ইসলাম ডেস্ক
অযথা বিতর্ক করতে নিরুৎসাহিত করে ইসলাম। তবে বিতর্ক যখন হয় মহৎ উদ্দেশ্যে, যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে, তখন তা উপকার বয়ে আনতে পারে। এ ক্ষেত্রে রয়েছে নির্দেশিত কিছু শিষ্টাচার। যথা—
১. কল্যাণকর লক্ষ্য স্থির করা: নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং কিয়ামত দিবসে বিশ্বাস রাখে, সে যেন উত্তম কথা বলে অথবা চুপ থাকে।’ (বুখারি: ৬৪৭৬)
২. সংযত কথা বলা: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সে যে কথাই উচ্চারণ করে, তা গ্রহণ করার জন্য তার কাছে সদা প্রস্তুত প্রহরী রয়েছে।’ (সুরা কাফ: ১৮)
৩. বোধগম্য ভাষায় কথা বলা: আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন কোনো কথা বলতেন, তখন তা তিনবার বলতেন, যাতে তা বোঝা যায়।’ (বুখারি: ৯৫)
৪. সত্য মেনে নেওয়া: রাসুল (সা.) বলেন, ‘সত্যবাদিতা নেকির দিকে পথ প্রদর্শন করে আর নেকি জান্নাতের পথ নির্দেশ করে। কোনো মানুষ সত্য কথা রপ্ত করতে থাকলে অবশেষে আল্লাহর কাছে (সত্যবাদী) হিসেবে (তার নাম) লিপিবদ্ধ হয়।’ (বুখারি: ৬০৯৪)
৫. জ্ঞানের সীমার মধ্যে কথা বলা: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে বিষয়ে তোমার নিশ্চিত জ্ঞান নেই, তার পেছনে ছুটো না। নিশ্চয়ই তোমার কান, চোখ ও বিবেক প্রতিটি বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৩৬)
৬. নিজের প্রশংসা না করা: আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘অতএব তোমরা আত্মপ্রশংসা কোরো না। তিনি সর্বাধিক অবগত কে তাঁকে ভয় করে।’ (সুরা নজম: ৩২)
৭. উত্তম যুক্তি উপস্থাপন করা: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে আহ্বান করো হিকমত ও সদুপদেশ দ্বারা এবং তাদের সঙ্গে তর্ক করবে উত্তম পন্থায়।’ (সুরা নাহল: ১২৫)
৮. গালাগাল না করা: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকি এবং তার সঙ্গে লড়াই-ঝগড়া করা কুফরি।’ (বুখারি: ৬০৪৪)
৯. হুমকি-ধমকি পরিত্যাগ: ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, ‘(দ্বীন প্রচারের স্বার্থে) যদি কারও বিতর্ক ও যুক্তি-তর্কের প্রয়োজন হয়, তবে সে যেন তা করে উত্তম পদ্ধতি, বিনয়, নম্রতা ও সুন্দর সম্বোধনের মাধ্যমে।’ (তাফসিরে ইবনে কাসির: ৪ / ৫৩২)
১০. অর্থহীন বিতর্ক পরিহার: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমার নিদর্শন সম্পর্কে যারা বিতর্ক করে, তারা যেন জানতে পারে যে তাদের কোনো নিষ্কৃতি নেই।’ (সুরা শুরা: ৩৫)
অযথা বিতর্ক করতে নিরুৎসাহিত করে ইসলাম। তবে বিতর্ক যখন হয় মহৎ উদ্দেশ্যে, যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে, তখন তা উপকার বয়ে আনতে পারে। এ ক্ষেত্রে রয়েছে নির্দেশিত কিছু শিষ্টাচার। যথা—
১. কল্যাণকর লক্ষ্য স্থির করা: নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং কিয়ামত দিবসে বিশ্বাস রাখে, সে যেন উত্তম কথা বলে অথবা চুপ থাকে।’ (বুখারি: ৬৪৭৬)
২. সংযত কথা বলা: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সে যে কথাই উচ্চারণ করে, তা গ্রহণ করার জন্য তার কাছে সদা প্রস্তুত প্রহরী রয়েছে।’ (সুরা কাফ: ১৮)
৩. বোধগম্য ভাষায় কথা বলা: আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন কোনো কথা বলতেন, তখন তা তিনবার বলতেন, যাতে তা বোঝা যায়।’ (বুখারি: ৯৫)
৪. সত্য মেনে নেওয়া: রাসুল (সা.) বলেন, ‘সত্যবাদিতা নেকির দিকে পথ প্রদর্শন করে আর নেকি জান্নাতের পথ নির্দেশ করে। কোনো মানুষ সত্য কথা রপ্ত করতে থাকলে অবশেষে আল্লাহর কাছে (সত্যবাদী) হিসেবে (তার নাম) লিপিবদ্ধ হয়।’ (বুখারি: ৬০৯৪)
৫. জ্ঞানের সীমার মধ্যে কথা বলা: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে বিষয়ে তোমার নিশ্চিত জ্ঞান নেই, তার পেছনে ছুটো না। নিশ্চয়ই তোমার কান, চোখ ও বিবেক প্রতিটি বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৩৬)
৬. নিজের প্রশংসা না করা: আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘অতএব তোমরা আত্মপ্রশংসা কোরো না। তিনি সর্বাধিক অবগত কে তাঁকে ভয় করে।’ (সুরা নজম: ৩২)
৭. উত্তম যুক্তি উপস্থাপন করা: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে আহ্বান করো হিকমত ও সদুপদেশ দ্বারা এবং তাদের সঙ্গে তর্ক করবে উত্তম পন্থায়।’ (সুরা নাহল: ১২৫)
৮. গালাগাল না করা: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকি এবং তার সঙ্গে লড়াই-ঝগড়া করা কুফরি।’ (বুখারি: ৬০৪৪)
৯. হুমকি-ধমকি পরিত্যাগ: ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, ‘(দ্বীন প্রচারের স্বার্থে) যদি কারও বিতর্ক ও যুক্তি-তর্কের প্রয়োজন হয়, তবে সে যেন তা করে উত্তম পদ্ধতি, বিনয়, নম্রতা ও সুন্দর সম্বোধনের মাধ্যমে।’ (তাফসিরে ইবনে কাসির: ৪ / ৫৩২)
১০. অর্থহীন বিতর্ক পরিহার: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমার নিদর্শন সম্পর্কে যারা বিতর্ক করে, তারা যেন জানতে পারে যে তাদের কোনো নিষ্কৃতি নেই।’ (সুরা শুরা: ৩৫)
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
২০ দিন আগেপবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
২০ দিন আগেক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
২১ দিন আগেআল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
২১ দিন আগে