মুফতি আইয়ুব নাদীম, শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
মানুষ সফলতাপ্রিয়। সবাই সফলতা চায়। কিন্তু চাইলেই পাওয়া যায় না। এর জন্য নিরবচ্ছিন্ন পরিশ্রম করতে হয়। মেধা ও বুদ্ধি খাটাতে হয়। ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে পরকালীন সফলতা অর্জনের জন্য তিনটি গুণ থাকা আবশ্যক।
এক. তওবা করা: তওবা আল্লাহ তাআলার কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয় আমল। খাঁটি দিলে তওবা করলে আল্লাহ বান্দার যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা, তোমরা সকলে মিলে আল্লাহর কাছে তওবা করো, তাহলে তোমরা সফলকাম হতে পারবে।’ (সুরা নূর: ৩১)
আরেক আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, ‘তবে যে ব্যক্তি তওবা করেছে এবং ইমান এনেছে, সৎ কর্ম করেছে, আশা করা যায়, সে সফলতা অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ (সুরা কাসাস: ৬৭)
দুই. আত্মশুদ্ধি: মানুষের অন্তরে দুটি বিপরীতমুখী শক্তি আছে। একটি নফস, অপরটি রুহ। মানুষ সৃষ্টির সূচনা থেকেই এই রুহ ও নফসের দ্বন্দ্ব চলছে। যাবতীয় নেক কাজের মাধ্যমে মানুষের রুহের শক্তি বাড়তে থাকে এবং নফস দুর্বল হতে থাকে। রুহ শক্তিশালী হলেই শুধু নফস দুর্বল হয়। আর নফস দুর্বল হলে অন্যায় ও পাপাচারের প্রতি আকর্ষণ কমে আসে। পবিত্র কোরআনে এমন ব্যক্তিকে সফল বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘শপথ প্রাণের আর তাঁর, যিনি তা সামঞ্জস্যপূর্ণ করেছেন, এরপর তাকে তার অসৎ কর্ম ও সৎ কর্মের জ্ঞান দান করেছেন। সেই সফলকাম হয়েছে, যে নিজ আত্মাকে পবিত্র করেছে।’ (সুরা শামস: ৭-৯)
তিন. নামাজ আদায় করা: ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ বা খুঁটির মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ অন্যতম। নামাজের প্রভাব মুমিনের জীবনে প্রতিফলিত হয়। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই সফলতা অর্জন করেছে মুমিনরা। যারা তাদের নামাজে আন্তরিকভাবে বিনীত।’ (সুরা মুমিনুন: ১-২)
মানুষ সফলতাপ্রিয়। সবাই সফলতা চায়। কিন্তু চাইলেই পাওয়া যায় না। এর জন্য নিরবচ্ছিন্ন পরিশ্রম করতে হয়। মেধা ও বুদ্ধি খাটাতে হয়। ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে পরকালীন সফলতা অর্জনের জন্য তিনটি গুণ থাকা আবশ্যক।
এক. তওবা করা: তওবা আল্লাহ তাআলার কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয় আমল। খাঁটি দিলে তওবা করলে আল্লাহ বান্দার যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা, তোমরা সকলে মিলে আল্লাহর কাছে তওবা করো, তাহলে তোমরা সফলকাম হতে পারবে।’ (সুরা নূর: ৩১)
আরেক আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, ‘তবে যে ব্যক্তি তওবা করেছে এবং ইমান এনেছে, সৎ কর্ম করেছে, আশা করা যায়, সে সফলতা অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ (সুরা কাসাস: ৬৭)
দুই. আত্মশুদ্ধি: মানুষের অন্তরে দুটি বিপরীতমুখী শক্তি আছে। একটি নফস, অপরটি রুহ। মানুষ সৃষ্টির সূচনা থেকেই এই রুহ ও নফসের দ্বন্দ্ব চলছে। যাবতীয় নেক কাজের মাধ্যমে মানুষের রুহের শক্তি বাড়তে থাকে এবং নফস দুর্বল হতে থাকে। রুহ শক্তিশালী হলেই শুধু নফস দুর্বল হয়। আর নফস দুর্বল হলে অন্যায় ও পাপাচারের প্রতি আকর্ষণ কমে আসে। পবিত্র কোরআনে এমন ব্যক্তিকে সফল বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘শপথ প্রাণের আর তাঁর, যিনি তা সামঞ্জস্যপূর্ণ করেছেন, এরপর তাকে তার অসৎ কর্ম ও সৎ কর্মের জ্ঞান দান করেছেন। সেই সফলকাম হয়েছে, যে নিজ আত্মাকে পবিত্র করেছে।’ (সুরা শামস: ৭-৯)
তিন. নামাজ আদায় করা: ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ বা খুঁটির মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ অন্যতম। নামাজের প্রভাব মুমিনের জীবনে প্রতিফলিত হয়। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই সফলতা অর্জন করেছে মুমিনরা। যারা তাদের নামাজে আন্তরিকভাবে বিনীত।’ (সুরা মুমিনুন: ১-২)
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
১২ আগস্ট ২০২৫পবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
১২ আগস্ট ২০২৫ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ আগস্ট ২০২৫আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১১ আগস্ট ২০২৫