ড. এ. এন. এম. মাসউদুর রহমান
মানুষ সামাজিক জীব। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে তারা অসুস্থ হতে পারে। প্রতিবেশী, পরিচিতজন অথবা ভাই হিসেবে তাকে দেখতে যাওয়া অপর ভাইয়ের জন্য আবশ্যক। ইসলাম এ বিষয়ে সবাইকে উৎসাহিত করে। বারা ইবন আজেব (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) আমাদের সাতটি বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন। তা হলো মৃত ভাইয়ের জানাজা যাওয়া, রোগী দেখতে যাওয়া...।’ (বুখারি: ১২৩৯)
রোগীকে দেখতে গেলে শিয়রের পাশে বসে তার ভালোমন্দ জিজ্ঞাসা করতে হবে। তার সঙ্গে এমন কথা বলা যাবে না, যা তার অন্তরে মৃত্যুর ভয় সৃষ্টি করে। বরং এমন কথা বলতে হবে, যাতে রোগীর অন্তরে সুস্থ হওয়ার আশা সঞ্চারিত হয়। কারণ এ মুহূর্তে মানসিক সমর্থন খুবই প্রয়োজন। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘যখন মহানবী (সা.) রোগী দেখতে যেতেন, তখন শিয়রে বসতেন।’ (আল-আদাবুল মুফরাদ ১৪০৯) অন্য হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা যখন রোগীকে দেখতে যাবে, তখন তার জন্য সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করবে। যদিও তা কিছুই প্রতিরোধ করতে পারে না, তবুও তা রোগীর মনে আনন্দের উদ্রেক করে।’ (ইবন মাজাহ: ১৪৩৮)
বোঝা গেল, রোগীর সুস্থতার জন্য চিকিৎসকের ভূমিকা অপরিসীম। চিকিৎসকের কথায় রোগী অর্ধেক সুস্থতা অনুভব করে। তবে কোনোভাবেই রোগীকে চাপপ্রয়োগ করে খাওয়ানো সুন্নত পদ্ধতি নয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা রোগীদের জোরপূর্বক পানাহার করতে বাধ্য করবে না। কারণ বরকতময় আল্লাহ তাদের পানাহার করান।’ (তিরমিজি: ২০৪০)
যিনি রোগীকে দেখতে যান, তার জন্য জান্নাত অবধারিত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রোগী দেখতে যায়, সে ফিরে না আসা পর্যন্ত সে জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে।’ (মুসলিম: ৬৫৫২)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
মানুষ সামাজিক জীব। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে তারা অসুস্থ হতে পারে। প্রতিবেশী, পরিচিতজন অথবা ভাই হিসেবে তাকে দেখতে যাওয়া অপর ভাইয়ের জন্য আবশ্যক। ইসলাম এ বিষয়ে সবাইকে উৎসাহিত করে। বারা ইবন আজেব (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) আমাদের সাতটি বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন। তা হলো মৃত ভাইয়ের জানাজা যাওয়া, রোগী দেখতে যাওয়া...।’ (বুখারি: ১২৩৯)
রোগীকে দেখতে গেলে শিয়রের পাশে বসে তার ভালোমন্দ জিজ্ঞাসা করতে হবে। তার সঙ্গে এমন কথা বলা যাবে না, যা তার অন্তরে মৃত্যুর ভয় সৃষ্টি করে। বরং এমন কথা বলতে হবে, যাতে রোগীর অন্তরে সুস্থ হওয়ার আশা সঞ্চারিত হয়। কারণ এ মুহূর্তে মানসিক সমর্থন খুবই প্রয়োজন। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘যখন মহানবী (সা.) রোগী দেখতে যেতেন, তখন শিয়রে বসতেন।’ (আল-আদাবুল মুফরাদ ১৪০৯) অন্য হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা যখন রোগীকে দেখতে যাবে, তখন তার জন্য সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করবে। যদিও তা কিছুই প্রতিরোধ করতে পারে না, তবুও তা রোগীর মনে আনন্দের উদ্রেক করে।’ (ইবন মাজাহ: ১৪৩৮)
বোঝা গেল, রোগীর সুস্থতার জন্য চিকিৎসকের ভূমিকা অপরিসীম। চিকিৎসকের কথায় রোগী অর্ধেক সুস্থতা অনুভব করে। তবে কোনোভাবেই রোগীকে চাপপ্রয়োগ করে খাওয়ানো সুন্নত পদ্ধতি নয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা রোগীদের জোরপূর্বক পানাহার করতে বাধ্য করবে না। কারণ বরকতময় আল্লাহ তাদের পানাহার করান।’ (তিরমিজি: ২০৪০)
যিনি রোগীকে দেখতে যান, তার জন্য জান্নাত অবধারিত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রোগী দেখতে যায়, সে ফিরে না আসা পর্যন্ত সে জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে।’ (মুসলিম: ৬৫৫২)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
২৪ দিন আগেপবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
২৫ দিন আগেক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ আগস্ট ২০২৫আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১১ আগস্ট ২০২৫