রিক্তা রিচি, ঢাকা
গত ২০০ বছরে হিল জুতার ট্রেন্ডে কোনো হেরফের হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়নি। অথচ যুদ্ধের ময়দানে এক জটিল অবস্থার মধ্য দিয়ে হিলযুক্ত জুতার যাত্রা শুরু হয়। অবশ্য জন্মের ঢের পরে এটি পৃথিবীতে জনপ্রিয়তা পায় মূলত ফ্যাশনের রঙিন ভুবনে এসে। ফ্যাশনবিষয়ক গবেষকেরা ধারণা করেন, দশম শতকে প্রাচীন পারস্যে এর জন্ম। প্রাচীন পারস্যের ঘোড়সওয়ার তিরন্দাজ সৈনিকেরা যুদ্ধে সুবিধার জন্য গোড়ালি উঁচু জুতা ব্যবহার করতেন। এর অনেক পরে এটি ইউরোপে যায়।
প্রতিদিনের ব্যবহারের পাশাপাশি ফ্যাশনের জন্য এর ব্যবহার বেড়ে যায় উনিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে। মার্কিন অভিনেত্রী মেরিলিন মনরো বলেছিলেন, ‘একজন নারীকে এক জোড়া সঠিক জুতা দাও, সে বিশ্ব জয় করবে।’ মনে করা হয়, সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে মনরোর এই ‘সঠিক মাপের জুতা’ বা ‘দ্য রাইট পেয়ার অব সুজ’ হলো হাই হিল।
টপস, জিনস, শার্ট, সালোয়ার-কামিজ কিংবা শাড়ি–প্রায় সব পোশাকের সঙ্গে উঁচু জুতা মানিয়ে যায়। বাজারে ২৫ থেকে ৩০ রকমের হিল জুতা আছে। এই বিপুলসংখ্যক হিল জুতার মধ্য থেকেই বেছে নিন আপনার ‘সঠিক জুতা’।
হিল জুতার রকমফের
স্টিলেটোস
এটি ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয় হিল। স্টিলেটোস বললে হয়তো অনেকেই চিনবেন না। কিন্তু পেনসিল হিল বললে সহজে সবাই চিনবেন। মূলত পেনসিল হিল বলে কিছু হয় না। এ ধরনের জুতার হিল পেনসিলের মতো লম্বা ও সরু থাকে। নিচের অংশে একটা পয়েন্ট থাকে। ওয়েস্টার্ন ধাঁচের পোশাকের সঙ্গে সহজে মানিয়ে যায় স্টিলেটোস।
কিটেন হিল
এর হিলগুলো বেশ ছোট আকৃতির হয়। সাধারণত তিন ইঞ্চির কম উচ্চতা এগুলোর। এর সামনের দিক একটু চওড়া হয়। তাতে পায়ের টো ও আঙুল খাপ খেয়ে যায় সহজে। পা একটু মোটা বা চওড়া হলেও কিটেন হিলে তা খাপ খেয়ে যাবে আরামে। যাঁরা অনেক বেশি উঁচু হিল পরতে পারেন না, তাঁরা কিটেন হিল বেছে নিতে পারেন।
পাম্পস
স্টিলেটোসের মতো আরও এক ধরনের হিল জুতা আমরা পরে থাকি। এর নাম পাম্পস। এর হিল স্টিলেটোসের হিলের মতোই। তবে এই জুতার সামনের দিকে কিছুটা ছড়ানো ও মোটা থাকে। সেখানে পায়ের আঙুল ছড়িয়ে দেওয়া যায়; অর্থাৎ পা রাখা সহজ হয়। এ ধরনের হিল জুতা স্কার্ট, শাড়ি, সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে পরা যায়।
হিল জুতার যত্ন
কোণ হিল
আইস্ক্রিমের কোণের সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। কিন্তু কোণ নামের যে হিল রয়েছে তা হয়তো অনেকেই জানে না। আইসকিমের কোণ আকৃতির হিলযুক্ত জুতাই কোণ হিল। কিটেন হিল, পিপটোজ হিল কিংবা ওয়েডস–যেকোনো হিলের ওপরের অংশের সঙ্গে আইসক্রিমের কোণের মতো হিল যুক্ত করলেই সেটা কোণ হিল। অনেক আগে থেকে এ ধরনের হিলের বেশ প্রচলন রয়েছে। যাঁরা উঁচু হিল পরতে ভালোবাসেন, তাঁরা কোণ হিলের জুতা বেছে নিতে পারেন। এ জুতা ফরমাল পোশাক, স্কার্ট ইত্যাদির সঙ্গে ভালো মানায়।
