মাইনউদ্দিন হাসান শাহেদ, কক্সবাজার
ঝাঁকে ঝাঁকে লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটি—কখনো সাগরে, কখনো বালিয়াড়িতে। একটি যেদিকে ছুটছে অন্যরাও তার পেছনেই ছুটছে। এ যেন সুশৃঙ্খল বিশাল এক লাল বাহিনী! নির্জনে উঁচু বালিয়াড়িতে বসে লাল কাঁকড়ার এ নৈপুণ্য দেখতে দেখতে নজর কাড়বে ঢেউয়ের সঙ্গে ডলফিনের লাফালাফি। ক্ষণে ক্ষণেই কানে বাজবে পাখির কিচিরমিচির। দেখা যাবে রাজকাঁকড়াসহ নানা সামুদ্রিক প্রাণীর আনাগোনা।
এ তো গেল সৈকতের দৃশ্য। এর পাশেই প্যারাবন। এখানে নৌকায় ঘুরতে ঘুরতে হারিয়ে যেতে পারেন সুন্দরবনের প্রকৃতিতে! কাঠুরিয়াদের লাকড়ি সংগ্রহ, জেলেদের মাছ ধরা, বিরল প্রজাতির পাখির ওড়াউড়ি ও ঝিঁঝি পোকার ঐকতান মন মাতিয়ে তুলবে।
শিহরণ জাগানো এই প্রাণবৈচিত্র্যের ছোঁয়া পেতে যেতে হবে কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপে। এই দ্বীপে রয়েছে একই সঙ্গে সৈকত ও সুন্দরবনের পরিবেশ দেখার সুযোগ। কক্সবাজার শহর ও শৈল দ্বীপ মহেশখালীর মোহনায় অবস্থিত সোনাদিয়া। প্রায় ৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দ্বীপ প্রাণবৈচিত্র্য ও অনাঘ্রাত সৈকতের জন্য বিখ্যাত। এটি আবার স্বর্ণদ্বীপ হিসেবেও বিখ্যাত।
বিরল প্রজাতির পাখপাখালি, বৃক্ষ, লতাগুল্ম এবং সামুদ্রিক প্রাণীর আধার এই দ্বীপ এখন ভ্রমণপিয়াসীদের জন্য আকর্ষণীয়। সোনাদিয়া মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ড। এই দ্বীপের তিনটি পাড়ায় আড়াই হাজারের মতো মানুষের বসবাস। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রধান পেশা সাগরে মাছ ধরা। সম্প্রতি সরকার এই দ্বীপে ইকো ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এই পার্ক উন্নয়নের জন্য এর মধ্যে দ্বীপের ১০ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
তাঁবুতে রাত যাপন
নির্জন সৈকতে মানুষের আনাগোনা নেই। রাতে আরও সুনসান। আছে শুধু ঢেউয়ের গর্জন। এই নির্জনতায় সোনাদিয়া সমুদ্রসৈকতের পশ্চিম ও পূর্ব পাড়ার বালিয়াড়িতে তাঁবু টানিয়ে পর্যটকেরা রাত যাপন করতে পারেন। বালিয়াড়ির পাশে ঝাউবনের ভেতরেও রাত যাপনের জন্য টাঙানো হয় তাঁবু।
পূর্ব পাড়ার ক্যাম্প ফায়ারের মালিক ইমরুল রাকিব। তিনি জানিয়েছেন, পর্যটকদের চাহিদা বিবেচনায় রাত যাপনের জন্য তাঁবু ও টংঘর করা হয়েছে। এখানে পর্যটকেরা সমুদ্রের তাজা মাছ ও দ্বীপে উৎপাদিত শাকসবজি খাওয়ার সুযোগ পান।
তবে দ্বীপে রাত যাপনের জন্য উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয় বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াছিন।
যেভাবে যাবেন
কক্সবাজার শহর থেকে বাঁকখালী নদী ও নাজিরারটেক সৈকত দিয়ে নৌপথে সোনাদিয়া দ্বীপে যাওয়া যায়। এ ছাড়া শহরের নুনিয়ারছড়া বাঁকখালী নদী মোহনার ৬ নম্বর জেটি ঘাট থেকে মহেশখালী চ্যানেল হয়ে ৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হবে সোনাদিয়া দ্বীপে। এ পথে যেতে পড়বে প্যারাবন। সবুজে আচ্ছাদিত এই বনে ভ্রমণের সময় বিরল প্রজাতির পাখি, সামুদ্রিক প্রাণী ও মাছ ধরার দৃশ্য চোখে পড়বে। তবে দ্বীপে ভ্রমণে জোয়ার-ভাটার সময় নির্ধারণ করে নিতে হয়। বেড়ানোর সময় দল বেঁধে গেলেই সুবিধা।
