কে এম ছালেহ আহমদ জাহেরী
ইসলামে ব্যবসায় উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে ইসলামের সুনির্দিষ্ট নীতি রয়েছে। এসবের মাধ্যমে ব্যবসাকে প্রতারণা ও অন্যায়মুক্ত করা হয়েছে। এখানে আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত কয়েকটি মন্দ দিক তুলে ধরা হলো, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
প্রতারণা
ব্যবসায় প্রতারণা স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ। একদিন রাসুল (সা.) এক শস্যবিক্রেতার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি শস্যের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে দেখলেন, তা ভেজা বা নিম্নমানের কি না। এরপর রাসুল (সা.) বললেন, ‘হে পণ্যের মালিক, এটা কী?’ লোকটি বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এতে বৃষ্টি পড়েছিল।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি এগুলো শস্যস্তূপের ওপরে রাখলে না কেন? তাহলে লোকজন দেখতে পেত। যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মত নয়।’ (মুসলিম: ১০২)
ওজনে গড়বড়
ওজনে বেশি-কম করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ধ্বংস তাদের জন্য, যারা ওজনে কম দেয়, যারা মানুষের কাছ থেকে মেপে নেওয়ার সময় পূর্ণমাত্রায় গ্রহণ করে আর দেওয়ার সময় কম দেয়।’ (সুরা মুতাফফিফিন: ১-৩) রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন কোনো সম্প্রদায়ের লোক ওজনে বা মাপে কম দেয়, তখন শাস্তিস্বরূপ তাদের খাদ্যশস্য উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং দুর্ভিক্ষ তাদের গ্রাস করে।’ (আত তারগিব ওয়াত তারহিব: ৭৮৫)
মিথ্যা শপথ
পণ্যের দাম বা অন্য বিষয়ে মিথ্যা শপথ করা নিষেধ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন আল্লাহ তিন ব্যক্তির সঙ্গে কোনো ধরনের কথা বলবেন না, তাদের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করবেন না, তাদের পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি। তাদের একজন হলো, যে তার ব্যবসায়িক পণ্য মিথ্যা কসম খেয়ে বিক্রি করে।’ (মুসলিম: ১০৬)
সুদ মেশানো
ব্যবসায়ের সঙ্গে সুদি লেনদেন যুক্ত করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধ। সুদ অন্যতম কবিরা গুনাহ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা সুদ খায়, তারা সেই লোকের মতো করে (কবর থেকে) উঠবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দিয়েছে। এটা এ জন্য যে তারা বলে, বেচাকেনা সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ বেচাকেনা হালাল করেছেন আর সুদ হারাম করেছেন।’ (সুরা বাকারা: ২৭৫)
মোজাবানা
ব্যবসায় মোজাবানা করা নিষেধ। এর ব্যাখ্যা সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) মোজাবানা থেকে নিষেধ করেছেন। অর্থাৎ বাগানে যদি খেজুরগাছ থাকে, তবে তার কাঁচা খেজুর পরিমাপকৃত খুরমার বিনিময়ে বেচাকেনা করা; আর যদি আঙুর থাকে, তবে তা পরিমাপকৃত কিশমিশের বিনিময়ে কেনাবেচা করা। আর যদি তা খেতের ফসল হয়, তবে তা পরিমাপকৃত গমের বিনিময়ে কেনা—এসব থেকে তিনি নিষেধ করেছেন। (মুসলিম: ৩৭৫৫)
পণ্য আত্মসাৎ
ব্যবসায় অন্যের টাকা বা পণ্য আত্মসাৎ করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না। তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয়, তা বৈধ।’ (সুরা নিসা: ২৯)
ঠকা বা ঠকানো
ব্যবসায় নিজে যেমন ঠকা যাবে না এবং অন্যকেও ঠকানো যাবে না। এটিই ইসলামের নির্দেশনা। এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে অভিযোগ করল, সে বেচাকেনা করলেই ঠকে। রাসুল (সা.) বললেন, ‘যখন তুমি বেচাকেনা করবে, তখন বলে দেবে, ঠকবাজির দায়িত্ব আমি নেব না। তোমার জন্য তিন দিন পর্যন্ত পণ্য ফেরত দেওয়ার অধিকার রয়েছে।’ (বুখারি: ৬৯৬৪)
খতিব: আবারপাড়া জামে মসজিদ ও ঈদগাহ, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা
