আবরার নাঈম
অনেক কাজ আছে, যা মানুষের দৃষ্টিতে খুবই হালকা। তবে প্রকৃতপক্ষে পরকালে আমলের বাটখারায় সেগুলোও মাপা হবে এবং প্রতিদান দেওয়া হবে। ধরুন, আপনি রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন, পথিমধ্যে একটা ক্ষতিকর বস্তু দেখে তা আপনি সরিয়ে ফেললেন, যাতে কোনো পথচারীর কষ্ট না হয়। এটি ছোট কাজ হলেও অনেক বড় সওয়াব মিলবে এর বিনিময়ে।
হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ইমানের স্তর হলো সত্তরের অধিক। তার সর্বনিম্ন স্তর হলো, রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূর করা এবং সর্বোচ্চ স্তর হলো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা।’ (তিরমিজি: ২৬১৪; রিয়াদুস সালেহিন: ৬৮৮)
আপনি কি জানেন, মানুষের সঙ্গে ভালো কথা বলাও একটা সদকা? হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘ভালো কথা বলাও সদকাহ।’ (রিয়াদুস সালেহিন: ৬৯৯) ধরুন, পথিমধ্যে কিংবা যানবাহনে অথবা বাসায় আপনার কোনো ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো, আপনি হাসিমুখে তার সঙ্গে দুটো কথা বললেন, তার সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ করলেন।
এতেও আপনি সওয়াবের ভাগিদার হবেন। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, একদিন আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাকে বললেন, ‘তুমি কোনো ভালো কাজকে তুচ্ছ মনে করো না। যদিও তুমি তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করতে পারো।’ অর্থাৎ মুসলিম ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করাও একটি ভালো কাজ। (তিরমিজি: ১৮৩৩; রিয়াদুস সালেহিন: ৭০০)
এমন অসংখ্য ভালো কাজ আছে যেগুলো মানুষের দৃষ্টিতে ছোট, তবে আল্লাহর নিকট অতি পছন্দনীয়। তাই ভালো কোনো কাজকেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। বরং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ছোট থেকে ছোট যেকোনো কাজ নির্দ্বিধায় করে ফেলা মুমিনের কর্তব্য।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
অনেক কাজ আছে, যা মানুষের দৃষ্টিতে খুবই হালকা। তবে প্রকৃতপক্ষে পরকালে আমলের বাটখারায় সেগুলোও মাপা হবে এবং প্রতিদান দেওয়া হবে। ধরুন, আপনি রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন, পথিমধ্যে একটা ক্ষতিকর বস্তু দেখে তা আপনি সরিয়ে ফেললেন, যাতে কোনো পথচারীর কষ্ট না হয়। এটি ছোট কাজ হলেও অনেক বড় সওয়াব মিলবে এর বিনিময়ে।
হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ইমানের স্তর হলো সত্তরের অধিক। তার সর্বনিম্ন স্তর হলো, রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূর করা এবং সর্বোচ্চ স্তর হলো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা।’ (তিরমিজি: ২৬১৪; রিয়াদুস সালেহিন: ৬৮৮)
আপনি কি জানেন, মানুষের সঙ্গে ভালো কথা বলাও একটা সদকা? হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘ভালো কথা বলাও সদকাহ।’ (রিয়াদুস সালেহিন: ৬৯৯) ধরুন, পথিমধ্যে কিংবা যানবাহনে অথবা বাসায় আপনার কোনো ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো, আপনি হাসিমুখে তার সঙ্গে দুটো কথা বললেন, তার সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ করলেন।
এতেও আপনি সওয়াবের ভাগিদার হবেন। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, একদিন আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাকে বললেন, ‘তুমি কোনো ভালো কাজকে তুচ্ছ মনে করো না। যদিও তুমি তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করতে পারো।’ অর্থাৎ মুসলিম ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করাও একটি ভালো কাজ। (তিরমিজি: ১৮৩৩; রিয়াদুস সালেহিন: ৭০০)
এমন অসংখ্য ভালো কাজ আছে যেগুলো মানুষের দৃষ্টিতে ছোট, তবে আল্লাহর নিকট অতি পছন্দনীয়। তাই ভালো কোনো কাজকেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। বরং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ছোট থেকে ছোট যেকোনো কাজ নির্দ্বিধায় করে ফেলা মুমিনের কর্তব্য।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
২৪ দিন আগেপবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
২৫ দিন আগেক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ আগস্ট ২০২৫আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১১ আগস্ট ২০২৫