ঢাকা: তিন জেলায় আজ বৃহস্পতিবার বজ্রপাতে ১০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলাতেই প্রাণ হারিয়েছেন ছয় জন। আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিন জন এবং সিলেটের একজন বজ্রপাতে মারা গেছেন। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের উপরটোলা গ্রামের আবদুল সাত্তারের ছেলে জালাল উদ্দিন, গোয়াবাড়ি চাঁদপুর গ্রামের আবু তালেবের স্ত্রী আজিরন বেগম রহিমা (২৫) ও নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের আঝইর গ্রামের ওবাইদুরের মেয়ে মারুফা খাতুন (১০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে উপজেলার বড়গাছি এলাকা থেকে ধান নিয়ে আসার পথে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান জালাল উদ্দিন। একই সময় বাড়ির পাশে খেলা করা সন্তানদের ডাকতে গেলে বজ্রপাতে আজিরন বেগম নামে একজন মারা যান। অপরদিকে, নাচোল উপজেলার আঝইর গ্রামে বাড়ির পাশে বাগানে আম কুড়াতে গেলে বজ্রপাতে মারুফা ঘটনাস্থলেই মারা যান। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে দ্রুতই আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে।
গোয়াইনঘাট (সিলেট): সিলেটের গোয়াইনঘাটে ফসলি জমিতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে বাবুল মিয়া (৩৪) নামে এক যুবক মারা গেছেন। আজ সকালে নিজ ফসলি জমিতে কাজ করতে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি গোয়াইনঘাটের কাকুনাখাই গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে। গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ইসলামপুর (জামালপুর): ইসলামপুর উপজেলায় বজ্রপাতে ছয়জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। বিকালে উপজেলার পৃথক স্থানে বজ্রপাতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের বাটিকামারী গ্রামের মৃত্যু কান্দু শেখের ছেলে জাবেদ আলী (৫৮), গাইবান্ধা ইউনিয়নের চন্দনপুর গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার মৃত আখের মাহমুদের ছেলে মহিজল মিয়া (৫০), পাথর্শী ইউনিয়নের জারুলতলার পশ্চিম গামারিয়া গ্রামের মৃত হাসান শেখের ছেলে কালা শেখ (৪৫ ), মৃত জব্বার মিয়ার ছেলে এনামুল হক (৩৫), মৃত কাইলে শেখের ছেলে শাজাহান (৩৮), সাপধরী ইউনিয়নের প্রজাপতি গ্রামের আবদুল কুদ্দুস মোল্লার ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩৬)।
গুরুতর আহতরা হলেন- গামারিয়া গ্রামের টিপু মিয়া, আবদুল হামিদ, রাজা মিয়া, প্রজাপতি গ্রামের ইনসাফ আলী, চন্দনপুর গ্রামের নিহত মহিজল মিয়ার ছেলে দেলোয়ারা বেগম।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার এ এ এম আবু তাহের বজ্রপাতে ছয়জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসরাত জাহান চৌধুরী বলেন, বজ্রপাতে মৃত চারজনকে আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। আহত ১০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বজ্রপাতে পলবান্ধা ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের আক্তাব আলীর তিনটি গরুও মারা গেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত মঙ্গলবার বজ্রপাতে বিভিন্ন জেলায় এক দিনেই প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন।
আরও পড়ুন:
সারা দেশে বজ্রপাতে ১৮ জনের মৃত্যু
ঢাকা: তিন জেলায় আজ বৃহস্পতিবার বজ্রপাতে ১০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলাতেই প্রাণ হারিয়েছেন ছয় জন। আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিন জন এবং সিলেটের একজন বজ্রপাতে মারা গেছেন। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের উপরটোলা গ্রামের আবদুল সাত্তারের ছেলে জালাল উদ্দিন, গোয়াবাড়ি চাঁদপুর গ্রামের আবু তালেবের স্ত্রী আজিরন বেগম রহিমা (২৫) ও নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের আঝইর গ্রামের ওবাইদুরের মেয়ে মারুফা খাতুন (১০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে উপজেলার বড়গাছি এলাকা থেকে ধান নিয়ে আসার পথে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান জালাল উদ্দিন। একই সময় বাড়ির পাশে খেলা করা সন্তানদের ডাকতে গেলে বজ্রপাতে আজিরন বেগম নামে একজন মারা যান। অপরদিকে, নাচোল উপজেলার আঝইর গ্রামে বাড়ির পাশে বাগানে আম কুড়াতে গেলে বজ্রপাতে মারুফা ঘটনাস্থলেই মারা যান। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে দ্রুতই আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে।
গোয়াইনঘাট (সিলেট): সিলেটের গোয়াইনঘাটে ফসলি জমিতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে বাবুল মিয়া (৩৪) নামে এক যুবক মারা গেছেন। আজ সকালে নিজ ফসলি জমিতে কাজ করতে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি গোয়াইনঘাটের কাকুনাখাই গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে। গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ইসলামপুর (জামালপুর): ইসলামপুর উপজেলায় বজ্রপাতে ছয়জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। বিকালে উপজেলার পৃথক স্থানে বজ্রপাতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের বাটিকামারী গ্রামের মৃত্যু কান্দু শেখের ছেলে জাবেদ আলী (৫৮), গাইবান্ধা ইউনিয়নের চন্দনপুর গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার মৃত আখের মাহমুদের ছেলে মহিজল মিয়া (৫০), পাথর্শী ইউনিয়নের জারুলতলার পশ্চিম গামারিয়া গ্রামের মৃত হাসান শেখের ছেলে কালা শেখ (৪৫ ), মৃত জব্বার মিয়ার ছেলে এনামুল হক (৩৫), মৃত কাইলে শেখের ছেলে শাজাহান (৩৮), সাপধরী ইউনিয়নের প্রজাপতি গ্রামের আবদুল কুদ্দুস মোল্লার ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩৬)।
গুরুতর আহতরা হলেন- গামারিয়া গ্রামের টিপু মিয়া, আবদুল হামিদ, রাজা মিয়া, প্রজাপতি গ্রামের ইনসাফ আলী, চন্দনপুর গ্রামের নিহত মহিজল মিয়ার ছেলে দেলোয়ারা বেগম।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার এ এ এম আবু তাহের বজ্রপাতে ছয়জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসরাত জাহান চৌধুরী বলেন, বজ্রপাতে মৃত চারজনকে আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। আহত ১০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বজ্রপাতে পলবান্ধা ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের আক্তাব আলীর তিনটি গরুও মারা গেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত মঙ্গলবার বজ্রপাতে বিভিন্ন জেলায় এক দিনেই প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন।
আরও পড়ুন:
সারা দেশে বজ্রপাতে ১৮ জনের মৃত্যু
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