কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
সৌদি আরবের রাজধানীতে বাস করে ১০ বছরের ওয়াজাদা। তার শখ একটি বাইসাইকেল দিয়ে সে পাশের বাড়ির ছেলেদের সঙ্গে রেস করবে। কিন্তু যে দেশে ওয়াজাদার জন্ম, সেখানে মেয়েদের সাইকেল চালানো নিষেধ। মা তাকে কিনে দেবেন না। তাই ওয়াজাদা নিজে টাকা জমানো শুরু করে। বাইসাইকেল কেনার জন্য তার টাকা জমানোর কথা ফাঁস হয়ে যায় বাড়িতে। অগত্যা টাকা জমানোর রাস্তাও বন্ধ হয়ে যায়। একদিন ওয়াজাদা জানতে পারে, তার স্কুলে আয়োজন করা হবে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা। যেখানে বড় অঙ্কের টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। এবার ওয়াজাদা ছক কষতে থাকে সেই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হতে।
গল্পটি সৌদি আরবের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের। ওয়াজাদার গল্পটি সেলুলয়েডের পর্দায় যিনি তুলে ধরেছেন, তিনি সৌদি আরবের প্রথম নারী চলচ্চিত্র পরিচালক। নাম হাইফা আল মনসুর।
ছবিটি নির্মাণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে পরিচালক হাইফা আল মনসুর বলেন, ‘ছবিটির মাধ্যমে আমি সংস্কৃতি ও আধুনিকতার মধ্যে যে দ্বন্দ্ব, তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ছবিটি তৈরিতে প্রথমে কেউই আমাকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে চাননি। ছবির শুটিং করতে গিয়েও আমাকে নানা ঝামেলা সহ্য করতে হয়েছে।’ এরপরও চলচ্চিত্রটি তৈরি করেছিলেন হাইফা, গড়েছিলেন ইতিহাস। ২০১২ সালে মুক্তি পায় এই চলচ্চিত্র।
এটি ছিল অস্কার পুরস্কারের জন্য জমা দেওয়া প্রথম কোনো সৌদি অ্যারাবিয়ান চলচ্চিত্র।
১৯৭৪ সালের ১০ আগস্ট সৌদি আরবে জন্মগ্রহণ করেন হাইফা আল মনসুর। তাঁর বাবা আব্দুল রহমান ছিলেন একজন কবি। ফলে হাইফার পরিবার ছিল কিছুটা সংস্কৃতিমনা। তাঁর বাবা চেয়েছিলেন, মেয়ে নিজের মতো করে বেড়ে উঠুক। মেয়ে সাহিত্য নিয়ে লেখাপড়া করুক, এটা চাইলেও আব্দুর রহমান হাইফার ইচ্ছেমতো ক্যারিয়ার তৈরির স্বাধীনতা দেন। তিনি মেয়েকে পড়তে পাঠিয়েছিলেন কায়রোর দ্য আমেরিকান ইউনিভার্সিটিতে। চলচ্চিত্র নিয়ে লেখাপড়া করার কথা তখনই হাইফা জানাননি তাঁর বাবাকে। তাঁকে নিরাশ না করে সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করেন হাইফা। এরপর চলে যান নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সিডনি থেকে চলচ্চিত্র শিক্ষার ওপর মাস্টার্স সম্পন্ন করেন তিনি।
যে দেশে নারী মানেই আপাদমস্তক বোরকায় আবৃত জীবন, সে দেশে একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন হাইফা আল মনসুর। তাঁর কাজের শুরুটা মোটেও সুগম ছিল না। যখন হাইফা কাজ করা শুরু করেন, তখন সৌদি আরবে সিনেমা হল, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী কিংবা নারী-পুরুষ সম্মিলিতভাবে কাজ করা ছিল নিষিদ্ধ। আর তাই শুটিংয়েও তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে নানা ঝক্কি-ঝামেলা। নির্দেশনা দিয়েছেন দূরে একটি ভ্যানে বসে। অভিনেতা-অভিনেত্রী, ক্যামেরাম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ওয়াকিটকির মাধ্যমে। হাইফা নিজেই এ বিষয়ে বলেছেন, ‘দলে অনেক অভিনেতা ও সহকারী রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে প্রকাশ্যে কাজ করা যায় না। অনেক জায়গায় শুটিং করতে হয়েছে, এলাকার লোকজন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।’ এরপরও নিজের কাজ নিয়ে এগিয়ে গেছেন এই নির্মাতা। বিফলে যায়নি তাঁর পরিশ্রমও। হাইফার প্রথম তৈরি চলচ্চিত্রের বিষয় ছিল সাধারণ সৌদি নারীদের জীবন।
