ইজাজুল হক
ইরানি ক্যারাভানসরাইয়ের শিকড় ইসলামপূর্ব পারস্য সাম্রাজ্যে। খ্রিষ্টপূর্ব ৫৫০ সালে সাইরাস দ্য গ্রেট প্রথম ইরানে ক্যারাভানসরাই গড়ে তোলেন। তবে ১৬-১৭ শতকে সাফাভি শাসকদের বিশেষ মনোযোগের ফলে ইরানি ক্যারাভানসরাই বিশ্বমানে উন্নীত হয়। বিশেষ করে সাফাভি শাসক কেরমান শাহ আজারবাইজান থেকে ইস্পাহান পর্যন্ত অসংখ্য ক্যারাভানসরাই নির্মাণ করেন। এ ছাড়া সেলজুক যুগেও কিছু ক্যারাভানসরাই গড়ে উঠেছিল। এসব স্থাপনায় ইরানের প্রাচীন সিল্ক রোড হয়ে চলাচল করা বাণিজ্য কাফেলাগুলোর বিশ্রাম, খাদ্য, পানীয় ও তথ্য আদান-প্রদানের ব্যবস্থা ছিল।
ইরানের ক্যারাভানসরাইগুলো ইসলামি স্থাপত্যের অনন্য বিস্ময়ের নাম। ইরানের অনুর্বর মরুময় পরিবেশের কারণেই বাণিজ্য সড়কগুলোতে মূলত এসব স্থাপনা গড়ে উঠেছিল। কারণ পারস্য জাতি নিজের ভাষা-সংস্কৃতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য অন্য জাতির মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বদ্ধ পরিকর ছিল। ফলে মরুভূমি পাড়ি দিয়ে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে ক্যারাভানসরাই বড় ভূমিকা রেখেছিল। ইরানের উপ-সংস্কৃতিমন্ত্রী আলি দারাবির মতে, দেশটিতে বর্তমানে সহস্রাধিক ক্যারাভানসরাই রয়েছে। রাজধানী তেহরান থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলেও ক্যারাভানসরাই পাওয়া যায়।
মুসলিম আমলে নির্মিত ইরানের ক্যারাভানসরাইগুলোর স্থাপত্যশৈলীতে যুক্ত হয়েছে ইসলামি স্থাপত্যের সব উপাদান। সুপরিসর উঠোন, খিলানযুক্ত প্রবেশপথ, স্টোররুম, সীমানাপ্রাচীর, মসজিদ, হাম্মাম, উট-ঘোড়ার আস্তাবল—ভ্রমণকারীর সুযোগ-সুবিধার সব বিষয়ই তাতে রয়েছে। স্থাপত্যে রয়েছে পারসিক ইসলামি স্থাপত্যের ছাপ। রংবেরঙের কারুকাজ, দামি পাথর ও চমৎকার নকশায় এসব ক্যারাভানসরাই তৈরি হয়।
সম্প্রতি সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির বার্ষিক সভায় ইরানের ৫৪টি ক্যারাভানসরাইকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ইরানে রয়েছে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থাপনা। ক্যারাভানসরাই যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে সংখ্যাটি ২৭-এ পৌঁছেছে। ইউনেসকোর মতে, ইরানের এসব ক্যারাভানসরাই হাজার হাজার কিলোমিটারজুড়ে হজযাত্রী, বাণিজ্য কাফেলা ও ভ্রমণকারীদের আশ্রয়, খাবার ও পানীয়ের জোগান দিয়ে আসছে।
সোসাইটি অব ইরানিয়ান আর্কিওলজির প্রধান এবং তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইসমাইল ইসমাইলি বলেছেন, ‘ইরানি ক্যারাভানসরাইগুলোর বিশ্ব ঐতিহ্যে তালিকাভুক্তি ইরান সরকারের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফল। এই স্বীকৃতি ক্যারাভানসরাইগুলোর ইতিহাস ও পরিচয় সংরক্ষণের পাশাপাশি সংস্কার-পুনর্নির্মাণেও উৎসাহ জোগাবে।’
ইউনেসকোর স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এসব ক্যারাভানসরাই দেশটির ২৪টি প্রদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এই স্বীকৃতি দেশটির পর্যটন খাতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন দেশটির উপ-সংস্কৃতিমন্ত্রী আলি দারাবি। পর্যটন ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা আহমেদ দিনারি বলেছেন, ‘এটি একটি মূল্যবান পদক্ষেপ; এর মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ক্যারাভানসরাইগুলোর পুনরুদ্ধার ও সুরক্ষায় এগিয়ে আসবে এবং পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে।’
এই স্বীকৃতিতে আশাবাদী ইরানের পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। কাশান শহরের ট্যুর এজেন্ট কাভেহ মির্জা বলেছেন, ‘ইরানোফোবিয়া আমাদের পর্যটন খাতকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। বিশেষ করে পশ্চিমা পর্যটকদের ইরানে আসতে বাধার মুখে পড়তে হয়। আমি মনে করি, ইউনেসকোর এই স্বীকৃতি ইরান সম্পর্কে ভুল ধারণা দূর করবে।’
সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড
