মিনহাজুল ইসলাম তুহিন
চট্টগ্রাম: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সদ্য সাবেক উপাচার্য আব্দুস সোবহানের বিতর্কিত নিয়োগের রেশ না কাটতেই, বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই সাত কর্মচারী নিয়োগ দিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। তার মধ্যে দুজনের বাড়ি উপাচার্যের এলাকায় বলে জানা গেছে।
গতকাল রোববার (২৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান প্রকৌশল দপ্তর থেকে পাম্প সহকারী হিসেবে সাত কর্মচারীকে নিয়োগের চিঠি দেওয়া হয়। ছয় মাসের চুক্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন সর্বসাকল্যে মাসিক নয় হাজার টাকা হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে শাহরিয়ার ইসলাম ও ছানা উল্লাহ তামিম উভয়ের বাড়ি কক্সবাজারের রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা এলাকায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীণ আখতারের বাড়িও একই এলাকায় বলে জানা গেছে। নিয়োগপ্রাপ্ত অন্য একজন বেলাল হোসেন। তিনি ভিসি বাংলোর কর্মচারী মো. হারুনের ছেলে। নিয়োগপ্রাপ্ত আব্দুল মুকিত বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ ক্যাম্পাস এলাকার কাপড়ের দোকানদার। ইসমাইল হোসেন দুই নম্বর গেট এলাকার দোকানদার। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের জোবরা গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ নোমানও নিয়োগ পেয়েছেন। এ ছাড়া নিয়োগ পেয়েছেন হাটহাজারীর ইলিয়াছ সওদাগরের বাড়ির বাসিন্দা মো. মোরশেদ।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ ধরনের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ইউজিসি থেকে অনুমতি নিতে হয়। তবে যদি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয় তাহলে ইউজিসির অনুমতি লাগে না। কিন্তু চবির এই নিয়োগের ক্ষেত্রে দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি বা ইউজিসির অনুমতি কোনোটিই নেওয়া হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ ধরনের নিয়োগের সমালোচনা করেছেন বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক। নাম প্রকাশ না করা শর্তে তারা বলেন, চবি কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল রাবির সাবেক উপাচার্য থেকে শিক্ষা নেওয়া। কিন্তু তারা তা করেননি। ইউজিসির নির্দেশনা না মেনে নিয়োগ দেওয়ায় যেভাবে এম সোবহানের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, একইভাবে চবিতেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির তদন্ত করা উচিত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরে পাম্প সহকারী পদ দীর্ঘদিন ধরে খালি। চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে শূন্য পদে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই সাতজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের নিয়োগের ক্ষেত্রে ইউজিসির অনুমোদন লাগে না বলেও দাবি করেন তিনি।
বিষয়টিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজি শহিদুল্লাহ বলেন, এ ধরনের নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে, যদি শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয়, তবে দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। আবার যদি দৈনিক, মাস্টার রোল বা অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে বিষয়টি ইউজিসির অনুমতি নিয়েই করতে হবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের বিষয়টি আমি এখনো জানি না। যদি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই নিয়ম না মানে তবে আমরা এ তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাইব।
চট্টগ্রাম: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সদ্য সাবেক উপাচার্য আব্দুস সোবহানের বিতর্কিত নিয়োগের রেশ না কাটতেই, বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই সাত কর্মচারী নিয়োগ দিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। তার মধ্যে দুজনের বাড়ি উপাচার্যের এলাকায় বলে জানা গেছে।
গতকাল রোববার (২৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান প্রকৌশল দপ্তর থেকে পাম্প সহকারী হিসেবে সাত কর্মচারীকে নিয়োগের চিঠি দেওয়া হয়। ছয় মাসের চুক্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন সর্বসাকল্যে মাসিক নয় হাজার টাকা হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে শাহরিয়ার ইসলাম ও ছানা উল্লাহ তামিম উভয়ের বাড়ি কক্সবাজারের রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা এলাকায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীণ আখতারের বাড়িও একই এলাকায় বলে জানা গেছে। নিয়োগপ্রাপ্ত অন্য একজন বেলাল হোসেন। তিনি ভিসি বাংলোর কর্মচারী মো. হারুনের ছেলে। নিয়োগপ্রাপ্ত আব্দুল মুকিত বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ ক্যাম্পাস এলাকার কাপড়ের দোকানদার। ইসমাইল হোসেন দুই নম্বর গেট এলাকার দোকানদার। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের জোবরা গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ নোমানও নিয়োগ পেয়েছেন। এ ছাড়া নিয়োগ পেয়েছেন হাটহাজারীর ইলিয়াছ সওদাগরের বাড়ির বাসিন্দা মো. মোরশেদ।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ ধরনের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ইউজিসি থেকে অনুমতি নিতে হয়। তবে যদি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয় তাহলে ইউজিসির অনুমতি লাগে না। কিন্তু চবির এই নিয়োগের ক্ষেত্রে দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি বা ইউজিসির অনুমতি কোনোটিই নেওয়া হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ ধরনের নিয়োগের সমালোচনা করেছেন বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক। নাম প্রকাশ না করা শর্তে তারা বলেন, চবি কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল রাবির সাবেক উপাচার্য থেকে শিক্ষা নেওয়া। কিন্তু তারা তা করেননি। ইউজিসির নির্দেশনা না মেনে নিয়োগ দেওয়ায় যেভাবে এম সোবহানের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, একইভাবে চবিতেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির তদন্ত করা উচিত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরে পাম্প সহকারী পদ দীর্ঘদিন ধরে খালি। চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে শূন্য পদে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই সাতজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের নিয়োগের ক্ষেত্রে ইউজিসির অনুমোদন লাগে না বলেও দাবি করেন তিনি।
বিষয়টিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজি শহিদুল্লাহ বলেন, এ ধরনের নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে, যদি শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয়, তবে দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। আবার যদি দৈনিক, মাস্টার রোল বা অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে বিষয়টি ইউজিসির অনুমতি নিয়েই করতে হবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের বিষয়টি আমি এখনো জানি না। যদি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই নিয়ম না মানে তবে আমরা এ তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাইব।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