মুফতি খালিদ কাসেমি
মানুষের বিশ্রামের জন্য ঘুম আল্লাহর দেওয়া এক বিশেষ নিয়ামত। মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘এবং তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে আছে রাত ও দিনে তোমাদের ঘুম এবং তোমাদের তাঁর অনুগ্রহ অনুসন্ধান। নিশ্চয়ই এর মধ্যে নিদর্শন আছে সেই সকল লোকের জন্য, যারা কথা শোনে।’ (সুরা রোম: ২৩)
সুস্থ থাকার জন্য ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। পর্যাপ্ত ঘুম ক্লান্তি দূর করে, মানসিক চাপ কমায় এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে। তাই সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘তোমাদের ঘুমকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী, রাতকে করেছি আবরণ।’ (সুরা নাবা: ৯-১০)
ঘুমের সবচেয়ে উত্তম সময় রাত। রাতের নীরব-নিস্তব্ধ পরিবেশ ঘুমের জন্য অত্যন্ত সহায়ক; দিনে অনেক ক্ষেত্রেই সেটি পাওয়া যায় না। তাই দিনের ঘুম রাতের মতো গভীর হয় না। এ কারণে ঘুমের চাহিদা রাতেই পূরণ করা উচিত। তবে দুপুরের খাবারের পর কিছুক্ষণ শোয়া যেতে পারে।
অনেকে আসরের পরে ঘুমান। বিনা ওজরে এই সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করা মাকরুহ। কারণ আসর ও মাগরিবের মধ্যবর্তী সময় কম। এই সময় ঘুমালে মাগরিবের নামাজ কাজা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আসর ও মাগরিবের মধ্যবর্তী সময়ে না ঘুমিয়ে জিকির ও তিলাওয়াতে মগ্ন থাকা উচিত।
অনেকে বিনা প্রয়োজনে আসরের পর ঘুমানোকে মাকরুহ মনে করতেন। ইমাম আহমদ (রহ.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ‘আসরের পর ঘুমানো মাকরুহ, এতে বুদ্ধি লোপ পাওয়ার আশঙ্কা আছে।’ (সিয়ারু আ’লামিন নুবালা)
তবে কখনো অসুস্থতা, ক্লান্তি কিংবা অনিদ্রার মতো কোনো ওজরের কারণে আসরের পর ঘুমানোর অবকাশ রয়েছে। শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে এতে কোনো সমস্যা নেই।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
মানুষের বিশ্রামের জন্য ঘুম আল্লাহর দেওয়া এক বিশেষ নিয়ামত। মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘এবং তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে আছে রাত ও দিনে তোমাদের ঘুম এবং তোমাদের তাঁর অনুগ্রহ অনুসন্ধান। নিশ্চয়ই এর মধ্যে নিদর্শন আছে সেই সকল লোকের জন্য, যারা কথা শোনে।’ (সুরা রোম: ২৩)
সুস্থ থাকার জন্য ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। পর্যাপ্ত ঘুম ক্লান্তি দূর করে, মানসিক চাপ কমায় এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে। তাই সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘তোমাদের ঘুমকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী, রাতকে করেছি আবরণ।’ (সুরা নাবা: ৯-১০)
ঘুমের সবচেয়ে উত্তম সময় রাত। রাতের নীরব-নিস্তব্ধ পরিবেশ ঘুমের জন্য অত্যন্ত সহায়ক; দিনে অনেক ক্ষেত্রেই সেটি পাওয়া যায় না। তাই দিনের ঘুম রাতের মতো গভীর হয় না। এ কারণে ঘুমের চাহিদা রাতেই পূরণ করা উচিত। তবে দুপুরের খাবারের পর কিছুক্ষণ শোয়া যেতে পারে।
অনেকে আসরের পরে ঘুমান। বিনা ওজরে এই সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করা মাকরুহ। কারণ আসর ও মাগরিবের মধ্যবর্তী সময় কম। এই সময় ঘুমালে মাগরিবের নামাজ কাজা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আসর ও মাগরিবের মধ্যবর্তী সময়ে না ঘুমিয়ে জিকির ও তিলাওয়াতে মগ্ন থাকা উচিত।
অনেকে বিনা প্রয়োজনে আসরের পর ঘুমানোকে মাকরুহ মনে করতেন। ইমাম আহমদ (রহ.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ‘আসরের পর ঘুমানো মাকরুহ, এতে বুদ্ধি লোপ পাওয়ার আশঙ্কা আছে।’ (সিয়ারু আ’লামিন নুবালা)
তবে কখনো অসুস্থতা, ক্লান্তি কিংবা অনিদ্রার মতো কোনো ওজরের কারণে আসরের পর ঘুমানোর অবকাশ রয়েছে। শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে এতে কোনো সমস্যা নেই।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
২৫ দিন আগেপবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
২৫ দিন আগেক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ আগস্ট ২০২৫আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১১ আগস্ট ২০২৫