন্নতির উদ্যোগের কারণে ইইডিতে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া অনেক কর্মকর্তার দীর্ঘদিন পদোন্নতি হচ্ছে না। দরপত্র ও ড্রয়িং অনুমোদনেও দেরি হচ্ছে। সব মিলিয়ে ইইডিতে অস্থিরতা ও স্থবিরতা বিরাজ করছে।
সূত্র বলেছে, প্রধান প্রকৌশলীর রুটিন দায়িত্বে থাকা রায়হান বাদশা ঢাকা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর দায়িত্বেও আছেন। এতে ঢাকা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে তিনি ফাইলে স্বাক্ষর করার পর তা যায় প্রধান প্রকৌশলীর (নিজের) কাছে। এরপর তিনিই প্রধান প্রকৌশলীর রুটিন দায়িত্ব হিসেবে সেই ফাইলে আবার সই করে অনুমোদন দেন।
ইতিপূর্বে প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করা তিনজন বলেছেন, একজনের গুরুত্বপূর্ণ দুই পদে থাকার নজির ইইডিতে ছিল না। এটা ভালো দৃষ্টান্ত নয়। এতে স্বার্থের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হবে। তিনি (রায়হান বাদশা) অন্য কাউকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব দিতে পারতেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার মোবাইল নম্বরে ফোন ও এসএমএস করলেও সাড়া দেননি ইইডির প্রধান প্রকৌশলী (রুটিন দায়িত্ব) রায়হান বাদশা। পরে একাধিকবার তাঁর দপ্তরে গিয়েও দেখা পাওয়া যায়নি। তাঁর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, রুটিন দায়িত্বে থাকা প্রধান প্রকৌশলী কোনো বিষয়েই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন না।
সার্বিক বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ২২ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি আপাতত কোনো মন্তব্য করবেন না। ইইডির সব বিষয় তাঁরা পর্যবেক্ষণ করছেন।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