মুফতি আইয়ুব নাদীম
মানুষ প্রতিদিন যেসব কাজ করে, সেগুলোর প্রতিদান অবশ্যই পাবে। ভালো কাজ করলে ভালো প্রতিদান পাবে এবং মন্দ কাজ করলে মন্দ পরিণতি ভোগ করতে হবে। মানুষকে ভালো প্রতিদান কিংবা মন্দ প্রতিফল প্রদান করা হবে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে। মানুষের প্রতিটি কর্মের সাক্ষ্য প্রস্তুত রয়েছে। সেই সব সাক্ষ্য মানুষের পক্ষে বা বিপক্ষে দাঁড়াবে। কিয়ামত দিবসে যা মানুষের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে, তা হলো—
এক. স্থান: পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন পৃথিবী তার যাবতীয় সংবাদ জানিয়ে দেবে।’ (সুরা যিলযাল: ৪)
দুই. সময়: হজরত হাসান বসরি (রহ.) বলেছেন, ‘প্রতিটি দিন মানুষকে ডেকে বলে, ‘আমি নতুন দিন, আমার মধ্যে যা করা হবে, কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য সে রকমই সাক্ষ্য দেব।’ (কুরতুবি: ১৯ / ২৪৫)
তিন. জিহ্বা: পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যেদিন তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে তাদের বিরুদ্ধে জিহ্বা, হাত ও তাদের পা সাক্ষ্য দেবে।’ সুরা নুর: ২৪)
চার. শরীরের অন্যান্য অঙ্গ: পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আজ আমি তাদের মুখে মোহর লাগিয়ে দেব। ফলে তাদের হাত আমার সঙ্গে কথা বলবে এবং তাদের পা সাক্ষ্য দেবে তাদের কৃতকর্মের।’ (সুরা ইয়াসিন: ৫৫)
পাঁচ. দুই ফেরেশতা: পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘অথচ তোমাদের জন্য কিছু তত্ত্বাবধায়ক (ফেরেশতা) নিযুক্ত আছে, সম্মানিত লিপিকরবৃন্দ, যারা জানে তোমরা যা করো।’ (সুরা ইনফিতর: ১১-১২)
ছয়. মানুষের আমলনামা: পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এটা কেমন কিতাব, ছোট-বড় যত কর্ম আছে, সবই পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব করে রেখেছে, তারা তাদের সব কৃতকর্ম সামনে উপস্থিত পাবে।’ (সুরা কাহফ: ৪৯)
সাত. মহানবী (সা.): পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর (হে নবী) আমি তোমাকে ওই সব লোকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য উপস্থিত করব।’
(সুরা নাহল: ৮৯)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া কাশেফুল উলূম মাদ্রাসা, টাঙ্গাইল
মানুষ প্রতিদিন যেসব কাজ করে, সেগুলোর প্রতিদান অবশ্যই পাবে। ভালো কাজ করলে ভালো প্রতিদান পাবে এবং মন্দ কাজ করলে মন্দ পরিণতি ভোগ করতে হবে। মানুষকে ভালো প্রতিদান কিংবা মন্দ প্রতিফল প্রদান করা হবে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে। মানুষের প্রতিটি কর্মের সাক্ষ্য প্রস্তুত রয়েছে। সেই সব সাক্ষ্য মানুষের পক্ষে বা বিপক্ষে দাঁড়াবে। কিয়ামত দিবসে যা মানুষের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে, তা হলো—
এক. স্থান: পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন পৃথিবী তার যাবতীয় সংবাদ জানিয়ে দেবে।’ (সুরা যিলযাল: ৪)
দুই. সময়: হজরত হাসান বসরি (রহ.) বলেছেন, ‘প্রতিটি দিন মানুষকে ডেকে বলে, ‘আমি নতুন দিন, আমার মধ্যে যা করা হবে, কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য সে রকমই সাক্ষ্য দেব।’ (কুরতুবি: ১৯ / ২৪৫)
তিন. জিহ্বা: পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যেদিন তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে তাদের বিরুদ্ধে জিহ্বা, হাত ও তাদের পা সাক্ষ্য দেবে।’ সুরা নুর: ২৪)
চার. শরীরের অন্যান্য অঙ্গ: পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আজ আমি তাদের মুখে মোহর লাগিয়ে দেব। ফলে তাদের হাত আমার সঙ্গে কথা বলবে এবং তাদের পা সাক্ষ্য দেবে তাদের কৃতকর্মের।’ (সুরা ইয়াসিন: ৫৫)
পাঁচ. দুই ফেরেশতা: পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘অথচ তোমাদের জন্য কিছু তত্ত্বাবধায়ক (ফেরেশতা) নিযুক্ত আছে, সম্মানিত লিপিকরবৃন্দ, যারা জানে তোমরা যা করো।’ (সুরা ইনফিতর: ১১-১২)
ছয়. মানুষের আমলনামা: পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এটা কেমন কিতাব, ছোট-বড় যত কর্ম আছে, সবই পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব করে রেখেছে, তারা তাদের সব কৃতকর্ম সামনে উপস্থিত পাবে।’ (সুরা কাহফ: ৪৯)
সাত. মহানবী (সা.): পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর (হে নবী) আমি তোমাকে ওই সব লোকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য উপস্থিত করব।’
(সুরা নাহল: ৮৯)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া কাশেফুল উলূম মাদ্রাসা, টাঙ্গাইল
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
১২ আগস্ট ২০২৫পবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
১২ আগস্ট ২০২৫ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ আগস্ট ২০২৫আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১১ আগস্ট ২০২৫