ইসলামে ব্যবসায় উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে ইসলামের সুনির্দিষ্ট নীতি রয়েছে। এসবের মাধ্যমে ব্যবসাকে প্রতারণা ও অন্যায়মুক্ত করা হয়েছে। এখানে আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত কয়েকটি মন্দ দিক তুলে ধরা হলো, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
প্রতারণা
ব্যবসায় প্রতারণা স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ। একদিন রাসুল (সা.) এক শস্যবিক্রেতার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি শস্যের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে দেখলেন, তা ভেজা বা নিম্নমানের কি না। এরপর রাসুল (সা.) বললেন, ‘হে পণ্যের মালিক, এটা কী?’ লোকটি বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এতে বৃষ্টি পড়েছিল।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি এগুলো শস্যস্তূপের ওপরে রাখলে না কেন? তাহলে লোকজন দেখতে পেত। যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মত নয়।’ (মুসলিম: ১০২)
ওজনে গড়বড়
ওজনে বেশি-কম করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ধ্বংস তাদের জন্য, যারা ওজনে কম দেয়, যারা মানুষের কাছ থেকে মেপে নেওয়ার সময় পূর্ণমাত্রায় গ্রহণ করে আর দেওয়ার সময় কম দেয়।’ (সুরা মুতাফফিফিন: ১-৩) রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন কোনো সম্প্রদায়ের লোক ওজনে বা মাপে কম দেয়, তখন শাস্তিস্বরূপ তাদের খাদ্যশস্য উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং দুর্ভিক্ষ তাদের গ্রাস করে।’ (আত তারগিব ওয়াত তারহিব: ৭৮৫)
মিথ্যা শপথ
পণ্যের দাম বা অন্য বিষয়ে মিথ্যা শপথ করা নিষেধ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন আল্লাহ তিন ব্যক্তির সঙ্গে কোনো ধরনের কথা বলবেন না, তাদের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করবেন না, তাদের পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি। তাদের একজন হলো, যে তার ব্যবসায়িক পণ্য মিথ্যা কসম খেয়ে বিক্রি করে।’ (মুসলিম: ১০৬)
সুদ মেশানো
ব্যবসায়ের সঙ্গে সুদি লেনদেন যুক্ত করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধ। সুদ অন্যতম কবিরা গুনাহ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা সুদ খায়, তারা সেই লোকের মতো করে (কবর থেকে) উঠবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দিয়েছে। এটা এ জন্য যে তারা বলে, বেচাকেনা সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ বেচাকেনা হালাল করেছেন আর সুদ হারাম করেছেন।’ (সুরা বাকারা: ২৭৫)
মোজাবানা
ব্যবসায় মোজাবানা করা নিষেধ। এর ব্যাখ্যা সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) মোজাবানা থেকে নিষেধ করেছেন। অর্থাৎ বাগানে যদি খেজুরগাছ থাকে, তবে তার কাঁচা খেজুর পরিমাপকৃত খুরমার বিনিময়ে বেচাকেনা করা; আর যদি আঙুর থাকে, তবে তা পরিমাপকৃত কিশমিশের বিনিময়ে কেনাবেচা করা। আর যদি তা খেতের ফসল হয়, তবে তা পরিমাপকৃত গমের বিনিময়ে কেনা—এসব থেকে তিনি নিষেধ করেছেন। (মুসলিম: ৩৭৫৫)
পণ্য আত্মসাৎ
ব্যবসায় অন্যের টাকা বা পণ্য আত্মসাৎ করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না। তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয়, তা বৈধ।’ (সুরা নিসা: ২৯)
ঠকা বা ঠকানো
ব্যবসায় নিজে যেমন ঠকা যাবে না এবং অন্যকেও ঠকানো যাবে না। এটিই ইসলামের নির্দেশনা। এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে অভিযোগ করল, সে বেচাকেনা করলেই ঠকে। রাসুল (সা.) বললেন, ‘যখন তুমি বেচাকেনা করবে, তখন বলে দেবে, ঠকবাজির দায়িত্ব আমি নেব না। তোমার জন্য তিন দিন পর্যন্ত পণ্য ফেরত দেওয়ার অধিকার রয়েছে।’ (বুখারি: ৬৯৬৪)
খতিব: আবারপাড়া জামে মসজিদ ও ঈদগাহ, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
১২ আগস্ট ২০২৫পবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
১২ আগস্ট ২০২৫ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ আগস্ট ২০২৫আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১১ আগস্ট ২০২৫