সানজিদা সামরিন
ঢাকা: ‘কমলা লেবুর খোসা বেটে মুখে মাখলে পরে/ ত্বক তোমার থাকবে পরিষ্কার’—অঞ্জন দত্ত গেয়েছিলেন কিছুটা শ্লেষ ভরেই। কিন্তু জানেন তো, কমলা লেবুর খোসার মতো ফেলে দেওয়া ঘরোয়া জিনিসপত্র দিয়ে এখন রূপচর্চা করা হয়। এই ঘরোয়া রূপচর্চার বিষয়টি এখন বেশ ট্রেন্ডি। এই ট্রেন্ড কিন্তু এখনকার নয়। রূপ, গুণ, বুদ্ধিমত্তা দিয়ে নিজের সময়ের সেরা পুরুষদের মন জয় করে নিয়েছিলেন যে রানি, তাঁর নাম ক্লিওপেট্রা। চোখ, ত্বক, চুল, ঠোঁট সবকিছুই নাকি ছিল তাঁর দশে দশ। তাঁর এই ভুবনভোলানো রূপের রহস্য ছিল ভেষজ এবং একেবারে হাতের কাছে পাওয়া জিনিসপত্র। তাঁর চর্চিত ভেষজ রূপচর্চার কৌশল আধুনিক বিশ্বে আজও ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সামনের দিনগুলোয় বাড়িতে থাকতে হবে সবাইকে। চাইলে বাড়িতে বসে ক্লিওপেট্রা চর্চিত উপাদানে আপনিও করতে পারেন রূপচর্চা।
স্নানের জলে হলুদ ও দুধ
রানির স্নান বলে কথা, তাই শুধু জলই যথেষ্ট নয়! ক্লিওপেট্রা তাঁর স্নানের আয়োজনও করতেন ঘটা করে। স্নানের জলে মেশাতেন দুধ। এ ছাড়াও বাড়তি উপকারিতার জন্য যোগ করতেন কাঁচা হলুদ। দুধের মধ্যকার ল্যাক্টিক অ্যাসিড ক্লিওপেট্রার ত্বককে পরিচ্ছন্ন, কোমল ও দীপ্তিময় রাখতে সহায়তা করত। এই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে স্পাগুলোয় মিল্ক বাথে যোগ করা হয় দুধ ও ল্যাভেন্ডার অয়েলের মতো এসেনশিয়াল অয়েল। তা ছাড়া প্রাচীনকাল থেকে ভারতীয় নারীদের সৌন্দর্যচর্চায় প্রাধান্য পেয়ে আসছে কাঁচা হলুদ। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
ত্বকে সামুদ্রিক লবণ
ক্লিওপেট্রা মৃত সাগর ও গুহা থেকে লবণ আনার ব্যবস্থা করেছিলেন। তাঁর সৌন্দর্যচর্চায় এসব লবণ ছিল গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। তিনি বিশ্বাস করতেন, খনিজে পরিপূর্ণ সামুদ্রিক লবণ ত্বকের মরা কোষ ঝরাতে ও দাগ দূর করতে অতুলনীয়। তাঁর রাজকীয় স্নানে এক্সফলিয়েটর হিসেবে ব্যবহার হতো এই লবণ। এখন বিউটি স্যালনগুলোয় পরিষ্কারক ও এক্সফলিয়েটর হিসেবে সামুদ্রিক লবণের ব্যবহার দেখা যায়। তা ছাড়া ঘরোয়া রূপচর্চায় স্ক্র্যাবিংয়ের জন্য সাধারণ লবণও ব্যবহৃত হয়। হাত ও পায়ের ত্বকের কোমলতার জন্য পরিমাণমতো লবণের সঙ্গে নারকেল তেল ও কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল যোগ করে স্ক্র্যাব করা
যেতে পারে।
উপযোগী ময়েশ্চারাইজার
