গানটি শুনতে শুনতে চোখে ভেসে ওঠে কোমল-স্নিগ্ধ এক নারীর অবয়ব। ভেসে ওঠে এক ভিন্ন ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। এই স্টেটমেন্ট গড়ে ওঠে ব্যক্তি রবীন্দ্রনাথের মিনিমালিস্টিক জীবনবোধ এবং অবচেতনে থাকা জমিদারি আভিজাত্য ঘিরে। তাঁর প্রেম পর্যায়ের রোমান্টিকতার আবেশ যেন তাঁর ফ্যাশন স্টেটমেন্টে ধরা দেয়। স্নান শেষে নিজ ঘরে আয়নার সামনে বসে পরম যত্নে নিজেকে সাজিয়ে তুলছেন এক নারী। স্নানের আগে বাগান থেকে তুলে আনা ফুল, ঝকঝকে রুপার নূপুর, সোনার বালা, চন্দনের কৌটো পড়ে আছে তাঁর সামনে। ঠোঁটের কোণে লেগে থাকা মধুর হাসিতে প্রিয়তমর অনুভব যেন স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয় চোখের সামনে। এমন চিত্রকল্প রবীন্দ্রনাথে ছড়াছড়ি। আমরা দেখতে পাই এসব চিত্রকল্প গড়ে উঠেছিল তাঁর পারিবারিক আবহ থেকে।
চিরাচরিত ভাবনা, রুচি ও চর্চার পরিবর্তনের অববাহিকায় ঢেউ তুলেছিলেন ঠাকুরবাড়ির মেয়ে ও বউয়েরা। অন্দরমহলের পর্দার আড়ালে নিজেদের গুটিয়ে না রেখে প্রস্তুত ছিলেন নতুন আলোয় উদ্ভাসিত হতে। ঠাকুরবাড়ির নারীরা অর্থাৎ জ্ঞানদানন্দিনী, স্বর্ণকুমারী, কাদম্বরী, ইন্দিরা ও সৌদামিনীরা পাল্টে দিয়েছিলেন চিরাচরিত অন্দরসজ্জার রীতি ও পোশাক পরার ঢং আর খাদ্যসংস্কৃতির গল্প। নিজেদের রুচি আর প্রচেষ্টার ওপর দাঁড় করিয়েছেন ভিন্নমাত্রার ফ্যাশন স্টেটমেন্ট, ঘুরেফিরে যা এখনো অনুকরণীয়।
এ প্রসঙ্গে যাঁর নাম উল্লেখ না করলেই নয়, তিনি জ্ঞানদানন্দিনী দেবী। তিনি রবিঠাকুরের মেজো ভাই সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী। জ্ঞানদানন্দিনী বাংলায় সুরুচিপূর্ণরূপে শাড়ি পরার চলের শুরু করেন। শাড়িতে কুঁচির যোগই শুধু নয়, শাড়ির সঙ্গে পেটিকোট, ব্লাউজ, সেমিজ ও জ্যাকেট পরারও প্রচলন করেন জ্ঞানদা। এরপর তো শাড়ির সঙ্গে গায়ে উঠল বিভিন্ন কাটিংয়ের লেইস লাগানো জ্যাকেট ও ব্লাউজ।
পরিধেয় শাড়ির মার্জিত ভাব ছাড়াও নজর কাড়ে ঠাকুরবাড়ির মেয়ে-বউদের সাজসজ্জা। রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতা ও ছোটগল্পের নারী চরিত্রের সাজসজ্জায় যার ছাপ ছিল। ছিল পরিমিতিবোধ ও স্নিগ্ধতার সম্মিলন। কোনো আড়ম্বর ব্যতীত টানা কাজলের সঙ্গে কপালের মধ্যখানে একটা ছোট্ট টিপ যেন লাবণ্য বাড়িয়ে দিত।
