নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পদ্মা সেতু অর্থায়নে দুর্নীতির অভিযোগ এনে কানাডার আদালতে মামলা করে বিশ্বব্যাংক। এই মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কাউন্সিলর হিসেবে তিনি দেশটিতে গেলে তারা অসহযোগিতা করেছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনীত সাধারণ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, এসএমসি লাভালিনের স্থানীয় সহযোগী মোহাম্মদ মোস্তফাকে আমেরিকার নাগরিকত্ব দেওয়ার লোভ দেখিয়ে রাজসাক্ষী করে বিশ্বব্যাংক। তিনি কানাডিয়ান কোর্টে জবানবন্দি দেন। তারপর এটার বিচার হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই বিচার হওয়ার পরে আমি ২৯ মে ২০১৩ সালে ওখানে যাই, কানাডায়। কারণ, সেখানে একটা তারিখ ছিল। আমি ঠিক এক ঘণ্টা বাকি এয়ারপোর্টে যাওয়ার, তখনকার কানাডিয়ান হাইকমিশনার হেদার ক্রুডেট আমাকে ফোন করল। আমাকে ফোন করে বলছে, তুমি যে যাচ্ছ তোমার সঙ্গে কিন্তু আমাদের কোনো লোক দেখা করবে না, ভালো কথা। তোমার চেহারা দেখবে না, ভালো কথা। তোমার কোনো টেলিফোন রিসিভ করবে না। তারপরেও আমি গেলাম।’
আনিসুল হক বলেন, ‘আমি যাওয়ার পরে সত্যি সত্যি আমার সঙ্গে কেউ কোঅপারেশন করে নাই। আমাদের হাইকমিশনের একজন ফার্স্ট সেক্রেটারি ছিলেন, নাম বলাই উচিত। তাঁর নাম হচ্ছে বোধ হয় রিফাত। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, রিফাত আমাদের সঙ্গে তো কেউ সহযোগিতা করবে না। তো, এখন একটাই আমাদের উপায় যদি তুমি একটা দরখাস্ত এই যে ৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত যে কোর্টের প্রসিডিংস হয়েছে এই প্রসিডিংসের একটা সার্টিফায়েড কপি যদি আমরা পাই, তাহলে খুব ভালো হয়। একটা দরখাস্ত দিয়ে দাও। তখন সে বলল, স্যার আমি একটা দরখাস্ত করে দিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এই দরখাস্ত, এই সার্টিফায়েড কপি আমাদের হাতে থাকার কারণে এই সাক্ষীর জবানবন্দি নিয়ে টেম্পারিং হয় নাই। আমাদের তো জয় হবেই, এই জয় হয়েছিল কানাডিয়ান কোর্ট বলে দিয়েছে, এইখানে কোনো দুর্নীতি হয় নাই।’
আনিসুল হক বলেন, ‘আমি শুধু বলতে চাই যে, প্রধানমন্ত্রী যখন বলেছিলেন যে, আমরা নিজেদের অর্থায়নে এই পদ্মা সেতু করব, অনেকেই কিন্তু হাসি তামাশা করেছিল। আজকে এই বুকভরা গর্ব নিয়ে আনন্দ ভেজা চোখ নিয়ে আমি শুধু এইটুকু বলতে পারি, তুমি পারো বঙ্গবন্ধু কন্যা, তুমি পারো পদ্মা সেতু বানাতে, তুমি পারো বাংলার আত্মমর্যাদা রাখতে।’
পদ্মা সেতু নির্মাণ পরিকল্পনা থেকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার পথটা মসৃণ ছিল না উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রথম যখন পদ্মা সেতু তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়, তখন বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা এবং আরও কিছু সংস্থা সেতুর অর্থায়নে সম্মতি দিয়েছিল। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অর্থায়ন না করার কথা জানায়।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
সেই সময় তিনি দুদকের প্রধান কাউন্সিলর ছিলেন বলে জানান আইনমন্ত্রী। সেই সময়ের কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সব সময় যোগাযোগ ছিল বলে জানান। তিনি বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) আমাকে সেদিন বলেছিলেন, আমার বাবা দেশ স্বাধীন করেছেন, আমার স্বাধীনতা কারও হাতে তুলে দেব না।’