রূপচর্চায় ময়েশ্চারাইজার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্লিওপেট্রা ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে মৌ-মোম ব্যবহার করতেন। এটি ত্বকে ভিটামিনের জোগান দিত। পাশাপাশি ত্বকের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখতে এবং ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখত।
চোখ সাজাতে সুরমা
ক্লিওপেট্রার সাজে প্রাধান্য পেত তাঁর চোখ। চোখ সাজাতে তিনি কালো গ্যালেনা ও সবুজ ম্যালাকাইট দিয়ে সুরমা তৈরি করতেন। সুরমা তৈরিতে যোগ করা হতো দারুচিনি গুঁড়ো, প্রাকৃতিক তেল বা পশুর চর্বি। এই সুরমা তৈরিতে আরও যোগ করা হতো জিংক অক্সাইড, যাতে সূর্যরশ্মি থেকে সুরক্ষিত থাকত ক্লিওপেট্রার চোখ।
ঢাকা: ‘কমলা লেবুর খোসা বেটে মুখে মাখলে পরে/ ত্বক তোমার থাকবে পরিষ্কার’—অঞ্জন দত্ত গেয়েছিলেন কিছুটা শ্লেষ ভরেই। কিন্তু জানেন তো, কমলা লেবুর খোসার মতো ফেলে দেওয়া ঘরোয়া জিনিসপত্র দিয়ে এখন রূপচর্চা করা হয়। এই ঘরোয়া রূপচর্চার বিষয়টি এখন বেশ ট্রেন্ডি। এই ট্রেন্ড কিন্তু এখনকার নয়। রূপ, গুণ, বুদ্ধিমত্তা দিয়ে নিজের সময়ের সেরা পুরুষদের মন জয় করে নিয়েছিলেন যে রানি, তাঁর নাম ক্লিওপেট্রা। চোখ, ত্বক, চুল, ঠোঁট সবকিছুই নাকি ছিল তাঁর দশে দশ। তাঁর এই ভুবনভোলানো রূপের রহস্য ছিল ভেষজ এবং একেবারে হাতের কাছে পাওয়া জিনিসপত্র। তাঁর চর্চিত ভেষজ রূপচর্চার কৌশল আধুনিক বিশ্বে আজও ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সামনের দিনগুলোয় বাড়িতে থাকতে হবে সবাইকে। চাইলে বাড়িতে বসে ক্লিওপেট্রা চর্চিত উপাদানে আপনিও করতে পারেন রূপচর্চা।
স্নানের জলে হলুদ ও দুধ
রানির স্নান বলে কথা, তাই শুধু জলই যথেষ্ট নয়! ক্লিওপেট্রা তাঁর স্নানের আয়োজনও করতেন ঘটা করে। স্নানের জলে মেশাতেন দুধ। এ ছাড়াও বাড়তি উপকারিতার জন্য যোগ করতেন কাঁচা হলুদ। দুধের মধ্যকার ল্যাক্টিক অ্যাসিড ক্লিওপেট্রার ত্বককে পরিচ্ছন্ন, কোমল ও দীপ্তিময় রাখতে সহায়তা করত। এই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে স্পাগুলোয় মিল্ক বাথে যোগ করা হয় দুধ ও ল্যাভেন্ডার অয়েলের মতো এসেনশিয়াল অয়েল। তা ছাড়া প্রাচীনকাল থেকে ভারতীয় নারীদের সৌন্দর্যচর্চায় প্রাধান্য পেয়ে আসছে কাঁচা হলুদ। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
ত্বকে সামুদ্রিক লবণ
