আবদুল আযীয কাসেমি
নামাজবিষয়ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি পরিভাষা হলো সিররি ও জাহরি নামাজ। সিররি নামাজের অর্থ হলো, যেসব নামাজে কিরাত নিচু স্বরে পাঠ করতে হয়। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের মধ্যে জোহর ও আসরের সব রাকাত এবং বাকি তিন ফরজ নামাজের শেষ দুই রাকাতে কিংবা শেষ রাকাতে এবং সব ধরনের ওয়াজিব, নফল ও মুস্তাহাব নামাজের প্রতি রাকাতে কিরাত নিচু স্বরে পড়তে হয়।
আর জাহরি নামাজের অর্থ হলো, যেসব নামাজে উঁচু স্বরে কিরাত পাঠ করতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে ফজর, মাগরিব ও এশার প্রথম দুই রাকাত। এ ছাড়া রয়েছে জুমার নামাজ, দুই ঈদের নামাজ, তারাবিহর নামাজ এবং রমজানে বিতিরের নামাজ। এ বিধান ইমামের পেছনে নামাজ আদায় করলেই কেবল প্রযোজ্য।
একাকী নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি যখন সময়মতো নামাজ আদায় করবে, তাহলে জাহরি নামাজগুলোতে সে ইচ্ছাধীন—চাইলে কিরাত উঁচু স্বরে পড়তে পারে, চাইলে নিচু স্বরেও পড়তে পারে। যদি সে কাজা নামাজ একা একা আদায় করে, তবে অবশ্যই যেকোনো কিরাত নিচু স্বরেই পড়তে হবে। জোরে পড়ার সর্বনিম্ন পরিমাণ হলো, নিজেকে শুনিয়ে পড়া। আর নিচু স্বরে পড়ার সর্বনিম্ন পরিমাণ হলো, প্রতিটি হরফকে বিশুদ্ধভাবে উচ্চারণ করা।
কেউ যদি সিররি নামাজে উঁচু স্বরে কিরাত পড়ে ফেলে, অথবা জাহরি নামাজে নিচু স্বরে কিরাত পাঠ করে, তবে তাকে সাহু সিজদা করতে হবে। কেউ যদি জাহরি নামাজে প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতিহার সঙ্গে সুরা মেলাতে ভুলে যায়, তাহলে শেষ দুই রাকাতে সুরা ফাতিহার সঙ্গে সুরা মেলাতে পারবে। এ ক্ষেত্রে সে যদি ইমাম হয়, তাহলে সে উঁচু স্বরেই কিরাত পড়তে পারবে। (হিদায়া ও অন্যান্য)
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
নামাজবিষয়ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি পরিভাষা হলো সিররি ও জাহরি নামাজ। সিররি নামাজের অর্থ হলো, যেসব নামাজে কিরাত নিচু স্বরে পাঠ করতে হয়। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের মধ্যে জোহর ও আসরের সব রাকাত এবং বাকি তিন ফরজ নামাজের শেষ দুই রাকাতে কিংবা শেষ রাকাতে এবং সব ধরনের ওয়াজিব, নফল ও মুস্তাহাব নামাজের প্রতি রাকাতে কিরাত নিচু স্বরে পড়তে হয়।
আর জাহরি নামাজের অর্থ হলো, যেসব নামাজে উঁচু স্বরে কিরাত পাঠ করতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে ফজর, মাগরিব ও এশার প্রথম দুই রাকাত। এ ছাড়া রয়েছে জুমার নামাজ, দুই ঈদের নামাজ, তারাবিহর নামাজ এবং রমজানে বিতিরের নামাজ। এ বিধান ইমামের পেছনে নামাজ আদায় করলেই কেবল প্রযোজ্য।
একাকী নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি যখন সময়মতো নামাজ আদায় করবে, তাহলে জাহরি নামাজগুলোতে সে ইচ্ছাধীন—চাইলে কিরাত উঁচু স্বরে পড়তে পারে, চাইলে নিচু স্বরেও পড়তে পারে। যদি সে কাজা নামাজ একা একা আদায় করে, তবে অবশ্যই যেকোনো কিরাত নিচু স্বরেই পড়তে হবে। জোরে পড়ার সর্বনিম্ন পরিমাণ হলো, নিজেকে শুনিয়ে পড়া। আর নিচু স্বরে পড়ার সর্বনিম্ন পরিমাণ হলো, প্রতিটি হরফকে বিশুদ্ধভাবে উচ্চারণ করা।
কেউ যদি সিররি নামাজে উঁচু স্বরে কিরাত পড়ে ফেলে, অথবা জাহরি নামাজে নিচু স্বরে কিরাত পাঠ করে, তবে তাকে সাহু সিজদা করতে হবে। কেউ যদি জাহরি নামাজে প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতিহার সঙ্গে সুরা মেলাতে ভুলে যায়, তাহলে শেষ দুই রাকাতে সুরা ফাতিহার সঙ্গে সুরা মেলাতে পারবে। এ ক্ষেত্রে সে যদি ইমাম হয়, তাহলে সে উঁচু স্বরেই কিরাত পড়তে পারবে। (হিদায়া ও অন্যান্য)
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
১২ আগস্ট ২০২৫পবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
১২ আগস্ট ২০২৫ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ আগস্ট ২০২৫আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১১ আগস্ট ২০২৫