উনিশ শতকের শেষের অংশে বাংলা সাহিত্যে পদচারণ করা রবীন্দ্রনাথের গল্পের নায়িকাদের সাজসজ্জা আজও ফ্যাশনসচেতন নারীর কাছে অনুকরণীয়। ‘নষ্টনীড়ে’র চারুলতা, ‘ঘরে-বাইরে’র বিমলা, ‘নৌকাডুবি’র হেমনলিনী বা ‘শেষের কবিতা’র লাবণ্যর এলো চুল খোঁপা বেঁধেছে নানা ঢংয়ে। কারও খোঁপার ঘূর্ণনে শোভা পেয়েছে সোনার কাঁটা, ফিতে বা কেউ হাতখোঁপা করেই পরিপাটি হয়েছে।
ফ্যাশনের প্রবাহ নিরবচ্ছিন্ন। সেখানে রবীন্দ্রনাথ একটা বাঁক। তাঁর গানে, কবিতায়, উপন্যাসে কিংবা ছোটগল্পে একটা ফ্যাশন স্টেটমেন্ট পাওয়া যায়। বিশ শতকের প্রথম ভাগে রবীন্দ্রনাথের এ স্টেটমেন্ট যে প্রভাব ফেলেছিল, তার রেশ এখনো রয়ে গেছে।
গানটি শুনতে শুনতে চোখে ভেসে ওঠে কোমল-স্নিগ্ধ এক নারীর অবয়ব। ভেসে ওঠে এক ভিন্ন ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। এই স্টেটমেন্ট গড়ে ওঠে ব্যক্তি রবীন্দ্রনাথের মিনিমালিস্টিক জীবনবোধ এবং অবচেতনে থাকা জমিদারি আভিজাত্য ঘিরে। তাঁর প্রেম পর্যায়ের রোমান্টিকতার আবেশ যেন তাঁর ফ্যাশন স্টেটমেন্টে ধরা দেয়। স্নান শেষে নিজ ঘরে আয়নার সামনে বসে পরম যত্নে নিজেকে সাজিয়ে তুলছেন এক নারী। স্নানের আগে বাগান থেকে তুলে আনা ফুল, ঝকঝকে রুপার নূপুর, সোনার বালা, চন্দনের কৌটো পড়ে আছে তাঁর সামনে। ঠোঁটের কোণে লেগে থাকা মধুর হাসিতে প্রিয়তমর অনুভব যেন স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয় চোখের সামনে। এমন চিত্রকল্প রবীন্দ্রনাথে ছড়াছড়ি। আমরা দেখতে পাই এসব চিত্রকল্প গড়ে উঠেছিল তাঁর পারিবারিক আবহ থেকে।
চিরাচরিত ভাবনা, রুচি ও চর্চার পরিবর্তনের অববাহিকায় ঢেউ তুলেছিলেন ঠাকুরবাড়ির মেয়ে ও বউয়েরা। অন্দরমহলের পর্দার আড়ালে নিজেদের গুটিয়ে না রেখে প্রস্তুত ছিলেন নতুন আলোয় উদ্ভাসিত হতে। ঠাকুরবাড়ির নারীরা অর্থাৎ জ্ঞানদানন্দিনী, স্বর্ণকুমারী, কাদম্বরী, ইন্দিরা ও সৌদামিনীরা পাল্টে দিয়েছিলেন চিরাচরিত অন্দরসজ্জার রীতি ও পোশাক পরার ঢং আর খাদ্যসংস্কৃতির গল্প। নিজেদের রুচি আর প্রচেষ্টার ওপর দাঁড় করিয়েছেন ভিন্নমাত্রার ফ্যাশন স্টেটমেন্ট, ঘুরেফিরে যা এখনো অনুকরণীয়।
এ প্রসঙ্গে যাঁর নাম উল্লেখ না করলেই নয়, তিনি জ্ঞানদানন্দিনী দেবী। তিনি রবিঠাকুরের মেজো ভাই সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী। জ্ঞানদানন্দিনী বাংলায় সুরুচিপূর্ণরূপে শাড়ি পরার চলের শুরু করেন। শাড়িতে কুঁচির যোগই শুধু নয়, শাড়ির সঙ্গে পেটিকোট, ব্লাউজ, সেমিজ ও জ্যাকেট পরারও প্রচলন করেন জ্ঞানদা। এরপর তো শাড়ির সঙ্গে গায়ে উঠল বিভিন্ন কাটিংয়ের লেইস লাগানো জ্যাকেট ও ব্লাউজ।