ওয়েডজ হিল
ওয়েডজ সু অনেক পরিচিত একটি জুতা। এটি পরে স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটা যায়। মূলত এই জুতাগুলো বেশ উঁচু প্ল্যাটফর্মের ওপরে তৈরি। হিল ও টোজের মাঝখানে কোনো ফাঁকা থাকে না। এই জুতা পরলে পা ঢাকা থাকবে। যাঁরা স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে নিজেকে আরও ৪-৫ ইঞ্চি লম্বাভাবে উপস্থাপন করতে চান, তাঁরা এ ধরনের জুতা বেছে নিতে পারেন।
পিপটোজ
পিপ মানে উঁকি দেওয়া। পিপটোজ হিলে পুরো পা আবৃত থাকলেও সামনের দিকের আঙুলের অংশ খোলা থাকে। এর হিল অনেকটাই লম্বা। তবে পিপটোজ জুতাগুলো ফ্ল্যাটও হয়। হিল জুতা যাঁরা পরতে পারেন না, তাঁরা অনায়াসে বেছে নিতে পারেন পিপটোজ ফ্ল্যাট জুতা।
অ্যাঙ্কেল স্ট্র্যাপ হিল
অ্যাঙ্কেল স্ট্র্যাপ হিল জুতাগুলোয় হিলের সঙ্গে থাকে কভার ও বেল্ট। কভার ও বেল্ট গোড়ালিকে সুরক্ষা দেয়। এ ধরনের হিল জুতায় সামনের দিকে পিপটোজ হিলের মতো খোলা থাকে। ফলে পায়ের আঙুল বাইরে থেকে দেখা যায়।
অ্যাঙ্কেল বুটস
আমরা দুই ধরনের বুটস পরে থাকি। একটি হলো অ্যাঙ্কেল বুটস, অন্যটি হাই হিলড বুটস। অ্যাঙ্কেল বুটস লম্বায় গোড়ালির একটু বেশি পর্যন্ত হয়ে থাকে। পেছনের অংশে চেন থাকে। যে বুটগুলো লম্বায় হাঁটুর একটু নিচ পর্যন্ত হয়ে থাকে, সেগুলো হলো হাই হিলড বুটস। শীতকালে এ ধরনের জুতা উপযোগী। সাধারণত পশ্চিমা পোশাকের সঙ্গে অ্যাঙ্কেল বুটস ও হাই
হিলড বুটস বেশ মানিয়ে যায়।
প্ল্যাটফর্ম হিল
এই জুতার টো ও আঙুল রাখার জায়গা উঁচু বেজের ওপর তৈরি এবং পেছনের হিলও থাকে বেশ উঁচু। ৪-৫ ইঞ্চি লম্বা পয়েন্টি হিলের এ জুতা পরেও আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। এ ধরনের কিছু কিছু জুতায় ফিতা থাকে। পশ্চিমা পোশাক, টপস, শাড়ি ইত্যাদির সঙ্গে মানিয়ে যায় এ জুতা।
জীবনধারা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
গত ২০০ বছরে হিল জুতার ট্রেন্ডে কোনো হেরফের হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়নি। অথচ যুদ্ধের ময়দানে এক জটিল অবস্থার মধ্য দিয়ে হিলযুক্ত জুতার যাত্রা শুরু হয়। অবশ্য জন্মের ঢের পরে এটি পৃথিবীতে জনপ্রিয়তা পায় মূলত ফ্যাশনের রঙিন ভুবনে এসে। ফ্যাশনবিষয়ক গবেষকেরা ধারণা করেন, দশম শতকে প্রাচীন পারস্যে এর জন্ম। প্রাচীন পারস্যের ঘোড়সওয়ার তিরন্দাজ সৈনিকেরা যুদ্ধে সুবিধার জন্য গোড়ালি উঁচু জুতা ব্যবহার করতেন। এর অনেক পরে এটি ইউরোপে যায়।