খরচ কেমন
নাজিরারটেক থেকে লাইফবোটে সোনাদিয়ায় আসা-যাওয়ায় ব্যয় হবে ৩ হাজার টাকা। নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে একটি লাইফবোটে যাওয়া-আসা ৮ হাজার এবং স্পিডবোটে গেলে পড়বে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা।
খাওয়া ও রাত যাপনে জনপ্রতি খরচ পড়ে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা। তবে এক বা দুজন হলে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যাতায়াতের বিষয়টি ঠিক করে নেওয়া যায়।
ঝাঁকে ঝাঁকে লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটি—কখনো সাগরে, কখনো বালিয়াড়িতে। একটি যেদিকে ছুটছে অন্যরাও তার পেছনেই ছুটছে। এ যেন সুশৃঙ্খল বিশাল এক লাল বাহিনী! নির্জনে উঁচু বালিয়াড়িতে বসে লাল কাঁকড়ার এ নৈপুণ্য দেখতে দেখতে নজর কাড়বে ঢেউয়ের সঙ্গে ডলফিনের লাফালাফি। ক্ষণে ক্ষণেই কানে বাজবে পাখির কিচিরমিচির। দেখা যাবে রাজকাঁকড়াসহ নানা সামুদ্রিক প্রাণীর আনাগোনা।
এ তো গেল সৈকতের দৃশ্য। এর পাশেই প্যারাবন। এখানে নৌকায় ঘুরতে ঘুরতে হারিয়ে যেতে পারেন সুন্দরবনের প্রকৃতিতে! কাঠুরিয়াদের লাকড়ি সংগ্রহ, জেলেদের মাছ ধরা, বিরল প্রজাতির পাখির ওড়াউড়ি ও ঝিঁঝি পোকার ঐকতান মন মাতিয়ে তুলবে।
শিহরণ জাগানো এই প্রাণবৈচিত্র্যের ছোঁয়া পেতে যেতে হবে কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপে। এই দ্বীপে রয়েছে একই সঙ্গে সৈকত ও সুন্দরবনের পরিবেশ দেখার সুযোগ। কক্সবাজার শহর ও শৈল দ্বীপ মহেশখালীর মোহনায় অবস্থিত সোনাদিয়া। প্রায় ৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দ্বীপ প্রাণবৈচিত্র্য ও অনাঘ্রাত সৈকতের জন্য বিখ্যাত। এটি আবার স্বর্ণদ্বীপ হিসেবেও বিখ্যাত।
বিরল প্রজাতির পাখপাখালি, বৃক্ষ, লতাগুল্ম এবং সামুদ্রিক প্রাণীর আধার এই দ্বীপ এখন ভ্রমণপিয়াসীদের জন্য আকর্ষণীয়। সোনাদিয়া মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ড। এই দ্বীপের তিনটি পাড়ায় আড়াই হাজারের মতো মানুষের বসবাস। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রধান পেশা সাগরে মাছ ধরা। সম্প্রতি সরকার এই দ্বীপে ইকো ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এই পার্ক উন্নয়নের জন্য এর মধ্যে দ্বীপের ১০ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
তাঁবুতে রাত যাপন
নির্জন সৈকতে মানুষের আনাগোনা নেই। রাতে আরও সুনসান। আছে শুধু ঢেউয়ের গর্জন। এই নির্জনতায় সোনাদিয়া সমুদ্রসৈকতের পশ্চিম ও পূর্ব পাড়ার বালিয়াড়িতে তাঁবু টানিয়ে পর্যটকেরা রাত যাপন করতে পারেন। বালিয়াড়ির পাশে ঝাউবনের ভেতরেও রাত যাপনের জন্য টাঙানো হয় তাঁবু।
