মুফতি খালিদ কাসেমি
প্রত্যেক মানুষকেই নির্ধারিত সময়ে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। মৃত্যুর পর পরকালের দিকে শুরু হবে অনন্ত যাত্রা। এ যাত্রার প্রথম গন্তব্য হলো কবর। মহানবী (সা.) বলেন, ‘কবর পরকালের প্রথম গন্তব্য। কেউ যদি এখান থেকে মুক্তি পায় তাহলে পরবর্তী গন্তব্যগুলো তার জন্য সহজ হবে। আর যদি কেউ কবর থেকে মুক্তি না পায় তাহলে পরবর্তী গন্তব্যগুলো তার জন্য আরও কঠিন হবে।’ (তিরমিজি)
মৃত্যুর পর প্রথম প্রহরে মৃত ব্যক্তি দুজন ফেরেশতার প্রশ্নের সম্মুখীন হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘বান্দাকে যখন কবরে রাখা হয় এবং তার সাথীদের জুতার আওয়াজ পাওয়া যায় এমন দূরত্বে চলে যায়, তখন দুজন ফেরেশতা তার কাছে আসেন এবং তাকে বসান। তাঁরা বলেন, ‘এ ব্যক্তি অর্থাৎ মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে তুমি কী বিশ্বাস করতে?’ তখন মুমিন ব্যক্তি বলবে, ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, তিনি আল্লাহর বান্দা এবং তাঁর রাসুল।’ তখন তাকে বলা হবে, ‘জাহান্নামে তোমার স্থানের দিকে দেখো, আল্লাহ তোমাকে এর বদলে জান্নাতের একটি স্থান দান করেছেন। তখন সে দুটি স্থানের দিকেই তাকাবে।’
কাতাদা (রহ.) বলেন, আমাদের বর্ণনা করা হয়েছে, ‘সেই ব্যক্তির জন্য তার কবর প্রশস্ত করে দেওয়া হবে।’ এরপর তিনি (কাতাদা) ফের আনাস (রা.)-এর হাদিসের বর্ণনায় ফিরে আসেন। তিনি বলেন, ‘আর মুনাফিক বা বিধর্মী ব্যক্তিকেও প্রশ্ন করা হবে, ‘তুমি এই ব্যক্তি (মুহাম্মদ সা.) সম্পর্কে কী বিশ্বাস করতে?’ সে উত্তরে বলবে, ‘আমি জানি না। লোকেরা যা বলত, আমি তা-ই বলতাম।’ তখন তাকে বলা হবে, ‘তুমি না নিজে জেনেছ, না তিলাওয়াত করে শিখেছ। আর তাকে লোহার মুগুর দ্বারা এমনভাবে আঘাত করা হবে, ফলে সে এমন বিকট চিৎকার করে উঠবে, দুই জাতি (মানুষ ও জিন) ছাড়া তার আশপাশের সবাই তা শুনতে পাবে।’ (বুখারি)
প্রত্যেক মানুষকেই নির্ধারিত সময়ে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। মৃত্যুর পর পরকালের দিকে শুরু হবে অনন্ত যাত্রা। এ যাত্রার প্রথম গন্তব্য হলো কবর। মহানবী (সা.) বলেন, ‘কবর পরকালের প্রথম গন্তব্য। কেউ যদি এখান থেকে মুক্তি পায় তাহলে পরবর্তী গন্তব্যগুলো তার জন্য সহজ হবে। আর যদি কেউ কবর থেকে মুক্তি না পায় তাহলে পরবর্তী গন্তব্যগুলো তার জন্য আরও কঠিন হবে।’ (তিরমিজি)
মৃত্যুর পর প্রথম প্রহরে মৃত ব্যক্তি দুজন ফেরেশতার প্রশ্নের সম্মুখীন হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘বান্দাকে যখন কবরে রাখা হয় এবং তার সাথীদের জুতার আওয়াজ পাওয়া যায় এমন দূরত্বে চলে যায়, তখন দুজন ফেরেশতা তার কাছে আসেন এবং তাকে বসান। তাঁরা বলেন, ‘এ ব্যক্তি অর্থাৎ মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে তুমি কী বিশ্বাস করতে?’ তখন মুমিন ব্যক্তি বলবে, ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, তিনি আল্লাহর বান্দা এবং তাঁর রাসুল।’ তখন তাকে বলা হবে, ‘জাহান্নামে তোমার স্থানের দিকে দেখো, আল্লাহ তোমাকে এর বদলে জান্নাতের একটি স্থান দান করেছেন। তখন সে দুটি স্থানের দিকেই তাকাবে।’
কাতাদা (রহ.) বলেন, আমাদের বর্ণনা করা হয়েছে, ‘সেই ব্যক্তির জন্য তার কবর প্রশস্ত করে দেওয়া হবে।’ এরপর তিনি (কাতাদা) ফের আনাস (রা.)-এর হাদিসের বর্ণনায় ফিরে আসেন। তিনি বলেন, ‘আর মুনাফিক বা বিধর্মী ব্যক্তিকেও প্রশ্ন করা হবে, ‘তুমি এই ব্যক্তি (মুহাম্মদ সা.) সম্পর্কে কী বিশ্বাস করতে?’ সে উত্তরে বলবে, ‘আমি জানি না। লোকেরা যা বলত, আমি তা-ই বলতাম।’ তখন তাকে বলা হবে, ‘তুমি না নিজে জেনেছ, না তিলাওয়াত করে শিখেছ। আর তাকে লোহার মুগুর দ্বারা এমনভাবে আঘাত করা হবে, ফলে সে এমন বিকট চিৎকার করে উঠবে, দুই জাতি (মানুষ ও জিন) ছাড়া তার আশপাশের সবাই তা শুনতে পাবে।’ (বুখারি)
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
২৩ দিন আগেপবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
২৪ দিন আগেক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
২৪ দিন আগেআল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
২৪ দিন আগে