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
পদ্মা সেতু অর্থায়নে দুর্নীতির অভিযোগ এনে কানাডার আদালতে মামলা করে বিশ্বব্যাংক। এই মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কাউন্সিলর হিসেবে তিনি দেশটিতে গেলে তারা অসহযোগিতা করেছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনীত সাধারণ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, এসএমসি লাভালিনের স্থানীয় সহযোগী মোহাম্মদ মোস্তফাকে আমেরিকার নাগরিকত্ব দেওয়ার লোভ দেখিয়ে রাজসাক্ষী করে বিশ্বব্যাংক। তিনি কানাডিয়ান কোর্টে জবানবন্দি দেন। তারপর এটার বিচার হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই বিচার হওয়ার পরে আমি ২৯ মে ২০১৩ সালে ওখানে যাই, কানাডায়। কারণ, সেখানে একটা তারিখ ছিল। আমি ঠিক এক ঘণ্টা বাকি এয়ারপোর্টে যাওয়ার, তখনকার কানাডিয়ান হাইকমিশনার হেদার ক্রুডেট আমাকে ফোন করল। আমাকে ফোন করে বলছে, তুমি যে যাচ্ছ তোমার সঙ্গে কিন্তু আমাদের কোনো লোক দেখা করবে না, ভালো কথা। তোমার চেহারা দেখবে না, ভালো কথা। তোমার কোনো টেলিফোন রিসিভ করবে না। তারপরেও আমি গেলাম।’
আনিসুল হক বলেন, ‘আমি যাওয়ার পরে সত্যি সত্যি আমার সঙ্গে কেউ কোঅপারেশন করে নাই। আমাদের হাইকমিশনের একজন ফার্স্ট সেক্রেটারি ছিলেন, নাম বলাই উচিত। তাঁর নাম হচ্ছে বোধ হয় রিফাত। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, রিফাত আমাদের সঙ্গে তো কেউ সহযোগিতা করবে না। তো, এখন একটাই আমাদের উপায় যদি তুমি একটা দরখাস্ত এই যে ৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত যে কোর্টের প্রসিডিংস হয়েছে এই প্রসিডিংসের একটা সার্টিফায়েড কপি যদি আমরা পাই, তাহলে খুব ভালো হয়। একটা দরখাস্ত দিয়ে দাও। তখন সে বলল, স্যার আমি একটা দরখাস্ত করে দিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এই দরখাস্ত, এই সার্টিফায়েড কপি আমাদের হাতে থাকার কারণে এই সাক্ষীর জবানবন্দি নিয়ে টেম্পারিং হয় নাই। আমাদের তো জয় হবেই, এই জয় হয়েছিল কানাডিয়ান কোর্ট বলে দিয়েছে, এইখানে কোনো দুর্নীতি হয় নাই।’
আনিসুল হক বলেন, ‘আমি শুধু বলতে চাই যে, প্রধানমন্ত্রী যখন বলেছিলেন যে, আমরা নিজেদের অর্থায়নে এই পদ্মা সেতু করব, অনেকেই কিন্তু হাসি তামাশা করেছিল। আজকে এই বুকভরা গর্ব নিয়ে আনন্দ ভেজা চোখ নিয়ে আমি শুধু এইটুকু বলতে পারি, তুমি পারো বঙ্গবন্ধু কন্যা, তুমি পারো পদ্মা সেতু বানাতে, তুমি পারো বাংলার আত্মমর্যাদা রাখতে।’
পদ্মা সেতু নির্মাণ পরিকল্পনা থেকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার পথটা মসৃণ ছিল না উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রথম যখন পদ্মা সেতু তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়, তখন বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা এবং আরও কিছু সংস্থা সেতুর অর্থায়নে সম্মতি দিয়েছিল। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অর্থায়ন না করার কথা জানায়।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
সেই সময় তিনি দুদকের প্রধান কাউন্সিলর ছিলেন বলে জানান আইনমন্ত্রী। সেই সময়ের কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সব সময় যোগাযোগ ছিল বলে জানান। তিনি বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) আমাকে সেদিন বলেছিলেন, আমার বাবা দেশ স্বাধীন করেছেন, আমার স্বাধীনতা কারও হাতে তুলে দেব না।’
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