পূর্ব পাড়ার ক্যাম্প ফায়ারের মালিক ইমরুল রাকিব। তিনি জানিয়েছেন, পর্যটকদের চাহিদা বিবেচনায় রাত যাপনের জন্য তাঁবু ও টংঘর করা হয়েছে। এখানে পর্যটকেরা সমুদ্রের তাজা মাছ ও দ্বীপে উৎপাদিত শাকসবজি খাওয়ার সুযোগ পান।
তবে দ্বীপে রাত যাপনের জন্য উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয় বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াছিন।
যেভাবে যাবেন
কক্সবাজার শহর থেকে বাঁকখালী নদী ও নাজিরারটেক সৈকত দিয়ে নৌপথে সোনাদিয়া দ্বীপে যাওয়া যায়। এ ছাড়া শহরের নুনিয়ারছড়া বাঁকখালী নদী মোহনার ৬ নম্বর জেটি ঘাট থেকে মহেশখালী চ্যানেল হয়ে ৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হবে সোনাদিয়া দ্বীপে। এ পথে যেতে পড়বে প্যারাবন। সবুজে আচ্ছাদিত এই বনে ভ্রমণের সময় বিরল প্রজাতির পাখি, সামুদ্রিক প্রাণী ও মাছ ধরার দৃশ্য চোখে পড়বে। তবে দ্বীপে ভ্রমণে জোয়ার-ভাটার সময় নির্ধারণ করে নিতে হয়। বেড়ানোর সময় দল বেঁধে গেলেই সুবিধা।
খরচ কেমন
নাজিরারটেক থেকে লাইফবোটে সোনাদিয়ায় আসা-যাওয়ায় ব্যয় হবে ৩ হাজার টাকা। নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে একটি লাইফবোটে যাওয়া-আসা ৮ হাজার এবং স্পিডবোটে গেলে পড়বে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা।
খাওয়া ও রাত যাপনে জনপ্রতি খরচ পড়ে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা। তবে এক বা দুজন হলে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যাতায়াতের বিষয়টি ঠিক করে নেওয়া যায়।
রান্নায় চিনি ব্যবহারে খাবারের রঙ ও স্বাদ দুটোই বাড়ে। বিশ্বাস না হলে গরুর মাংসে চিনি ব্যবহার করেই দেখুন। তবে শুধু চিনি ব্যবহার করলেই হবে না, কীভাবে রান্না করছেন তার ওপরও নির্ভর করবে স্বাদ কেমন হবে।
১২ আগস্ট ২০২৫শ্রাবণের শেষেই যদি থাকে রোদের এত তাপ, তাহলে আসছে শরতে কী হবে, বোঝাই যাচ্ছে। সকালে স্নান সেরে সেজেগুজে বের হয়েও নিস্তার নেই। আধা ঘণ্টার মধ্য়ে ঘেমে-নেয়ে নাজেহাল। রোদের তাপে ত্বকের অবস্থা খারাপ। ব্রণ হওয়ার প্রবণতাও এ ঋতুতে বেড়ে যায়। এ সময় ত্বক ঠান্ডা রাখতে পারলে ব্রণ ও র্যাশ হওয়ার আশঙ্কা কমে...
১২ আগস্ট ২০২৫‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটকের এই কথা শোনেনি, এমন মানুষ কি আছে। কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনোভাবে এই উক্তি আমরা বহুবার শুনেছি। খুব ইতিবাচক কথা নিঃসন্দেহে। তবে এই ‘ভাবা’ বা ‘ভাবনা’ কিংবা ‘চিন্তা’ শব্দটির উল্টো দিকে আছে ‘দুর্ভাবনা’ শব্দটি।
১১ আগস্ট ২০২৫রোমকূপে ত্বক নষ্ট! সেই সঙ্গে নষ্ট শান্তি। বহু কিছু করেও বাগে আনা যাচ্ছে না সেগুলো; বরং ধীরে ধীরে সংখ্যা বেড়ে চলেছে। একটু ধৈর্য ধরে বসুন। এরও প্রতিকার আছে। ঘরোয়া উপায়ে ধীরে ধীরে পোরস বা রোমকূপ বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
১১ আগস্ট ২০২৫