ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছেটা কলেজজীবনের শুরু থেকে। দেশের মেধাবী মানুষদের রাষ্ট্রীয় যেকোনো সমস্যা সমাধানে সামনে থেকে আন্দোলন ও আত্মত্যাগের ইতিহাস সব সময়ই অনুপ্রেরণা জোগাত। সোনালি সেই অতীতকে ধারণ করে সুন্দর একটি ভবিষ্যতের সাক্ষী হতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু এখানে শিক্ষা, সংস্কৃতি বা রাজনৈতিক ঐতিহ্য বিবেচনায় প্রত্যাশা এবং বাস্তবতার পার্থক্যটা বিগত দুই বছরের অভিজ্ঞতাতে বেশ স্পষ্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাসংক্রান্ত কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের সত্যিকারের জ্ঞান অর্জনের সহায়ক হচ্ছে কি না তা ভাবনার বিষয়।
শাকিরা তামান্না, ইংরেজি বিভাগ
দেখতে দেখতে ১০২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দ্বারপ্রান্তে আমরা পৌঁছেছি। প্রতিবছর হাজারো শিক্ষার্থী তাঁদের নানা স্বপ্ন নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। পরে তারা ধীরে ধীরে ধূলি ধূসরিত পথে এগোতে থাকে। বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তির। বিশ্বের তথ্য ও প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে বিশ্বের বিভিন্ন স্তরে অবদান রাখার মতো যোগ্য করে তুলতে হবে। মানসম্মত শিক্ষার পূর্বশর্তই হলো যথাযথ পরিবেশ, যেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই বললেই চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন-সংকট নিরসন, পর্যাপ্ত ক্লাসরুম, গ্রন্থাগারের পরিসর বৃদ্ধি, রিডিংরুম, কাউন্সেলিং ক্লাসসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে এই ক্যাম্পাসকে শিক্ষার উপযোগী করে তুলতে হবে। সেই সঙ্গে গবেষণা খাতকে আরও সমৃদ্ধ এবং বাস্তবতার নিরিখে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
আ হা মু জিয়াউল হক, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হতে পারা আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের কাছে স্বপ্নের মতো। প্রতিবছর বাইরের বিভিন্ন দেশ থেকেও এখানে অনেকে পড়তে আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের বৈচিত্র্য আমাদের পরবর্তী জীবনের সংগ্রামে টিকে থাকার জন্য প্রস্তুত করে; পৃথিবীকে দেখার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে; জানার পরিসরকে বিস্তৃত করে। কিন্তু পড়াশোনাকালে আমাদের মধ্যে অনেক ধরনের অসন্তুষ্টিও সৃষ্টি হয়। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নত শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, সুস্থ রাজনৈতিক আবহ টিকে থাকুক। এ জন্য প্রতিবন্ধকতাগুলো সচেতন ও নিরপেক্ষভাবে চিহ্নিত করা এবং সে অনুযায়ী উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
পূর্বাশা পৃথ্বী, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ
ইতিহাসের সাহসী সাক্ষী হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ভাস্কর্য ও স্মৃতিস্তম্ভগুলো মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসগুলোকেই লালন করছে। কিন্তু এ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আজকের শিক্ষার্থীরা তাঁদের প্রাণের প্রতিষ্ঠানটিকে নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। একচেটিয়া ছাত্ররাজনীতি, আবাসন-সংকট, অনুন্নত খাবার, বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশাসনের উদাসীনতা ইত্যাদি অভিযোগে জর্জরিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার মানের দিক থেকেও এটি যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উঠতে পারছে না। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে সামনে রেখে একজন শিক্ষার্থী হিসেবে প্রত্যাশা, সব অভিযোগের ঊর্ধ্বে উঠে আমার প্রাণের ক্যাম্পাস তার গৌরব ফিরে পাক।
মাইশা মালিহা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
মূলত এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল এই অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে একটি সচেতন সমাজ তৈরি করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সে কাজে পুরোপুরি সফল বলা চলে। একটি মধ্যবিত্ত সমাজ তৈরি করেছে, যাঁরা ন্যায়সংগত প্রতিটি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, পরিবর্তন এনেছেন। এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা। শুধু সরকারি চাকরিকেন্দ্রিকতা পরিহার করে অন্য কাজের প্রতি শিক্ষার্থীদের মনোযোগী করতে সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করা উচিত। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন স্বাধীন মতপ্রকাশ ও রাজনৈতিকভাবে সচেতন হয়ে চলার সুযোগ পান, সে পরিবেশ তৈরি করতে প্রশাসনকে কাজ করতে হবে।
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছেটা কলেজজীবনের শুরু থেকে। দেশের মেধাবী মানুষদের রাষ্ট্রীয় যেকোনো সমস্যা সমাধানে সামনে থেকে আন্দোলন ও আত্মত্যাগের ইতিহাস সব সময়ই অনুপ্রেরণা জোগাত। সোনালি সেই অতীতকে ধারণ করে সুন্দর একটি ভবিষ্যতের সাক্ষী হতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু এখানে শিক্ষা, সংস্কৃতি বা রাজনৈতিক ঐতিহ্য বিবেচনায় প্রত্যাশা এবং বাস্তবতার পার্থক্যটা বিগত দুই বছরের অভিজ্ঞতাতে বেশ স্পষ্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাসংক্রান্ত কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের সত্যিকারের জ্ঞান অর্জনের সহায়ক হচ্ছে কি না তা ভাবনার বিষয়।