প্রতিদিনের ব্যবহারের পাশাপাশি ফ্যাশনের জন্য এর ব্যবহার বেড়ে যায় উনিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে। মার্কিন অভিনেত্রী মেরিলিন মনরো বলেছিলেন, ‘একজন নারীকে এক জোড়া সঠিক জুতা দাও, সে বিশ্ব জয় করবে।’ মনে করা হয়, সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে মনরোর এই ‘সঠিক মাপের জুতা’ বা ‘দ্য রাইট পেয়ার অব সুজ’ হলো হাই হিল।
টপস, জিনস, শার্ট, সালোয়ার-কামিজ কিংবা শাড়ি–প্রায় সব পোশাকের সঙ্গে উঁচু জুতা মানিয়ে যায়। বাজারে ২৫ থেকে ৩০ রকমের হিল জুতা আছে। এই বিপুলসংখ্যক হিল জুতার মধ্য থেকেই বেছে নিন আপনার ‘সঠিক জুতা’।
হিল জুতার রকমফের
স্টিলেটোস
এটি ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয় হিল। স্টিলেটোস বললে হয়তো অনেকেই চিনবেন না। কিন্তু পেনসিল হিল বললে সহজে সবাই চিনবেন। মূলত পেনসিল হিল বলে কিছু হয় না। এ ধরনের জুতার হিল পেনসিলের মতো লম্বা ও সরু থাকে। নিচের অংশে একটা পয়েন্ট থাকে। ওয়েস্টার্ন ধাঁচের পোশাকের সঙ্গে সহজে মানিয়ে যায় স্টিলেটোস।
কিটেন হিল
এর হিলগুলো বেশ ছোট আকৃতির হয়। সাধারণত তিন ইঞ্চির কম উচ্চতা এগুলোর। এর সামনের দিক একটু চওড়া হয়। তাতে পায়ের টো ও আঙুল খাপ খেয়ে যায় সহজে। পা একটু মোটা বা চওড়া হলেও কিটেন হিলে তা খাপ খেয়ে যাবে আরামে। যাঁরা অনেক বেশি উঁচু হিল পরতে পারেন না, তাঁরা কিটেন হিল বেছে নিতে পারেন।
পাম্পস
স্টিলেটোসের মতো আরও এক ধরনের হিল জুতা আমরা পরে থাকি। এর নাম পাম্পস। এর হিল স্টিলেটোসের হিলের মতোই। তবে এই জুতার সামনের দিকে কিছুটা ছড়ানো ও মোটা থাকে। সেখানে পায়ের আঙুল ছড়িয়ে দেওয়া যায়; অর্থাৎ পা রাখা সহজ হয়। এ ধরনের হিল জুতা স্কার্ট, শাড়ি, সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে পরা যায়।
হিল জুতার যত্ন
কোণ হিল
আইস্ক্রিমের কোণের সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। কিন্তু কোণ নামের যে হিল রয়েছে তা হয়তো অনেকেই জানে না। আইসকিমের কোণ আকৃতির হিলযুক্ত জুতাই কোণ হিল। কিটেন হিল, পিপটোজ হিল কিংবা ওয়েডস–যেকোনো হিলের ওপরের অংশের সঙ্গে আইসক্রিমের কোণের মতো হিল যুক্ত করলেই সেটা কোণ হিল। অনেক আগে থেকে এ ধরনের হিলের বেশ প্রচলন রয়েছে। যাঁরা উঁচু হিল পরতে ভালোবাসেন, তাঁরা কোণ হিলের জুতা বেছে নিতে পারেন। এ জুতা ফরমাল পোশাক, স্কার্ট ইত্যাদির সঙ্গে ভালো মানায়।
ওয়েডজ হিল
ওয়েডজ সু অনেক পরিচিত একটি জুতা। এটি পরে স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটা যায়। মূলত এই জুতাগুলো বেশ উঁচু প্ল্যাটফর্মের ওপরে তৈরি। হিল ও টোজের মাঝখানে কোনো ফাঁকা থাকে না। এই জুতা পরলে পা ঢাকা থাকবে। যাঁরা স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে নিজেকে আরও ৪-৫ ইঞ্চি লম্বাভাবে উপস্থাপন করতে চান, তাঁরা এ ধরনের জুতা বেছে নিতে পারেন।
