নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার থেকে
বহুল প্রতীক্ষিত কক্সবাজার-দোহাজারী রেললাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার দুপুর ১২টা ৫৮ মিনিটে তিনি কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে এই প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর ট্রেনযোগে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার থেকে রামু যাবেন। সেখান থেকে মাতারবাড়ীতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন। রেল প্রকল্প ছাড়াও আজ আরও ১৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর ১২ বছর পর আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচলের জন্য উদ্বোধন করা হলো সেই প্রকল্প। উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, স্থানীয় সংসদ সদস্য সায়মন সারোয়ার কমল, রেল সচিব হুমায়ুন কবির, প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্তগীন ও রেলের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ অন্যরা।
এর আগে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের পাশের অস্থায়ী সভামঞ্চে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এর ৫ মিনিট আগে প্রধানমন্ত্রী সড়কপথে কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশ করেন। এ সময় রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী এরপর সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পঞ্চগড় থেকে যেন কক্সবাজারে আসা যায়, সেই ব্যবস্থাও করতে হবে। একইভাবে রাজশাহী, সুন্দরবন থেকে যেন আসা যায়, সেটিও করতে হবে। কক্সবাজারবাসীকে অনুরোধ করব, তারা যেন এখন আমাদের দেশের অন্য অঞ্চলগুলো ঘুরে দেখে আসে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ট্রান্স-এশিয়ান নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত হতে চাই। আমরা আধুনিক রেল স্টেশন বানিয়েছি। আপনারা এটা যত্ন নিয়ে ব্যবহার করবেন। কোনো কিছু নষ্ট করবেন না।’
এর আগে রেলসচিব হুমায়ুন কবির বলেন, ‘কক্সবাজারের সঙ্গে শুধু ঢাকা নয়, পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরবঙ্গেও এই রেলপথ যুক্ত হবে।’ রেলসচিব আরও বলেন, ‘পরে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরও সংযুক্ত হবে। একই সঙ্গে বন্যপ্রাণী অভয়াশ্রমের জন্য এই প্রকল্পের আওতায় ওভারপাস ও আন্ডারপাস নির্মাণ করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে সরাসরি ঢাকা থেকে ট্রেনে আসা যাবে কক্সবাজারে। এই রেলওয়ে স্টেশন সাজানো হয়েছে আইকনিক ঝিনুকের মতো করে। যাত্রী ও পর্যটকেরা এখানে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এই রুটের সর্বনিম্ন ভাড়া মেইল ট্রেনে ১৮৮ টাকা আর আন্তনগর এসি বার্থে সর্বোচ্চ ভাড়া ১ হাজার ৭২৫ টাকা
এই রেলপথ নির্মাণের আগে কক্সবাজারের সঙ্গে কোনো রেলযোগাযোগ ছিল না। শুরুতে এটি ছিল দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প। এতে মোট ১২৯ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের কথা ছিল। পরে রামু থেকে ঘুমধুম অংশের কাজ স্থগিত করা হয়। এখন চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করার পর ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকায়। সেই হিসাবে কিলোমিটার প্রতি খরচ হচ্ছে প্রায় ১৮৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু কক্সবাজারে স্টেশন নির্মাণেই ব্যয় হয়েছে প্রায় ২১৫ কোটি টাকা। পুরো প্রকল্পে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। বাকি ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে নিজস্ব তহবিল থেকে।
বহুল প্রতীক্ষিত কক্সবাজার-দোহাজারী রেললাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার দুপুর ১২টা ৫৮ মিনিটে তিনি কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে এই প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর ট্রেনযোগে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার থেকে রামু যাবেন। সেখান থেকে মাতারবাড়ীতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন। রেল প্রকল্প ছাড়াও আজ আরও ১৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর ১২ বছর পর আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচলের জন্য উদ্বোধন করা হলো সেই প্রকল্প। উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, স্থানীয় সংসদ সদস্য সায়মন সারোয়ার কমল, রেল সচিব হুমায়ুন কবির, প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্তগীন ও রেলের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ অন্যরা।
এর আগে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের পাশের অস্থায়ী সভামঞ্চে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এর ৫ মিনিট আগে প্রধানমন্ত্রী সড়কপথে কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশ করেন। এ সময় রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী এরপর সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পঞ্চগড় থেকে যেন কক্সবাজারে আসা যায়, সেই ব্যবস্থাও করতে হবে। একইভাবে রাজশাহী, সুন্দরবন থেকে যেন আসা যায়, সেটিও করতে হবে। কক্সবাজারবাসীকে অনুরোধ করব, তারা যেন এখন আমাদের দেশের অন্য অঞ্চলগুলো ঘুরে দেখে আসে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ট্রান্স-এশিয়ান নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত হতে চাই। আমরা আধুনিক রেল স্টেশন বানিয়েছি। আপনারা এটা যত্ন নিয়ে ব্যবহার করবেন। কোনো কিছু নষ্ট করবেন না।’
এর আগে রেলসচিব হুমায়ুন কবির বলেন, ‘কক্সবাজারের সঙ্গে শুধু ঢাকা নয়, পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরবঙ্গেও এই রেলপথ যুক্ত হবে।’ রেলসচিব আরও বলেন, ‘পরে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরও সংযুক্ত হবে। একই সঙ্গে বন্যপ্রাণী অভয়াশ্রমের জন্য এই প্রকল্পের আওতায় ওভারপাস ও আন্ডারপাস নির্মাণ করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে সরাসরি ঢাকা থেকে ট্রেনে আসা যাবে কক্সবাজারে। এই রেলওয়ে স্টেশন সাজানো হয়েছে আইকনিক ঝিনুকের মতো করে। যাত্রী ও পর্যটকেরা এখানে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এই রুটের সর্বনিম্ন ভাড়া মেইল ট্রেনে ১৮৮ টাকা আর আন্তনগর এসি বার্থে সর্বোচ্চ ভাড়া ১ হাজার ৭২৫ টাকা
এই রেলপথ নির্মাণের আগে কক্সবাজারের সঙ্গে কোনো রেলযোগাযোগ ছিল না। শুরুতে এটি ছিল দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প। এতে মোট ১২৯ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের কথা ছিল। পরে রামু থেকে ঘুমধুম অংশের কাজ স্থগিত করা হয়। এখন চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করার পর ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকায়। সেই হিসাবে কিলোমিটার প্রতি খরচ হচ্ছে প্রায় ১৮৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু কক্সবাজারে স্টেশন নির্মাণেই ব্যয় হয়েছে প্রায় ২১৫ কোটি টাকা। পুরো প্রকল্পে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। বাকি ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে নিজস্ব তহবিল থেকে।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