আয়নাল হোসেন, ঢাকা
করোনার মধ্যে এ বছর সবচেয়ে দাপট ছিল ডেঙ্গুর। তবে গত জুলাই, আগস্ট ও চলতি মাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এই তিন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৪ জন। এদের মধ্যে ৩১ জনই শিশু, যা মোট মৃত্যুর প্রায় ৫৮ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ও কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, শিশুরা বাসায় থাকছে বেশি। তাদের ত্বক নরম থাকায় মশা বেশি কামড়াচ্ছে। আক্রান্ত শিশুদের দেরিতে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে এবং সর্বোপরি আক্রান্ত শিশুরা সবকিছু খুলে বলতে পারছে না। এসব কারণে তাদের আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা এ বছর বেশি হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৪ জন। এঁদের মধ্যে ৩১ জনই শিশু। এর মধ্যে ১-১০ বছর বয়সী ১৮ জন এবং ১১-১৮ বছর বয়সী ১৩ জন। চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ১৪ হাজার ২২১ জন। এঁদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৮৯৬ জন। অধিকাংশই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৩১৯ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ২৪৮ জন। এদের মধ্যে শিশু ৩৮২ জন। এখানে মৃত্যু হয়েছে একজনের। ঢাকা শিশু হাসপাতালে এ পর্যন্ত মোট রোগী ভর্তি হয়েছেন ৬০৫ জন। এঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে নয়জনের। অন্যরা রাজধানী ও অন্যান্য স্থানে ভর্তির পর মারা যান।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ শফি আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা বিশ্বেই ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ১০ বছরের কম বয়সী শিশুর সংখ্যা বেশি। কম বয়সী শিশুদের এডিস মশা কামড়ালে তারা বলতে পারে না। চলতি বছর করোনা মহামারির কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তারা বাসায় অবস্থান করেছে। এ কারণে আক্রান্তও বেশি হয়েছে।
ডা. শফি আহমেদের তথ্যানুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিশুদের জীবনযাত্রা পরিবর্তন হয়েছে। অনেকেই রাতের পরিবর্তে দিনে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ছাড়াই ঘুমিয়েছে। এসব কারণে এ বছর শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আর আক্রান্ত শিশুদের বেশির ভাগই অনেক দেরিতে হাসপাতালে ভর্তির জন্য আনা হচ্ছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, শিশুরা বাসায় অবস্থানের কারণে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুদের চামড়া নরম হওয়ায় তাদের মশা কামড়ায় বেশি। চিকিৎসার ক্ষেত্রেও পরিবারের অবহেলা রয়েছে। এসব কারণে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ শিল্প গবেষণা পরিষদে (বিসিএসআইআর) ডেঙ্গু ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সাইফুল্লাহ মুন্সি বলেছেন, দেশে ডেনভি-৩ ধরন প্রথম শনাক্ত হয় ২০১৭ সালে। এর আগে ডেনভি-১, ২-এ আক্রান্ত হয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে উঠেছে অনেকের। কিন্তু ডেনভি-৩-এর বিরুদ্ধে এই ক্ষমতা গড়ে ওঠেনি। যাঁরা আগের দুই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত, তাঁরা নতুন করে ডেনভি-৩ আক্রান্ত হলে হেমোরেজ বা সংকটাপন্ন অবস্থায় পড়ছেন। তাই এবার মৃত্যু বেশি।
করোনার মধ্যে এ বছর সবচেয়ে দাপট ছিল ডেঙ্গুর। তবে গত জুলাই, আগস্ট ও চলতি মাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এই তিন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৪ জন। এদের মধ্যে ৩১ জনই শিশু, যা মোট মৃত্যুর প্রায় ৫৮ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ও কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, শিশুরা বাসায় থাকছে বেশি। তাদের ত্বক নরম থাকায় মশা বেশি কামড়াচ্ছে। আক্রান্ত শিশুদের দেরিতে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে এবং সর্বোপরি আক্রান্ত শিশুরা সবকিছু খুলে বলতে পারছে না। এসব কারণে তাদের আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা এ বছর বেশি হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৪ জন। এঁদের মধ্যে ৩১ জনই শিশু। এর মধ্যে ১-১০ বছর বয়সী ১৮ জন এবং ১১-১৮ বছর বয়সী ১৩ জন। চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ১৪ হাজার ২২১ জন। এঁদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৮৯৬ জন। অধিকাংশই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৩১৯ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ২৪৮ জন। এদের মধ্যে শিশু ৩৮২ জন। এখানে মৃত্যু হয়েছে একজনের। ঢাকা শিশু হাসপাতালে এ পর্যন্ত মোট রোগী ভর্তি হয়েছেন ৬০৫ জন। এঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে নয়জনের। অন্যরা রাজধানী ও অন্যান্য স্থানে ভর্তির পর মারা যান।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ শফি আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা বিশ্বেই ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ১০ বছরের কম বয়সী শিশুর সংখ্যা বেশি। কম বয়সী শিশুদের এডিস মশা কামড়ালে তারা বলতে পারে না। চলতি বছর করোনা মহামারির কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তারা বাসায় অবস্থান করেছে। এ কারণে আক্রান্তও বেশি হয়েছে।
ডা. শফি আহমেদের তথ্যানুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিশুদের জীবনযাত্রা পরিবর্তন হয়েছে। অনেকেই রাতের পরিবর্তে দিনে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ছাড়াই ঘুমিয়েছে। এসব কারণে এ বছর শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আর আক্রান্ত শিশুদের বেশির ভাগই অনেক দেরিতে হাসপাতালে ভর্তির জন্য আনা হচ্ছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, শিশুরা বাসায় অবস্থানের কারণে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুদের চামড়া নরম হওয়ায় তাদের মশা কামড়ায় বেশি। চিকিৎসার ক্ষেত্রেও পরিবারের অবহেলা রয়েছে। এসব কারণে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ শিল্প গবেষণা পরিষদে (বিসিএসআইআর) ডেঙ্গু ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সাইফুল্লাহ মুন্সি বলেছেন, দেশে ডেনভি-৩ ধরন প্রথম শনাক্ত হয় ২০১৭ সালে। এর আগে ডেনভি-১, ২-এ আক্রান্ত হয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে উঠেছে অনেকের। কিন্তু ডেনভি-৩-এর বিরুদ্ধে এই ক্ষমতা গড়ে ওঠেনি। যাঁরা আগের দুই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত, তাঁরা নতুন করে ডেনভি-৩ আক্রান্ত হলে হেমোরেজ বা সংকটাপন্ন অবস্থায় পড়ছেন। তাই এবার মৃত্যু বেশি।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