পিপটোজ
পিপ মানে উঁকি দেওয়া। পিপটোজ হিলে পুরো পা আবৃত থাকলেও সামনের দিকের আঙুলের অংশ খোলা থাকে। এর হিল অনেকটাই লম্বা। তবে পিপটোজ জুতাগুলো ফ্ল্যাটও হয়। হিল জুতা যাঁরা পরতে পারেন না, তাঁরা অনায়াসে বেছে নিতে পারেন পিপটোজ ফ্ল্যাট জুতা।
অ্যাঙ্কেল স্ট্র্যাপ হিল
অ্যাঙ্কেল স্ট্র্যাপ হিল জুতাগুলোয় হিলের সঙ্গে থাকে কভার ও বেল্ট। কভার ও বেল্ট গোড়ালিকে সুরক্ষা দেয়। এ ধরনের হিল জুতায় সামনের দিকে পিপটোজ হিলের মতো খোলা থাকে। ফলে পায়ের আঙুল বাইরে থেকে দেখা যায়।
অ্যাঙ্কেল বুটস
আমরা দুই ধরনের বুটস পরে থাকি। একটি হলো অ্যাঙ্কেল বুটস, অন্যটি হাই হিলড বুটস। অ্যাঙ্কেল বুটস লম্বায় গোড়ালির একটু বেশি পর্যন্ত হয়ে থাকে। পেছনের অংশে চেন থাকে। যে বুটগুলো লম্বায় হাঁটুর একটু নিচ পর্যন্ত হয়ে থাকে, সেগুলো হলো হাই হিলড বুটস। শীতকালে এ ধরনের জুতা উপযোগী। সাধারণত পশ্চিমা পোশাকের সঙ্গে অ্যাঙ্কেল বুটস ও হাই
হিলড বুটস বেশ মানিয়ে যায়।
প্ল্যাটফর্ম হিল
এই জুতার টো ও আঙুল রাখার জায়গা উঁচু বেজের ওপর তৈরি এবং পেছনের হিলও থাকে বেশ উঁচু। ৪-৫ ইঞ্চি লম্বা পয়েন্টি হিলের এ জুতা পরেও আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। এ ধরনের কিছু কিছু জুতায় ফিতা থাকে। পশ্চিমা পোশাক, টপস, শাড়ি ইত্যাদির সঙ্গে মানিয়ে যায় এ জুতা।
জীবনধারা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
রান্নায় চিনি ব্যবহারে খাবারের রঙ ও স্বাদ দুটোই বাড়ে। বিশ্বাস না হলে গরুর মাংসে চিনি ব্যবহার করেই দেখুন। তবে শুধু চিনি ব্যবহার করলেই হবে না, কীভাবে রান্না করছেন তার ওপরও নির্ভর করবে স্বাদ কেমন হবে।
১২ আগস্ট ২০২৫শ্রাবণের শেষেই যদি থাকে রোদের এত তাপ, তাহলে আসছে শরতে কী হবে, বোঝাই যাচ্ছে। সকালে স্নান সেরে সেজেগুজে বের হয়েও নিস্তার নেই। আধা ঘণ্টার মধ্য়ে ঘেমে-নেয়ে নাজেহাল। রোদের তাপে ত্বকের অবস্থা খারাপ। ব্রণ হওয়ার প্রবণতাও এ ঋতুতে বেড়ে যায়। এ সময় ত্বক ঠান্ডা রাখতে পারলে ব্রণ ও র্যাশ হওয়ার আশঙ্কা কমে...
১২ আগস্ট ২০২৫‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটকের এই কথা শোনেনি, এমন মানুষ কি আছে। কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনোভাবে এই উক্তি আমরা বহুবার শুনেছি। খুব ইতিবাচক কথা নিঃসন্দেহে। তবে এই ‘ভাবা’ বা ‘ভাবনা’ কিংবা ‘চিন্তা’ শব্দটির উল্টো দিকে আছে ‘দুর্ভাবনা’ শব্দটি।
১১ আগস্ট ২০২৫রোমকূপে ত্বক নষ্ট! সেই সঙ্গে নষ্ট শান্তি। বহু কিছু করেও বাগে আনা যাচ্ছে না সেগুলো; বরং ধীরে ধীরে সংখ্যা বেড়ে চলেছে। একটু ধৈর্য ধরে বসুন। এরও প্রতিকার আছে। ঘরোয়া উপায়ে ধীরে ধীরে পোরস বা রোমকূপ বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
১১ আগস্ট ২০২৫