আপনার জিজ্ঞাসা
মুফতি ইশমাম আহমেদ
প্রশ্ন: আমাদের দেশে দেখা যায়, ধর্মীয় বা সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বা বাসাবাড়িতে শিক্ষক ও অভিভাবকেরা শিশু-কিশোরদের নির্দয়ভাবে পেটান। অনেকে বেত, লাঠি, তার, এমনকি লোহার শিকলও এসব কাজে ব্যবহার করেন। আবার অনেক শিক্ষককে বলতে শোনা যায়, শিক্ষকদের প্রহারের স্থানটি জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না। এ বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কী জানতে চাই।
ফারিহা ফেরদাউস, চট্টগ্রাম
উত্তর: শিশুদের নির্দয়ভাবে পেটানো এবং জখম করা প্রথমত, দেশীয় আইনে অপরাধ। ইসলামের দৃষ্টিতেও গুরুতরভাবে আহত করে মারধর করার কোনো সুযোগ নেই। শিক্ষকের প্রহার করা স্থান জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না—এমন কোনো হাদিস পাওয়া যায় না। কোনো নির্ভরযোগ্য ইসলামি বইয়েও এমন কোনো কথা পাওয়া যায় না। বরং নবী (সা.) বেত ইত্যাদি দিয়ে শিশুদের আঘাত করতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) শিশুদের শিক্ষক ও বিশিষ্ট সাহাবি হজরত মিরদাসের উদ্দেশে বলেছেন, ‘খবরদার, বাচ্চাদের তিনবারের বেশি পেটাবে না। কেননা যদি তুমি তিনবারের বেশি পেটাও, তাহলে আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তোমার কাছ থেকে তার বদলা নেবেন।’ (আহকামুস সিগার)
এ হাদিসের আলোকে ফকিহগণ বলেন, শিষ্টাচার শেখানোর জন্য শিক্ষক হাত দিয়ে হালকা ও মোলায়েমভাবে শিশু-কিশোরদের পিট চাপড়ে দিতে পারেন। তবে একই সময়ে তিনবারের বেশি মারা যাবে না। বেত, লাঠি, ডান্ডা, কোড়া, চামড়ার বেল্ট, তার ইত্যাদি দিয়ে মোটেও মারা যাবে না। শরিয়তে এর অনুমতি নেই। চাই ধর্মীয় জ্ঞান শেখার ক্ষেত্রে হলেও।
দুররুল মুখতারে উপরিউক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, শিষ্টাচার শেখাতে মা-বাবা সন্তানদের হাত দিয়ে মামুলিভাবে প্রহার করতে পারেন। তবে তা তিনবারের বেশি নয়। শিক্ষকের জন্যও একই বিধান। দুররুল মুখতারে আরও বলা হয়েছে, এই প্রহার যেন কোনোভাবেই লাঠি দিয়ে না হয়। এখানে লাঠি বলতে বিভিন্ন উপকরণে ব্যাপক মারধরকে বোঝানো হয়েছে। তাই লাঠি, দোররা, শিকল, তার ইত্যাদি দিয়ে মারাও নিষেধ সাব্যস্ত হয়। (হাশিয়া ইবনে আবিদিন, রদ্দুল মুহতার, ১ / ৩৫১; ইলাউস সুনান, ১০ / ২৫২)
মাওলানা আশরাফ আলি থানভি বলেন, ‘রাগের মাথায় কখনো শিশুকে প্রহার করবে না। রাগ প্রশমিত হওয়ার পর চিন্তাভাবনা করে শাস্তি দেবে। উত্তম শাস্তি হলো ছুটি মওকুফ করে দেওয়া। শিশুর ওপর জুলুম বেশি হয়, কারণ শিশুরা বড়দের প্রশ্ন করতে পারে না। তাই তারা কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে না বা শিক্ষকদের জবাবদিহি করার কেউ থাকে না। তবে মনে রাখবে, যার অধিকার সম্পর্কে প্রশ্ন করার কেউ থাকে না, তার সম্পর্কে প্রশ্নকারী স্বয়ং আল্লাহ।’ (আনফাসে ইসা: পৃ. ১৭৩)
অতএব, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা পরিবারে শিশুদের প্রহারের ব্যাপারে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে।
