ডা. ফারজানা রহমান
প্রশ্ন: কোনোভাবেই রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। যেকোনো ঘটনাতেই অকারণে রেগে যাই। এই রাগ সম্পূর্ণই মায়ের ওপরে ঝেড়ে ফেলি। সব কাজ এখনই করতে হবে, এমন একটা অস্থিরতা কাজ করে। কিন্তু দিন শেষে মনে হয় একটা কাজও করিনি। একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সম্প্রতি কর্মজীবন শুরু করেছি। অফিসের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া একটু বেশিই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। কোনোভাবেই নিজের লুক নিয়ে সন্তষ্ট নই। এই ভাবনার কারণে দিন দিন অনেক পিছিয়ে যাচ্ছি, সেটা জানি। কিন্তু কোনোভাবেই নিজেকে শান্ত করতে পারছি না।
জানতে চাই, কীভাবে নিজের ভেতরের অস্থিরতা আর নিজেকে নিয়ে অসন্তুষ্টি কমিয়ে আনা যায়?
সানজিদা পারভিন, গোপালগঞ্জ
উত্তর: একটা নতুন ভূমিকা যখন কোনো মানুষ নেয়, তখন সেটা মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই মানসিক চাপ থেকে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। নতুন কর্মক্ষেত্র বা সম্পর্ক অথবা নতুন মানুষদের সঙ্গে সংযুক্ত হতে হয় এমন যেকোনো নতুন পরিস্থিতিতে আমরা যখন পৌঁছাই, তখন এ ধরনের অস্থিরতা বা টেনশন কাজ করতে পারে। আর এই মানসিক চাপের বহিঃপ্রকাশ ঘটে অনিয়ন্ত্রিত রাগ, বদ মেজাজ অথবা খিটখিটে হয়ে যাওয়া কিংবা সহজে বিরক্ত হয়ে যাওয়ার মধ্যে। আপনি শিক্ষাজীবন থেকে কর্মজীবনে প্রবেশ করেছেন, এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা, যা সবার একই রকম হয় না। প্রথমেই যা করতে পারেন সেটা হলো, কেন আপনার সমস্যা হচ্ছে, সেই কারণটা আপনি বের করতে পারেন। নতুন রুটিনে আপনি অভ্যস্ত হতে পেরেছেন কি না অথবা সহকর্মীদের সঙ্গে আপনার তেমন সম্পর্ক গড়ে উঠেছে কি না, কিংবা চাকরিটা আপনি কার্যত করতে চাইছেন কি না, এ বিষয়গুলো খেয়াল করুন। আপনার প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির গরমিল হচ্ছে কি না, সেটিও খেয়াল করুন। বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। সমস্যার জায়গাগুলো চিহ্নিত করতে পারলেই সমাধান পেয়ে যাবেন।
রাগ প্রকাশের জায়গার ক্ষেত্রে বলতে পারি, আমরা মানুষেরা সহজাতভাবেই সেখানেই রাগ ঝাড়ি, যেখান থেকে আমাদের কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। আমরা নিজের অজান্তে কিংবা সচেতনভাবে এমন কাউকে রাগ প্রকাশ করার জন্য বেছে নিই যে প্রতিবাদ করবে না বা তার আচরণ আমাদের জন্য ক্ষতিকর হবে না। কিন্তু এই অভ্যাসটা ঠিক নয়। এর জন্যও নিজেকে শুধরে নিতে হবে। আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি কি এই চাকরিতে সন্তুষ্ট? আপনার কাজটা ঠিকমতো হচ্ছে কি না। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্রকে সুন্দর করার চেষ্টা করুন। নিজেকে নিজের কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করার চেষ্টা করুন। মানসিক চাপ মোকাবিলার জন্য আপনি সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন, কিংবা মেডিটেশন অথবা ব্যায়াম করতে পারেন। গল্পের বই পড়তে পারেন কিংবা ডায়েরি লিখতে পারেন, যেখানে আপনি নিজেকে প্রশ্ন করে উত্তরগুলো লিখে রাখতে চেষ্টা করবেন। রাগ করার কারণে সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয় হয়, জটিলতা বাড়ে। যখনই কোনো রাগের বিষয় ঘটবে, তখন একটু অপেক্ষা করুন, অন্য সবকিছু থেকে নিজেকে একটু দূরে রাখুন। চিন্তা করুন আসলে রাগ করার পেছনে আপনার ভূমিকা কতটুকু। মায়ের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক ঠিক করার চেষ্টা করুন।
মানসিক বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন, ডা. ফারজানা রহমান,সহযোগী অধ্যাপক, মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
প্রশ্ন: কোনোভাবেই রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। যেকোনো ঘটনাতেই অকারণে রেগে যাই। এই রাগ সম্পূর্ণই মায়ের ওপরে ঝেড়ে ফেলি। সব কাজ এখনই করতে হবে, এমন একটা অস্থিরতা কাজ করে। কিন্তু দিন শেষে মনে হয় একটা কাজও করিনি। একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সম্প্রতি কর্মজীবন শুরু করেছি। অফিসের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া একটু বেশিই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। কোনোভাবেই নিজের লুক নিয়ে সন্তষ্ট নই। এই ভাবনার কারণে দিন দিন অনেক পিছিয়ে যাচ্ছি, সেটা জানি। কিন্তু কোনোভাবেই নিজেকে শান্ত করতে পারছি না।
জানতে চাই, কীভাবে নিজের ভেতরের অস্থিরতা আর নিজেকে নিয়ে অসন্তুষ্টি কমিয়ে আনা যায়?
