ইসলাম ডেস্ক
ইসলামের ইতিহাসে এমন কিছু মহাপুরুষ আছেন—যাঁরা দূরদর্শিতা, শাসন-দক্ষতা ও উম্মাহর ঐক্য প্রতিষ্ঠায় অমর হয়ে আছেন। তেমনই একজন নবী করিম (সা.)-এর অন্যতম সাহাবি হজরত মুআবিয়া (রা.)। তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর বিশ্বস্ত, ওহির লেখক, সিরিয়ার গভর্নর, পরে মুসলিম খলিফা এবং রাষ্ট্রীয় সংস্কারের রূপকার।
দুঃখজনক হলেও সত্য, ইতিহাস বিকৃতির কারণে অনেকে আজ তাঁর মর্যাদা সম্পর্কে বিভ্রান্ত। অথচ সহিহ্ হাদিস ও নির্ভরযোগ্য ইতিহাস গ্রন্থসমূহে তাঁর গৌরবময় অবদান চির ভাসমান।
জন্ম ও ইসলাম গ্রহণ
হজরত মুআবিয়া (রা.) হিজরতের পাঁচ বছর আগে কুরাইশ বংশের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মক্কা বিজয়ের সময় তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং রাসুল (সা.) তাঁকে ওহি লেখার দায়িত্ব দেন। (আল-ইসাবা–ইবনে হাজার: ৬ / ১২০)
নবীজির দোয়া
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁকে নিয়ে বিশেষ দোয়া করেন—‘হে আল্লাহ, তাঁকে পথপ্রদর্শক বানাও, সঠিক পথে রাখো এবং তাঁর দ্বারা মানুষকে হেদায়েত দাও।’ (জামে তিরমিজি: ৩৮৪২)
দক্ষ গভর্নর ও সফল শাসক
হজরত ওমর (রা.) তাঁকে সিরিয়ার গভর্নর নিযুক্ত করেন। পরে প্রায় ২০ বছর মুসলিম বিশ্বের শাসকের দায়িত্ব পালন করেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া–ইবনে কাসির: ৮ / ১২৩)
তাঁর শাসনামলে ইসলামি নৌবাহিনী গঠিত হয়। সাইপ্রাসসহ বহু দ্বীপ বিজয় হয়। বার্ষিক ভাতা, ডাকব্যবস্থা ও সরকারি রেজিস্ট্রার চালু হয়। (ফুতুহুশ শাম: ১ / ২৩২, আল-কামিল ফিত তারিখ: ৩ / ২৭৫, তারিখুল ইসলাম ৩ / ২২০)
সাহাবিদের মর্যাদা
বর্তমানে কিছু গোষ্ঠী সাহাবিদের নামে অপবাদ রটায়। অথচ রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আমার সাহাবিদের গালি দিও না।’ (সহিহ্ বুখারি: ৩৬৭৩)
ইমাম নববি (রহ.) বলেন, ‘সাহাবিদের মধ্যে যে মতানৈক্য হয়েছে, তার ব্যাপারে নীরবতা অবলম্বন করা এবং তাঁদের উত্তম পরিণাম বিশ্বাস করাই সঠিক। তাঁরা সবাই ন্যায়পরায়ণ; তাঁদের কাউকে সমালোচনা করা বৈধ নয়।’ (শরহে সহিহ্ মুসলিম: ১ / ২২,১৮ / ১৬০)
হজরত মুআবিয়া (রা.) একজন জ্ঞানী, বিচক্ষণ রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। ইতিহাসের বিভ্রান্তি নয়, বরং সহিহ হাদিস ও প্রমাণভিত্তিক তথ্যই তাঁর মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করে। সাহাবিদের সম্মান করা ইমানের অংশ। আজকের সময়ে এই চেতনা ফিরিয়ে আনাই আমাদের ইমানি দায়িত্ব।
লেখক: আনওয়ার হুসাইন
শিক্ষক, মা’হাদুল মাদীনাহ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা; লেখক ও সম্পাদক, মাকতাবাতুত তাকওয়া, ঢাকা।