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি ইশমাম আহমেদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশ্ন: আমাদের দেশে দেখা যায়, ধর্মীয় বা সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বা বাসাবাড়িতে শিক্ষক ও অভিভাবকেরা শিশু-কিশোরদের নির্দয়ভাবে পেটান। অনেকে বেত, লাঠি, তার, এমনকি লোহার শিকলও এসব কাজে ব্যবহার করেন। আবার অনেক শিক্ষককে বলতে শোনা যায়, শিক্ষকদের প্রহারের স্থানটি জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না। এ বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কী জানতে চাই।
ফারিহা ফেরদাউস, চট্টগ্রাম
উত্তর: শিশুদের নির্দয়ভাবে পেটানো এবং জখম করা প্রথমত, দেশীয় আইনে অপরাধ। ইসলামের দৃষ্টিতেও গুরুতরভাবে আহত করে মারধর করার কোনো সুযোগ নেই। শিক্ষকের প্রহার করা স্থান জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না—এমন কোনো হাদিস পাওয়া যায় না। কোনো নির্ভরযোগ্য ইসলামি বইয়েও এমন কোনো কথা পাওয়া যায় না। বরং নবী (সা.) বেত ইত্যাদি দিয়ে শিশুদের আঘাত করতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) শিশুদের শিক্ষক ও বিশিষ্ট সাহাবি হজরত মিরদাসের উদ্দেশে বলেছেন, ‘খবরদার, বাচ্চাদের তিনবারের বেশি পেটাবে না। কেননা যদি তুমি তিনবারের বেশি পেটাও, তাহলে আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তোমার কাছ থেকে তার বদলা নেবেন।’ (আহকামুস সিগার)
এ হাদিসের আলোকে ফকিহগণ বলেন, শিষ্টাচার শেখানোর জন্য শিক্ষক হাত দিয়ে হালকা ও মোলায়েমভাবে শিশু-কিশোরদের পিট চাপড়ে দিতে পারেন। তবে একই সময়ে তিনবারের বেশি মারা যাবে না। বেত, লাঠি, ডান্ডা, কোড়া, চামড়ার বেল্ট, তার ইত্যাদি দিয়ে মোটেও মারা যাবে না। শরিয়তে এর অনুমতি নেই। চাই ধর্মীয় জ্ঞান শেখার ক্ষেত্রে হলেও।
দুররুল মুখতারে উপরিউক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, শিষ্টাচার শেখাতে মা-বাবা সন্তানদের হাত দিয়ে মামুলিভাবে প্রহার করতে পারেন। তবে তা তিনবারের বেশি নয়। শিক্ষকের জন্যও একই বিধান। দুররুল মুখতারে আরও বলা হয়েছে, এই প্রহার যেন কোনোভাবেই লাঠি দিয়ে না হয়। এখানে লাঠি বলতে বিভিন্ন উপকরণে ব্যাপক মারধরকে বোঝানো হয়েছে। তাই লাঠি, দোররা, শিকল, তার ইত্যাদি দিয়ে মারাও নিষেধ সাব্যস্ত হয়। (হাশিয়া ইবনে আবিদিন, রদ্দুল মুহতার, ১ / ৩৫১; ইলাউস সুনান, ১০ / ২৫২)
মাওলানা আশরাফ আলি থানভি বলেন, ‘রাগের মাথায় কখনো শিশুকে প্রহার করবে না। রাগ প্রশমিত হওয়ার পর চিন্তাভাবনা করে শাস্তি দেবে। উত্তম শাস্তি হলো ছুটি মওকুফ করে দেওয়া। শিশুর ওপর জুলুম বেশি হয়, কারণ শিশুরা বড়দের প্রশ্ন করতে পারে না। তাই তারা কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে না বা শিক্ষকদের জবাবদিহি করার কেউ থাকে না। তবে মনে রাখবে, যার অধিকার সম্পর্কে প্রশ্ন করার কেউ থাকে না, তার সম্পর্কে প্রশ্নকারী স্বয়ং আল্লাহ।’ (আনফাসে ইসা: পৃ. ১৭৩)
অতএব, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা পরিবারে শিশুদের প্রহারের ব্যাপারে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে।
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি ইশমাম আহমেদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
১২ আগস্ট ২০২৫পবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
১২ আগস্ট ২০২৫ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ আগস্ট ২০২৫আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১১ আগস্ট ২০২৫