পরিধেয় শাড়ির মার্জিত ভাব ছাড়াও নজর কাড়ে ঠাকুরবাড়ির মেয়ে-বউদের সাজসজ্জা। রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতা ও ছোটগল্পের নারী চরিত্রের সাজসজ্জায় যার ছাপ ছিল। ছিল পরিমিতিবোধ ও স্নিগ্ধতার সম্মিলন। কোনো আড়ম্বর ব্যতীত টানা কাজলের সঙ্গে কপালের মধ্যখানে একটা ছোট্ট টিপ যেন লাবণ্য বাড়িয়ে দিত।
উনিশ শতকের শেষের অংশে বাংলা সাহিত্যে পদচারণ করা রবীন্দ্রনাথের গল্পের নায়িকাদের সাজসজ্জা আজও ফ্যাশনসচেতন নারীর কাছে অনুকরণীয়। ‘নষ্টনীড়ে’র চারুলতা, ‘ঘরে-বাইরে’র বিমলা, ‘নৌকাডুবি’র হেমনলিনী বা ‘শেষের কবিতা’র লাবণ্যর এলো চুল খোঁপা বেঁধেছে নানা ঢংয়ে। কারও খোঁপার ঘূর্ণনে শোভা পেয়েছে সোনার কাঁটা, ফিতে বা কেউ হাতখোঁপা করেই পরিপাটি হয়েছে।
ফ্যাশনের প্রবাহ নিরবচ্ছিন্ন। সেখানে রবীন্দ্রনাথ একটা বাঁক। তাঁর গানে, কবিতায়, উপন্যাসে কিংবা ছোটগল্পে একটা ফ্যাশন স্টেটমেন্ট পাওয়া যায়। বিশ শতকের প্রথম ভাগে রবীন্দ্রনাথের এ স্টেটমেন্ট যে প্রভাব ফেলেছিল, তার রেশ এখনো রয়ে গেছে।
রান্নায় চিনি ব্যবহারে খাবারের রঙ ও স্বাদ দুটোই বাড়ে। বিশ্বাস না হলে গরুর মাংসে চিনি ব্যবহার করেই দেখুন। তবে শুধু চিনি ব্যবহার করলেই হবে না, কীভাবে রান্না করছেন তার ওপরও নির্ভর করবে স্বাদ কেমন হবে।
২৪ দিন আগেশ্রাবণের শেষেই যদি থাকে রোদের এত তাপ, তাহলে আসছে শরতে কী হবে, বোঝাই যাচ্ছে। সকালে স্নান সেরে সেজেগুজে বের হয়েও নিস্তার নেই। আধা ঘণ্টার মধ্য়ে ঘেমে-নেয়ে নাজেহাল। রোদের তাপে ত্বকের অবস্থা খারাপ। ব্রণ হওয়ার প্রবণতাও এ ঋতুতে বেড়ে যায়। এ সময় ত্বক ঠান্ডা রাখতে পারলে ব্রণ ও র্যাশ হওয়ার আশঙ্কা কমে...
২৫ দিন আগে‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটকের এই কথা শোনেনি, এমন মানুষ কি আছে। কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনোভাবে এই উক্তি আমরা বহুবার শুনেছি। খুব ইতিবাচক কথা নিঃসন্দেহে। তবে এই ‘ভাবা’ বা ‘ভাবনা’ কিংবা ‘চিন্তা’ শব্দটির উল্টো দিকে আছে ‘দুর্ভাবনা’ শব্দটি।
১১ আগস্ট ২০২৫রোমকূপে ত্বক নষ্ট! সেই সঙ্গে নষ্ট শান্তি। বহু কিছু করেও বাগে আনা যাচ্ছে না সেগুলো; বরং ধীরে ধীরে সংখ্যা বেড়ে চলেছে। একটু ধৈর্য ধরে বসুন। এরও প্রতিকার আছে। ঘরোয়া উপায়ে ধীরে ধীরে পোরস বা রোমকূপ বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
১১ আগস্ট ২০২৫