নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছাত্রদের ঐক্য এই দেশ গঠন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘ছাত্রদের ঐক্য এই দেশ গঠন করেছে। পুরো জনগোষ্ঠীর মধ্যে এটি একটি ইউনিক বিষয়। বাংলাদেশিরা অনেক কথা বলেন, অনেক বিষয়ে দ্বিমত করেন; কিন্তু একটি বিষয়ে সবাই একমত যে, নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই।’
আজ শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতিসংঘ মহাসচিবের সম্মানে আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নতুন বাংলাদেশ তৈরিতে কোনো মতপার্থক্য নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গন্তব্য খুব পরিষ্কার, আমরা এটা করতে চাই এবং আমরা করব। সেজন্য আপনি এসেছেন আমাদেরকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিতে। আমরা শুধু আমাদের জন্য বাংলাদেশ গড়তে চাই না, আমরা এটি করতে চাই বিশ্বের জন্য, যাতে তারা দেখতে পারে যে, ভিন্ন উপায়ে কীভাবে করা যায়। মানুষের জীবন কীভাবে দ্রুত বদলে যেতে পারে। আমাদের জন্য ধীরগতির দিন শেষ। আমরা ধীরগতির পরিবর্তনে আর যাব না। আমাদের যাত্রায় আপনার সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে অত্যন্ত আশ্চর্যজনক বিষয় ঘটে গেছে। বাংলাদেশে যাঁরা এসেছেন তাঁরা বিশ্বাস করতে পারছেন না—কীভাবে কী হলো, কীভাবে তরুণেরা রাজপথে নেমে এল এবং প্রতিবাদ করল। এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বিশ্বের জন্য ঐতিহাসিক ঘটনা বটে। জীবন ছাড়া তাঁদের কিছুই ছিল না, কোনো অস্ত্র তাদের ছিল না। তারা শুধু বলেছে, আমরা স্বাধীনতা চাই, আমার দেশ ফেরত চাই এবং তারা সেটাই পূরণ করেছে। সেখান থেকেই নতুন বাংলাদেশের সূচনা।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে উদ্দেশ্য করে ইউনূস বলেন, ‘আপনি এসেছেন, এর মধ্যে একটা জোর দিয়েছেন। এ দেশের মানুষ দেশের প্রয়োজনে যা করা দরকার তা করতে প্রস্তুত, আমাদের শুধু আপনার সহায়তা প্রয়োজন। সুনির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, ভুল তথ্য মোকাবিলায় আপনার সহায়তা দরকার। আমাদেরকে এটি শেষ করে ফেলছে। মানুষ কঠোর পরিশ্রম করছে একটি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে; কিন্তু কিছু মানুষের তা পছন্দ নয়। সুতরাং আমাদেরকে রক্ষা করুন ভুল তথ্য থেকে, বাকিটা আমরা করব। সেটি আমাদের জন্য কোনো সমস্যা নয়।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে উদ্দেশ্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘এ দেশকে সফল করার বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের যে বক্তব্য, তাতে আমি বাক্রুদ্ধ। আপনার সফর এ দেশে উৎফুল্লতা নিয়ে এসেছে। রমজান মাস অর্ধেক প্রায় শেষ; কিন্তু আপনার সফর আমাদের জন্য অগ্রিম ঈদ বয়ে এনেছে। আপনার এ সফরে এখন থেকে ঈদের আয়োজন শুরু হয়েছে। কারণ আমরা চাচ্ছিলাম, আপনি কী বলতে চাচ্ছেন, তা শুনতে। বাংলাদেশের মানুষ আপনার বক্তব্য এবং আপনার সহায়তার প্রতিশ্রুতিতে বেশ খুশি।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য আপনি গতকাল যা করেছেন তাতে সবার মন জয় করেছেন। সবাই আপনাকে ফেরেশতা হিসেবে দেখেছে এবং একটাই বার্তা দিয়েছে যে, তারা ফিরে যেতে চায়। তারা আগামী বছরের ঈদে তাদের নিজ ঘরে আপনাকে আমন্ত্রণ জানাতে চায়। তারা দেখাতে চায়, এই দুনিয়ায় তারা কোনো রকম বোঝা নয়। তারা (রোহিঙ্গারা) বলতে চায়, আমাদের অর্থ খোঁজার প্রয়োজন হয় কেন, আমরা তো ভিক্ষুক না। আমরা পারিবারিক লোক। আমরা নিজেদের দেখভাল নিজেরাই করতে পারি, আমরা বাকি বিশ্বের দেখভাল করতে চাই নিজেদের মতো করে, আমরা কারও ওপর বোঝা না। তারা যে বোঝা নয়, এই বিশ্বের সম্পদ, তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যেতে চায়, এই বার্তা দিয়েছে।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘গতকাল রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী, শিশু একটাই বার্তা দিয়েছে, আমাদের সাহায্য করুন নিজ দেশে ফিরে যেতে। তাঁরা বুকে আশা বেঁধে আছে যে, তাদের স্বপ্ন সত্যি হবে, আপনাকে ধন্যবাদ তাঁদের মধ্যে আশা জাগানোর জন্য। এটি তাদের জন্য সেরা ঈদ পুরস্কার আপনি দিয়েছেন। আমি আশা করি, আপনি আবার আসবেন এবং বারবার আসবেন।’