শাকিরা তামান্না, ইংরেজি বিভাগ
দেখতে দেখতে ১০২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দ্বারপ্রান্তে আমরা পৌঁছেছি। প্রতিবছর হাজারো শিক্ষার্থী তাঁদের নানা স্বপ্ন নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। পরে তারা ধীরে ধীরে ধূলি ধূসরিত পথে এগোতে থাকে। বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তির। বিশ্বের তথ্য ও প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে বিশ্বের বিভিন্ন স্তরে অবদান রাখার মতো যোগ্য করে তুলতে হবে। মানসম্মত শিক্ষার পূর্বশর্তই হলো যথাযথ পরিবেশ, যেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই বললেই চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন-সংকট নিরসন, পর্যাপ্ত ক্লাসরুম, গ্রন্থাগারের পরিসর বৃদ্ধি, রিডিংরুম, কাউন্সেলিং ক্লাসসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে এই ক্যাম্পাসকে শিক্ষার উপযোগী করে তুলতে হবে। সেই সঙ্গে গবেষণা খাতকে আরও সমৃদ্ধ এবং বাস্তবতার নিরিখে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
আ হা মু জিয়াউল হক, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হতে পারা আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের কাছে স্বপ্নের মতো। প্রতিবছর বাইরের বিভিন্ন দেশ থেকেও এখানে অনেকে পড়তে আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের বৈচিত্র্য আমাদের পরবর্তী জীবনের সংগ্রামে টিকে থাকার জন্য প্রস্তুত করে; পৃথিবীকে দেখার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে; জানার পরিসরকে বিস্তৃত করে। কিন্তু পড়াশোনাকালে আমাদের মধ্যে অনেক ধরনের অসন্তুষ্টিও সৃষ্টি হয়। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নত শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, সুস্থ রাজনৈতিক আবহ টিকে থাকুক। এ জন্য প্রতিবন্ধকতাগুলো সচেতন ও নিরপেক্ষভাবে চিহ্নিত করা এবং সে অনুযায়ী উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
পূর্বাশা পৃথ্বী, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ
ইতিহাসের সাহসী সাক্ষী হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ভাস্কর্য ও স্মৃতিস্তম্ভগুলো মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসগুলোকেই লালন করছে। কিন্তু এ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আজকের শিক্ষার্থীরা তাঁদের প্রাণের প্রতিষ্ঠানটিকে নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। একচেটিয়া ছাত্ররাজনীতি, আবাসন-সংকট, অনুন্নত খাবার, বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশাসনের উদাসীনতা ইত্যাদি অভিযোগে জর্জরিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার মানের দিক থেকেও এটি যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উঠতে পারছে না। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে সামনে রেখে একজন শিক্ষার্থী হিসেবে প্রত্যাশা, সব অভিযোগের ঊর্ধ্বে উঠে আমার প্রাণের ক্যাম্পাস তার গৌরব ফিরে পাক।
মাইশা মালিহা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
মূলত এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল এই অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে একটি সচেতন সমাজ তৈরি করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সে কাজে পুরোপুরি সফল বলা চলে। একটি মধ্যবিত্ত সমাজ তৈরি করেছে, যাঁরা ন্যায়সংগত প্রতিটি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, পরিবর্তন এনেছেন। এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা। শুধু সরকারি চাকরিকেন্দ্রিকতা পরিহার করে অন্য কাজের প্রতি শিক্ষার্থীদের মনোযোগী করতে সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করা উচিত। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন স্বাধীন মতপ্রকাশ ও রাজনৈতিকভাবে সচেতন হয়ে চলার সুযোগ পান, সে পরিবেশ তৈরি করতে প্রশাসনকে কাজ করতে হবে।
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
রান্নায় চিনি ব্যবহারে খাবারের রঙ ও স্বাদ দুটোই বাড়ে। বিশ্বাস না হলে গরুর মাংসে চিনি ব্যবহার করেই দেখুন। তবে শুধু চিনি ব্যবহার করলেই হবে না, কীভাবে রান্না করছেন তার ওপরও নির্ভর করবে স্বাদ কেমন হবে।
১২ আগস্ট ২০২৫শ্রাবণের শেষেই যদি থাকে রোদের এত তাপ, তাহলে আসছে শরতে কী হবে, বোঝাই যাচ্ছে। সকালে স্নান সেরে সেজেগুজে বের হয়েও নিস্তার নেই। আধা ঘণ্টার মধ্য়ে ঘেমে-নেয়ে নাজেহাল। রোদের তাপে ত্বকের অবস্থা খারাপ। ব্রণ হওয়ার প্রবণতাও এ ঋতুতে বেড়ে যায়। এ সময় ত্বক ঠান্ডা রাখতে পারলে ব্রণ ও র্যাশ হওয়ার আশঙ্কা কমে...
১২ আগস্ট ২০২৫‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটকের এই কথা শোনেনি, এমন মানুষ কি আছে। কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনোভাবে এই উক্তি আমরা বহুবার শুনেছি। খুব ইতিবাচক কথা নিঃসন্দেহে। তবে এই ‘ভাবা’ বা ‘ভাবনা’ কিংবা ‘চিন্তা’ শব্দটির উল্টো দিকে আছে ‘দুর্ভাবনা’ শব্দটি।
১১ আগস্ট ২০২৫রোমকূপে ত্বক নষ্ট! সেই সঙ্গে নষ্ট শান্তি। বহু কিছু করেও বাগে আনা যাচ্ছে না সেগুলো; বরং ধীরে ধীরে সংখ্যা বেড়ে চলেছে। একটু ধৈর্য ধরে বসুন। এরও প্রতিকার আছে। ঘরোয়া উপায়ে ধীরে ধীরে পোরস বা রোমকূপ বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
১১ আগস্ট ২০২৫