ক্যারিয়ারের শুরুতে হাইফা ‘হু’, ‘দ্য বিটার জার্নি’ ও ‘দ্য অনলি ওয়ে আউট’ নামের তিনটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র তৈরি করেন। এর মধ্যে ‘দ্য অনলি ওয়ে আউট’ চলচ্চিত্রটি সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নেদারল্যান্ডস থেকে দুটি পুরস্কার জিতে নেয়। এই তিনটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র মিলিয়ে হাইফা বানান ‘উইমেন উইদাউট শ্যাডোস’ নামের একটি ডকুমেন্টারি।
যেখানে ফুটে উঠেছে সৌদি নারীদের দৈনন্দিন জীবনচিত্র। এই চলচ্চিত্র ১৭টি আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়। এরপরই হাইফা নির্মাণ করেন ‘ওয়াজাদা’। লৈঙ্গিক রাজনীতি নিয়ে তাঁর নির্মিত ‘দ্য লাস্ট ক্যান্ডিডেট’ চলচ্চিত্রটি ২৮তম ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়েছে। হাইফা যুক্ত হয়েছেন নেটফ্লিক্সের সঙ্গেও।
হাইফা বর্তমানে দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন চলচ্চিত্র জগতে। তাঁর আত্মবিশ্বাস আর সাহস যেমন তাঁকে খ্যাতি এনে দিয়েছে, তেমনি তিনি গড়েছেন নতুন ইতিহাস। ব্যক্তিজীবনে হাইফা তাঁর স্বামী ও দুই সন্তানের সঙ্গে বাহরাইনে বসবাস করছেন। তাঁর স্বামী আমেরিকান কূটনীতিক ব্র্যাড নিম্যান।
সৌদি আরবের রাজধানীতে বাস করে ১০ বছরের ওয়াজাদা। তার শখ একটি বাইসাইকেল দিয়ে সে পাশের বাড়ির ছেলেদের সঙ্গে রেস করবে। কিন্তু যে দেশে ওয়াজাদার জন্ম, সেখানে মেয়েদের সাইকেল চালানো নিষেধ। মা তাকে কিনে দেবেন না। তাই ওয়াজাদা নিজে টাকা জমানো শুরু করে। বাইসাইকেল কেনার জন্য তার টাকা জমানোর কথা ফাঁস হয়ে যায় বাড়িতে। অগত্যা টাকা জমানোর রাস্তাও বন্ধ হয়ে যায়। একদিন ওয়াজাদা জানতে পারে, তার স্কুলে আয়োজন করা হবে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা। যেখানে বড় অঙ্কের টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। এবার ওয়াজাদা ছক কষতে থাকে সেই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হতে।
গল্পটি সৌদি আরবের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের। ওয়াজাদার গল্পটি সেলুলয়েডের পর্দায় যিনি তুলে ধরেছেন, তিনি সৌদি আরবের প্রথম নারী চলচ্চিত্র পরিচালক। নাম হাইফা আল মনসুর।
ছবিটি নির্মাণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে পরিচালক হাইফা আল মনসুর বলেন, ‘ছবিটির মাধ্যমে আমি সংস্কৃতি ও আধুনিকতার মধ্যে যে দ্বন্দ্ব, তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ছবিটি তৈরিতে প্রথমে কেউই আমাকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে চাননি। ছবির শুটিং করতে গিয়েও আমাকে নানা ঝামেলা সহ্য করতে হয়েছে।’ এরপরও চলচ্চিত্রটি তৈরি করেছিলেন হাইফা, গড়েছিলেন ইতিহাস। ২০১২ সালে মুক্তি পায় এই চলচ্চিত্র।
এটি ছিল অস্কার পুরস্কারের জন্য জমা দেওয়া প্রথম কোনো সৌদি অ্যারাবিয়ান চলচ্চিত্র।
১৯৭৪ সালের ১০ আগস্ট সৌদি আরবে জন্মগ্রহণ করেন হাইফা আল মনসুর। তাঁর বাবা আব্দুল রহমান ছিলেন একজন কবি। ফলে হাইফার পরিবার ছিল কিছুটা সংস্কৃতিমনা। তাঁর বাবা চেয়েছিলেন, মেয়ে নিজের মতো করে বেড়ে উঠুক। মেয়ে সাহিত্য নিয়ে লেখাপড়া করুক, এটা চাইলেও আব্দুর রহমান হাইফার ইচ্ছেমতো ক্যারিয়ার তৈরির স্বাধীনতা দেন। তিনি মেয়েকে পড়তে পাঠিয়েছিলেন কায়রোর দ্য আমেরিকান ইউনিভার্সিটিতে। চলচ্চিত্র নিয়ে লেখাপড়া করার কথা তখনই হাইফা জানাননি তাঁর বাবাকে। তাঁকে নিরাশ না করে সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করেন হাইফা। এরপর চলে যান নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সিডনি থেকে চলচ্চিত্র শিক্ষার ওপর মাস্টার্স সম্পন্ন করেন তিনি।