ছাত্রদের ঐক্য এই দেশ গঠন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘ছাত্রদের ঐক্য এই দেশ গঠন করেছে। পুরো জনগোষ্ঠীর মধ্যে এটি একটি ইউনিক বিষয়। বাংলাদেশিরা অনেক কথা বলেন, অনেক বিষয়ে দ্বিমত করেন; কিন্তু একটি বিষয়ে সবাই একমত যে, নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই।’
আজ শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতিসংঘ মহাসচিবের সম্মানে আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নতুন বাংলাদেশ তৈরিতে কোনো মতপার্থক্য নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গন্তব্য খুব পরিষ্কার, আমরা এটা করতে চাই এবং আমরা করব। সেজন্য আপনি এসেছেন আমাদেরকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিতে। আমরা শুধু আমাদের জন্য বাংলাদেশ গড়তে চাই না, আমরা এটি করতে চাই বিশ্বের জন্য, যাতে তারা দেখতে পারে যে, ভিন্ন উপায়ে কীভাবে করা যায়। মানুষের জীবন কীভাবে দ্রুত বদলে যেতে পারে। আমাদের জন্য ধীরগতির দিন শেষ। আমরা ধীরগতির পরিবর্তনে আর যাব না। আমাদের যাত্রায় আপনার সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে অত্যন্ত আশ্চর্যজনক বিষয় ঘটে গেছে। বাংলাদেশে যাঁরা এসেছেন তাঁরা বিশ্বাস করতে পারছেন না—কীভাবে কী হলো, কীভাবে তরুণেরা রাজপথে নেমে এল এবং প্রতিবাদ করল। এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বিশ্বের জন্য ঐতিহাসিক ঘটনা বটে। জীবন ছাড়া তাঁদের কিছুই ছিল না, কোনো অস্ত্র তাদের ছিল না। তারা শুধু বলেছে, আমরা স্বাধীনতা চাই, আমার দেশ ফেরত চাই এবং তারা সেটাই পূরণ করেছে। সেখান থেকেই নতুন বাংলাদেশের সূচনা।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে উদ্দেশ্য করে ইউনূস বলেন, ‘আপনি এসেছেন, এর মধ্যে একটা জোর দিয়েছেন। এ দেশের মানুষ দেশের প্রয়োজনে যা করা দরকার তা করতে প্রস্তুত, আমাদের শুধু আপনার সহায়তা প্রয়োজন। সুনির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, ভুল তথ্য মোকাবিলায় আপনার সহায়তা দরকার। আমাদেরকে এটি শেষ করে ফেলছে। মানুষ কঠোর পরিশ্রম করছে একটি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে; কিন্তু কিছু মানুষের তা পছন্দ নয়। সুতরাং আমাদেরকে রক্ষা করুন ভুল তথ্য থেকে, বাকিটা আমরা করব। সেটি আমাদের জন্য কোনো সমস্যা নয়।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে উদ্দেশ্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘এ দেশকে সফল করার বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের যে বক্তব্য, তাতে আমি বাক্রুদ্ধ। আপনার সফর এ দেশে উৎফুল্লতা নিয়ে এসেছে। রমজান মাস অর্ধেক প্রায় শেষ; কিন্তু আপনার সফর আমাদের জন্য অগ্রিম ঈদ বয়ে এনেছে। আপনার এ সফরে এখন থেকে ঈদের আয়োজন শুরু হয়েছে। কারণ আমরা চাচ্ছিলাম, আপনি কী বলতে চাচ্ছেন, তা শুনতে। বাংলাদেশের মানুষ আপনার বক্তব্য এবং আপনার সহায়তার প্রতিশ্রুতিতে বেশ খুশি।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য আপনি গতকাল যা করেছেন তাতে সবার মন জয় করেছেন। সবাই আপনাকে ফেরেশতা হিসেবে দেখেছে এবং একটাই বার্তা দিয়েছে যে, তারা ফিরে যেতে চায়। তারা আগামী বছরের ঈদে তাদের নিজ ঘরে আপনাকে আমন্ত্রণ জানাতে চায়। তারা দেখাতে চায়, এই দুনিয়ায় তারা কোনো রকম বোঝা নয়। তারা (রোহিঙ্গারা) বলতে চায়, আমাদের অর্থ খোঁজার প্রয়োজন হয় কেন, আমরা তো ভিক্ষুক না। আমরা পারিবারিক লোক। আমরা নিজেদের দেখভাল নিজেরাই করতে পারি, আমরা বাকি বিশ্বের দেখভাল করতে চাই নিজেদের মতো করে, আমরা কারও ওপর বোঝা না। তারা যে বোঝা নয়, এই বিশ্বের সম্পদ, তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যেতে চায়, এই বার্তা দিয়েছে।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘গতকাল রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী, শিশু একটাই বার্তা দিয়েছে, আমাদের সাহায্য করুন নিজ দেশে ফিরে যেতে। তাঁরা বুকে আশা বেঁধে আছে যে, তাদের স্বপ্ন সত্যি হবে, আপনাকে ধন্যবাদ তাঁদের মধ্যে আশা জাগানোর জন্য। এটি তাদের জন্য সেরা ঈদ পুরস্কার আপনি দিয়েছেন। আমি আশা করি, আপনি আবার আসবেন এবং বারবার আসবেন।’
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