ইসলামের ইতিহাসে এমন কিছু মহাপুরুষ আছেন—যাঁরা দূরদর্শিতা, শাসন-দক্ষতা ও উম্মাহর ঐক্য প্রতিষ্ঠায় অমর হয়ে আছেন। তেমনই একজন নবী করিম (সা.)-এর অন্যতম সাহাবি হজরত মুআবিয়া (রা.)। তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর বিশ্বস্ত, ওহির লেখক, সিরিয়ার গভর্নর, পরে মুসলিম খলিফা এবং রাষ্ট্রীয় সংস্কারের রূপকার।
দুঃখজনক হলেও সত্য, ইতিহাস বিকৃতির কারণে অনেকে আজ তাঁর মর্যাদা সম্পর্কে বিভ্রান্ত। অথচ সহিহ্ হাদিস ও নির্ভরযোগ্য ইতিহাস গ্রন্থসমূহে তাঁর গৌরবময় অবদান চির ভাসমান।
জন্ম ও ইসলাম গ্রহণ
হজরত মুআবিয়া (রা.) হিজরতের পাঁচ বছর আগে কুরাইশ বংশের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মক্কা বিজয়ের সময় তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং রাসুল (সা.) তাঁকে ওহি লেখার দায়িত্ব দেন। (আল-ইসাবা–ইবনে হাজার: ৬ / ১২০)
নবীজির দোয়া
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁকে নিয়ে বিশেষ দোয়া করেন—‘হে আল্লাহ, তাঁকে পথপ্রদর্শক বানাও, সঠিক পথে রাখো এবং তাঁর দ্বারা মানুষকে হেদায়েত দাও।’ (জামে তিরমিজি: ৩৮৪২)
দক্ষ গভর্নর ও সফল শাসক
হজরত ওমর (রা.) তাঁকে সিরিয়ার গভর্নর নিযুক্ত করেন। পরে প্রায় ২০ বছর মুসলিম বিশ্বের শাসকের দায়িত্ব পালন করেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া–ইবনে কাসির: ৮ / ১২৩)
তাঁর শাসনামলে ইসলামি নৌবাহিনী গঠিত হয়। সাইপ্রাসসহ বহু দ্বীপ বিজয় হয়। বার্ষিক ভাতা, ডাকব্যবস্থা ও সরকারি রেজিস্ট্রার চালু হয়। (ফুতুহুশ শাম: ১ / ২৩২, আল-কামিল ফিত তারিখ: ৩ / ২৭৫, তারিখুল ইসলাম ৩ / ২২০)
সাহাবিদের মর্যাদা
বর্তমানে কিছু গোষ্ঠী সাহাবিদের নামে অপবাদ রটায়। অথচ রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আমার সাহাবিদের গালি দিও না।’ (সহিহ্ বুখারি: ৩৬৭৩)
ইমাম নববি (রহ.) বলেন, ‘সাহাবিদের মধ্যে যে মতানৈক্য হয়েছে, তার ব্যাপারে নীরবতা অবলম্বন করা এবং তাঁদের উত্তম পরিণাম বিশ্বাস করাই সঠিক। তাঁরা সবাই ন্যায়পরায়ণ; তাঁদের কাউকে সমালোচনা করা বৈধ নয়।’ (শরহে সহিহ্ মুসলিম: ১ / ২২,১৮ / ১৬০)
হজরত মুআবিয়া (রা.) একজন জ্ঞানী, বিচক্ষণ রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। ইতিহাসের বিভ্রান্তি নয়, বরং সহিহ হাদিস ও প্রমাণভিত্তিক তথ্যই তাঁর মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করে। সাহাবিদের সম্মান করা ইমানের অংশ। আজকের সময়ে এই চেতনা ফিরিয়ে আনাই আমাদের ইমানি দায়িত্ব।
লেখক: আনওয়ার হুসাইন
শিক্ষক, মা’হাদুল মাদীনাহ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা; লেখক ও সম্পাদক, মাকতাবাতুত তাকওয়া, ঢাকা।
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
১৯ দিন আগেপবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
১৯ দিন আগেক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১৯ দিন আগেআল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১৯ দিন আগে