কারও প্রতি অহেতুক কুধারণা করা, কারও পেছনে লেগে থাকা, কারও দোষ খোঁজা ও কারও প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা চরম অন্যায়। এসব কাজ সামাজিক অশান্তির মূল কারণও বটে। উন্নত সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম মানুষের প্রতি সুধারণা পোষণ করতে উৎসাহ দেয়। যথাযথ প্রমাণ ছাড়া কারও প্রতি কুধারণা বা অহেতুক ধারণা পোষণ করা ও মন্তব্য করা স্পষ্ট হারাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা অধিকাংশ (অহেতুক) অনুমান থেকে দূরে থেকো। কারণ (অহেতুক) অনুমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাপ।’ (সুরা হুজরাত: ১২)
হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘অনুমান করে কথা বলার ব্যাপারে সাবধান হও। কারণ অলীক ধারণা পোষণ সবচেয়ে বড় মিথ্যা। তোমরা পরস্পর গোয়েন্দাগিরি কোরো না, ঝগড়া-বিবাদ কোরো না, কারও অনুপস্থিতিতে দোষচর্চা কোরো না, হিংসা ও ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণ কোরো না। আল্লাহর বান্দারা, সবাই ভাই ভাই হয়ে যাও।’ (বুখারি: ৬০৬৬)
মানুষের প্রতি অহেতুক কুধারণা পোষণ করার কারণে পরস্পরের প্রতি বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হয়; সামাজিক সুসম্পর্ক ছিন্ন হয়। ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজে পারস্পরিক ঐক্য, সাম্য ও সম্প্রীতি নষ্ট হয়। অহেতুক ধারণা থেকেই মিথ্যার সৃষ্টি হয়। কোরআন-হাদিসের ভাষায় অহেতুক ধারণা করা জঘন্যতম মিথ্যাচার। তাই বিনা কারণে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকা প্রত্যেক মুসলমানের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য।
একজন মুমিন কখনো অন্যের ব্যাপারে খুব বেশি সন্দেহপ্রবণ, অপবাদ আরোপ ও অহেতুক খারাপ ধারণা পোষণ করতে পারে না। যেগুলো বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক বা মিডিয়াপাড়ায় স্বাভাবিক বিষয় হয়ে গেছে, যা মারাত্মক মিথ্যাচার ও কবিরা গুনাহ।
হুসাইন আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
কারও প্রতি অহেতুক কুধারণা করা, কারও পেছনে লেগে থাকা, কারও দোষ খোঁজা ও কারও প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা চরম অন্যায়। এসব কাজ সামাজিক অশান্তির মূল কারণও বটে। উন্নত সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম মানুষের প্রতি সুধারণা পোষণ করতে উৎসাহ দেয়। যথাযথ প্রমাণ ছাড়া কারও প্রতি কুধারণা বা অহেতুক ধারণা পোষণ করা ও মন্তব্য করা স্পষ্ট হারাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা অধিকাংশ (অহেতুক) অনুমান থেকে দূরে থেকো। কারণ (অহেতুক) অনুমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাপ।’ (সুরা হুজরাত: ১২)
হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘অনুমান করে কথা বলার ব্যাপারে সাবধান হও। কারণ অলীক ধারণা পোষণ সবচেয়ে বড় মিথ্যা। তোমরা পরস্পর গোয়েন্দাগিরি কোরো না, ঝগড়া-বিবাদ কোরো না, কারও অনুপস্থিতিতে দোষচর্চা কোরো না, হিংসা ও ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণ কোরো না। আল্লাহর বান্দারা, সবাই ভাই ভাই হয়ে যাও।’ (বুখারি: ৬০৬৬)
মানুষের প্রতি অহেতুক কুধারণা পোষণ করার কারণে পরস্পরের প্রতি বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হয়; সামাজিক সুসম্পর্ক ছিন্ন হয়। ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজে পারস্পরিক ঐক্য, সাম্য ও সম্প্রীতি নষ্ট হয়। অহেতুক ধারণা থেকেই মিথ্যার সৃষ্টি হয়। কোরআন-হাদিসের ভাষায় অহেতুক ধারণা করা জঘন্যতম মিথ্যাচার। তাই বিনা কারণে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকা প্রত্যেক মুসলমানের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য।
একজন মুমিন কখনো অন্যের ব্যাপারে খুব বেশি সন্দেহপ্রবণ, অপবাদ আরোপ ও অহেতুক খারাপ ধারণা পোষণ করতে পারে না। যেগুলো বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক বা মিডিয়াপাড়ায় স্বাভাবিক বিষয় হয়ে গেছে, যা মারাত্মক মিথ্যাচার ও কবিরা গুনাহ।
হুসাইন আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
১২ আগস্ট ২০২৫পবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
১২ আগস্ট ২০২৫ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ আগস্ট ২০২৫আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১১ আগস্ট ২০২৫