সানজিদা পারভিন, গোপালগঞ্জ
উত্তর: একটা নতুন ভূমিকা যখন কোনো মানুষ নেয়, তখন সেটা মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই মানসিক চাপ থেকে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। নতুন কর্মক্ষেত্র বা সম্পর্ক অথবা নতুন মানুষদের সঙ্গে সংযুক্ত হতে হয় এমন যেকোনো নতুন পরিস্থিতিতে আমরা যখন পৌঁছাই, তখন এ ধরনের অস্থিরতা বা টেনশন কাজ করতে পারে। আর এই মানসিক চাপের বহিঃপ্রকাশ ঘটে অনিয়ন্ত্রিত রাগ, বদ মেজাজ অথবা খিটখিটে হয়ে যাওয়া কিংবা সহজে বিরক্ত হয়ে যাওয়ার মধ্যে। আপনি শিক্ষাজীবন থেকে কর্মজীবনে প্রবেশ করেছেন, এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা, যা সবার একই রকম হয় না। প্রথমেই যা করতে পারেন সেটা হলো, কেন আপনার সমস্যা হচ্ছে, সেই কারণটা আপনি বের করতে পারেন। নতুন রুটিনে আপনি অভ্যস্ত হতে পেরেছেন কি না অথবা সহকর্মীদের সঙ্গে আপনার তেমন সম্পর্ক গড়ে উঠেছে কি না, কিংবা চাকরিটা আপনি কার্যত করতে চাইছেন কি না, এ বিষয়গুলো খেয়াল করুন। আপনার প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির গরমিল হচ্ছে কি না, সেটিও খেয়াল করুন। বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। সমস্যার জায়গাগুলো চিহ্নিত করতে পারলেই সমাধান পেয়ে যাবেন।
রাগ প্রকাশের জায়গার ক্ষেত্রে বলতে পারি, আমরা মানুষেরা সহজাতভাবেই সেখানেই রাগ ঝাড়ি, যেখান থেকে আমাদের কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। আমরা নিজের অজান্তে কিংবা সচেতনভাবে এমন কাউকে রাগ প্রকাশ করার জন্য বেছে নিই যে প্রতিবাদ করবে না বা তার আচরণ আমাদের জন্য ক্ষতিকর হবে না। কিন্তু এই অভ্যাসটা ঠিক নয়। এর জন্যও নিজেকে শুধরে নিতে হবে। আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি কি এই চাকরিতে সন্তুষ্ট? আপনার কাজটা ঠিকমতো হচ্ছে কি না। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্রকে সুন্দর করার চেষ্টা করুন। নিজেকে নিজের কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করার চেষ্টা করুন। মানসিক চাপ মোকাবিলার জন্য আপনি সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন, কিংবা মেডিটেশন অথবা ব্যায়াম করতে পারেন। গল্পের বই পড়তে পারেন কিংবা ডায়েরি লিখতে পারেন, যেখানে আপনি নিজেকে প্রশ্ন করে উত্তরগুলো লিখে রাখতে চেষ্টা করবেন। রাগ করার কারণে সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয় হয়, জটিলতা বাড়ে। যখনই কোনো রাগের বিষয় ঘটবে, তখন একটু অপেক্ষা করুন, অন্য সবকিছু থেকে নিজেকে একটু দূরে রাখুন। চিন্তা করুন আসলে রাগ করার পেছনে আপনার ভূমিকা কতটুকু। মায়ের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক ঠিক করার চেষ্টা করুন।
মানসিক বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন, ডা. ফারজানা রহমান,সহযোগী অধ্যাপক, মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
রান্নায় চিনি ব্যবহারে খাবারের রঙ ও স্বাদ দুটোই বাড়ে। বিশ্বাস না হলে গরুর মাংসে চিনি ব্যবহার করেই দেখুন। তবে শুধু চিনি ব্যবহার করলেই হবে না, কীভাবে রান্না করছেন তার ওপরও নির্ভর করবে স্বাদ কেমন হবে।
১২ আগস্ট ২০২৫শ্রাবণের শেষেই যদি থাকে রোদের এত তাপ, তাহলে আসছে শরতে কী হবে, বোঝাই যাচ্ছে। সকালে স্নান সেরে সেজেগুজে বের হয়েও নিস্তার নেই। আধা ঘণ্টার মধ্য়ে ঘেমে-নেয়ে নাজেহাল। রোদের তাপে ত্বকের অবস্থা খারাপ। ব্রণ হওয়ার প্রবণতাও এ ঋতুতে বেড়ে যায়। এ সময় ত্বক ঠান্ডা রাখতে পারলে ব্রণ ও র্যাশ হওয়ার আশঙ্কা কমে...
১২ আগস্ট ২০২৫‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটকের এই কথা শোনেনি, এমন মানুষ কি আছে। কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনোভাবে এই উক্তি আমরা বহুবার শুনেছি। খুব ইতিবাচক কথা নিঃসন্দেহে। তবে এই ‘ভাবা’ বা ‘ভাবনা’ কিংবা ‘চিন্তা’ শব্দটির উল্টো দিকে আছে ‘দুর্ভাবনা’ শব্দটি।
১১ আগস্ট ২০২৫রোমকূপে ত্বক নষ্ট! সেই সঙ্গে নষ্ট শান্তি। বহু কিছু করেও বাগে আনা যাচ্ছে না সেগুলো; বরং ধীরে ধীরে সংখ্যা বেড়ে চলেছে। একটু ধৈর্য ধরে বসুন। এরও প্রতিকার আছে। ঘরোয়া উপায়ে ধীরে ধীরে পোরস বা রোমকূপ বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
১১ আগস্ট ২০২৫