ইরানি ক্যারাভানসরাইয়ের শিকড় ইসলামপূর্ব পারস্য সাম্রাজ্যে। খ্রিষ্টপূর্ব ৫৫০ সালে সাইরাস দ্য গ্রেট প্রথম ইরানে ক্যারাভানসরাই গড়ে তোলেন। তবে ১৬-১৭ শতকে সাফাভি শাসকদের বিশেষ মনোযোগের ফলে ইরানি ক্যারাভানসরাই বিশ্বমানে উন্নীত হয়। বিশেষ করে সাফাভি শাসক কেরমান শাহ আজারবাইজান থেকে ইস্পাহান পর্যন্ত অসংখ্য ক্যারাভানসরাই নির্মাণ করেন। এ ছাড়া সেলজুক যুগেও কিছু ক্যারাভানসরাই গড়ে উঠেছিল। এসব স্থাপনায় ইরানের প্রাচীন সিল্ক রোড হয়ে চলাচল করা বাণিজ্য কাফেলাগুলোর বিশ্রাম, খাদ্য, পানীয় ও তথ্য আদান-প্রদানের ব্যবস্থা ছিল।
ইরানের ক্যারাভানসরাইগুলো ইসলামি স্থাপত্যের অনন্য বিস্ময়ের নাম। ইরানের অনুর্বর মরুময় পরিবেশের কারণেই বাণিজ্য সড়কগুলোতে মূলত এসব স্থাপনা গড়ে উঠেছিল। কারণ পারস্য জাতি নিজের ভাষা-সংস্কৃতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য অন্য জাতির মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বদ্ধ পরিকর ছিল। ফলে মরুভূমি পাড়ি দিয়ে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে ক্যারাভানসরাই বড় ভূমিকা রেখেছিল। ইরানের উপ-সংস্কৃতিমন্ত্রী আলি দারাবির মতে, দেশটিতে বর্তমানে সহস্রাধিক ক্যারাভানসরাই রয়েছে। রাজধানী তেহরান থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলেও ক্যারাভানসরাই পাওয়া যায়।
মুসলিম আমলে নির্মিত ইরানের ক্যারাভানসরাইগুলোর স্থাপত্যশৈলীতে যুক্ত হয়েছে ইসলামি স্থাপত্যের সব উপাদান। সুপরিসর উঠোন, খিলানযুক্ত প্রবেশপথ, স্টোররুম, সীমানাপ্রাচীর, মসজিদ, হাম্মাম, উট-ঘোড়ার আস্তাবল—ভ্রমণকারীর সুযোগ-সুবিধার সব বিষয়ই তাতে রয়েছে। স্থাপত্যে রয়েছে পারসিক ইসলামি স্থাপত্যের ছাপ। রংবেরঙের কারুকাজ, দামি পাথর ও চমৎকার নকশায় এসব ক্যারাভানসরাই তৈরি হয়।
সম্প্রতি সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির বার্ষিক সভায় ইরানের ৫৪টি ক্যারাভানসরাইকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ইরানে রয়েছে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থাপনা। ক্যারাভানসরাই যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে সংখ্যাটি ২৭-এ পৌঁছেছে। ইউনেসকোর মতে, ইরানের এসব ক্যারাভানসরাই হাজার হাজার কিলোমিটারজুড়ে হজযাত্রী, বাণিজ্য কাফেলা ও ভ্রমণকারীদের আশ্রয়, খাবার ও পানীয়ের জোগান দিয়ে আসছে।
সোসাইটি অব ইরানিয়ান আর্কিওলজির প্রধান এবং তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইসমাইল ইসমাইলি বলেছেন, ‘ইরানি ক্যারাভানসরাইগুলোর বিশ্ব ঐতিহ্যে তালিকাভুক্তি ইরান সরকারের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফল। এই স্বীকৃতি ক্যারাভানসরাইগুলোর ইতিহাস ও পরিচয় সংরক্ষণের পাশাপাশি সংস্কার-পুনর্নির্মাণেও উৎসাহ জোগাবে।’
ইউনেসকোর স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এসব ক্যারাভানসরাই দেশটির ২৪টি প্রদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এই স্বীকৃতি দেশটির পর্যটন খাতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন দেশটির উপ-সংস্কৃতিমন্ত্রী আলি দারাবি। পর্যটন ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা আহমেদ দিনারি বলেছেন, ‘এটি একটি মূল্যবান পদক্ষেপ; এর মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ক্যারাভানসরাইগুলোর পুনরুদ্ধার ও সুরক্ষায় এগিয়ে আসবে এবং পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে।’
এই স্বীকৃতিতে আশাবাদী ইরানের পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। কাশান শহরের ট্যুর এজেন্ট কাভেহ মির্জা বলেছেন, ‘ইরানোফোবিয়া আমাদের পর্যটন খাতকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। বিশেষ করে পশ্চিমা পর্যটকদের ইরানে আসতে বাধার মুখে পড়তে হয়। আমি মনে করি, ইউনেসকোর এই স্বীকৃতি ইরান সম্পর্কে ভুল ধারণা দূর করবে।’
সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
১২ আগস্ট ২০২৫পবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
১২ আগস্ট ২০২৫ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ আগস্ট ২০২৫আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১১ আগস্ট ২০২৫