ক্লিওপেট্রা মৃত সাগর ও গুহা থেকে লবণ আনার ব্যবস্থা করেছিলেন। তাঁর সৌন্দর্যচর্চায় এসব লবণ ছিল গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। তিনি বিশ্বাস করতেন, খনিজে পরিপূর্ণ সামুদ্রিক লবণ ত্বকের মরা কোষ ঝরাতে ও দাগ দূর করতে অতুলনীয়। তাঁর রাজকীয় স্নানে এক্সফলিয়েটর হিসেবে ব্যবহার হতো এই লবণ। এখন বিউটি স্যালনগুলোয় পরিষ্কারক ও এক্সফলিয়েটর হিসেবে সামুদ্রিক লবণের ব্যবহার দেখা যায়। তা ছাড়া ঘরোয়া রূপচর্চায় স্ক্র্যাবিংয়ের জন্য সাধারণ লবণও ব্যবহৃত হয়। হাত ও পায়ের ত্বকের কোমলতার জন্য পরিমাণমতো লবণের সঙ্গে নারকেল তেল ও কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল যোগ করে স্ক্র্যাব করা
যেতে পারে।
উপযোগী ময়েশ্চারাইজার
রূপচর্চায় ময়েশ্চারাইজার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্লিওপেট্রা ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে মৌ-মোম ব্যবহার করতেন। এটি ত্বকে ভিটামিনের জোগান দিত। পাশাপাশি ত্বকের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখতে এবং ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখত।
চোখ সাজাতে সুরমা
ক্লিওপেট্রার সাজে প্রাধান্য পেত তাঁর চোখ। চোখ সাজাতে তিনি কালো গ্যালেনা ও সবুজ ম্যালাকাইট দিয়ে সুরমা তৈরি করতেন। সুরমা তৈরিতে যোগ করা হতো দারুচিনি গুঁড়ো, প্রাকৃতিক তেল বা পশুর চর্বি। এই সুরমা তৈরিতে আরও যোগ করা হতো জিংক অক্সাইড, যাতে সূর্যরশ্মি থেকে সুরক্ষিত থাকত ক্লিওপেট্রার চোখ।
রান্নায় চিনি ব্যবহারে খাবারের রঙ ও স্বাদ দুটোই বাড়ে। বিশ্বাস না হলে গরুর মাংসে চিনি ব্যবহার করেই দেখুন। তবে শুধু চিনি ব্যবহার করলেই হবে না, কীভাবে রান্না করছেন তার ওপরও নির্ভর করবে স্বাদ কেমন হবে।
২৪ দিন আগেশ্রাবণের শেষেই যদি থাকে রোদের এত তাপ, তাহলে আসছে শরতে কী হবে, বোঝাই যাচ্ছে। সকালে স্নান সেরে সেজেগুজে বের হয়েও নিস্তার নেই। আধা ঘণ্টার মধ্য়ে ঘেমে-নেয়ে নাজেহাল। রোদের তাপে ত্বকের অবস্থা খারাপ। ব্রণ হওয়ার প্রবণতাও এ ঋতুতে বেড়ে যায়। এ সময় ত্বক ঠান্ডা রাখতে পারলে ব্রণ ও র্যাশ হওয়ার আশঙ্কা কমে...
২৪ দিন আগে‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটকের এই কথা শোনেনি, এমন মানুষ কি আছে। কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনোভাবে এই উক্তি আমরা বহুবার শুনেছি। খুব ইতিবাচক কথা নিঃসন্দেহে। তবে এই ‘ভাবা’ বা ‘ভাবনা’ কিংবা ‘চিন্তা’ শব্দটির উল্টো দিকে আছে ‘দুর্ভাবনা’ শব্দটি।
২৪ দিন আগেরোমকূপে ত্বক নষ্ট! সেই সঙ্গে নষ্ট শান্তি। বহু কিছু করেও বাগে আনা যাচ্ছে না সেগুলো; বরং ধীরে ধীরে সংখ্যা বেড়ে চলেছে। একটু ধৈর্য ধরে বসুন। এরও প্রতিকার আছে। ঘরোয়া উপায়ে ধীরে ধীরে পোরস বা রোমকূপ বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
২৪ দিন আগে