যে দেশে নারী মানেই আপাদমস্তক বোরকায় আবৃত জীবন, সে দেশে একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন হাইফা আল মনসুর। তাঁর কাজের শুরুটা মোটেও সুগম ছিল না। যখন হাইফা কাজ করা শুরু করেন, তখন সৌদি আরবে সিনেমা হল, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী কিংবা নারী-পুরুষ সম্মিলিতভাবে কাজ করা ছিল নিষিদ্ধ। আর তাই শুটিংয়েও তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে নানা ঝক্কি-ঝামেলা। নির্দেশনা দিয়েছেন দূরে একটি ভ্যানে বসে। অভিনেতা-অভিনেত্রী, ক্যামেরাম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ওয়াকিটকির মাধ্যমে। হাইফা নিজেই এ বিষয়ে বলেছেন, ‘দলে অনেক অভিনেতা ও সহকারী রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে প্রকাশ্যে কাজ করা যায় না। অনেক জায়গায় শুটিং করতে হয়েছে, এলাকার লোকজন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।’ এরপরও নিজের কাজ নিয়ে এগিয়ে গেছেন এই নির্মাতা। বিফলে যায়নি তাঁর পরিশ্রমও। হাইফার প্রথম তৈরি চলচ্চিত্রের বিষয় ছিল সাধারণ সৌদি নারীদের জীবন।
ক্যারিয়ারের শুরুতে হাইফা ‘হু’, ‘দ্য বিটার জার্নি’ ও ‘দ্য অনলি ওয়ে আউট’ নামের তিনটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র তৈরি করেন। এর মধ্যে ‘দ্য অনলি ওয়ে আউট’ চলচ্চিত্রটি সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নেদারল্যান্ডস থেকে দুটি পুরস্কার জিতে নেয়। এই তিনটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র মিলিয়ে হাইফা বানান ‘উইমেন উইদাউট শ্যাডোস’ নামের একটি ডকুমেন্টারি।
যেখানে ফুটে উঠেছে সৌদি নারীদের দৈনন্দিন জীবনচিত্র। এই চলচ্চিত্র ১৭টি আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়। এরপরই হাইফা নির্মাণ করেন ‘ওয়াজাদা’। লৈঙ্গিক রাজনীতি নিয়ে তাঁর নির্মিত ‘দ্য লাস্ট ক্যান্ডিডেট’ চলচ্চিত্রটি ২৮তম ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়েছে। হাইফা যুক্ত হয়েছেন নেটফ্লিক্সের সঙ্গেও।
হাইফা বর্তমানে দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন চলচ্চিত্র জগতে। তাঁর আত্মবিশ্বাস আর সাহস যেমন তাঁকে খ্যাতি এনে দিয়েছে, তেমনি তিনি গড়েছেন নতুন ইতিহাস। ব্যক্তিজীবনে হাইফা তাঁর স্বামী ও দুই সন্তানের সঙ্গে বাহরাইনে বসবাস করছেন। তাঁর স্বামী আমেরিকান কূটনীতিক ব্র্যাড নিম্যান।
রান্নায় চিনি ব্যবহারে খাবারের রঙ ও স্বাদ দুটোই বাড়ে। বিশ্বাস না হলে গরুর মাংসে চিনি ব্যবহার করেই দেখুন। তবে শুধু চিনি ব্যবহার করলেই হবে না, কীভাবে রান্না করছেন তার ওপরও নির্ভর করবে স্বাদ কেমন হবে।
১২ আগস্ট ২০২৫শ্রাবণের শেষেই যদি থাকে রোদের এত তাপ, তাহলে আসছে শরতে কী হবে, বোঝাই যাচ্ছে। সকালে স্নান সেরে সেজেগুজে বের হয়েও নিস্তার নেই। আধা ঘণ্টার মধ্য়ে ঘেমে-নেয়ে নাজেহাল। রোদের তাপে ত্বকের অবস্থা খারাপ। ব্রণ হওয়ার প্রবণতাও এ ঋতুতে বেড়ে যায়। এ সময় ত্বক ঠান্ডা রাখতে পারলে ব্রণ ও র্যাশ হওয়ার আশঙ্কা কমে...
১২ আগস্ট ২০২৫‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটকের এই কথা শোনেনি, এমন মানুষ কি আছে। কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনোভাবে এই উক্তি আমরা বহুবার শুনেছি। খুব ইতিবাচক কথা নিঃসন্দেহে। তবে এই ‘ভাবা’ বা ‘ভাবনা’ কিংবা ‘চিন্তা’ শব্দটির উল্টো দিকে আছে ‘দুর্ভাবনা’ শব্দটি।
১১ আগস্ট ২০২৫রোমকূপে ত্বক নষ্ট! সেই সঙ্গে নষ্ট শান্তি। বহু কিছু করেও বাগে আনা যাচ্ছে না সেগুলো; বরং ধীরে ধীরে সংখ্যা বেড়ে চলেছে। একটু ধৈর্য ধরে বসুন। এরও প্রতিকার আছে। ঘরোয়া উপায়ে ধীরে ধীরে পোরস বা রোমকূপ বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
১১ আগস্ট ২০২৫