মুফতি ইশমাম আহমেদ
গুনাহে লিপ্ত হওয়া মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। নবী-রাসুলগণ ছাড়া পৃথিবীর সব মানুষই গুনাহগার। তবে গুনাহের পর অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে তওবা করাই একজন মুমিনের বৈশিষ্ট্য। নির্জনে কোনো গুনাহের কাজ করে ফেললে তা গোপন রেখেই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া ইসলামের শিক্ষা। তাই গুনাহ করে তা আবার মানুষকে বলে বেড়ানো এবং অনুতপ্ত না হয়ে বরং তাতে তৃপ্ত থাকা অবাধ্যতার আলামত। এমন ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা পছন্দ করেন না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আল্লাহ কোনো মন্দ বিষয় প্রকাশ করা পছন্দ করেন না।’ (সুরা নিসা: ১৪৮)
হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘আমার উম্মতের সবাইকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে, তবে ওই সব লোককে ক্ষমা করা হবে না, যারা পাপ করার পর তা অন্যের কাছে প্রকাশ করে দেয়। অন্যের কাছে প্রকাশ করার একটি দিক হলো কোনো ব্যক্তি রাতের আঁধারে কোনো গুনাহ করল এবং মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তির গুনাহটি গোপন রাখলেন। কিন্তু ভোর হলে সে নিজেই অন্য মানুষের কাছে বলে বেড়াতে লাগল—হে অমুক, জানো, রাতে আমি এ কাজ করেছি। সারা রাত মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তির গুনাহটি গোপন রাখলেন আর ভোর হওয়ামাত্রই আল্লাহর ঢেকে রাখা বিষয়টি
সেই ব্যক্তি নিজেই প্রকাশ করে দিল।’ (বুখারি)
অন্য হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘এক লোক রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমি মদিনা থেকে দূরবর্তী এক স্থানে এক নারীর সঙ্গে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছি। সুতরাং আমাকে আমার প্রাপ্য শাস্তি দিন।’ তখন ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বললেন, ‘আল্লাহ তো তোমার পাপ গোপন রেখেছিলেন, তবে কেন তুমি তা গোপন রাখলে না?’ (মুসলিম)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
গুনাহে লিপ্ত হওয়া মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। নবী-রাসুলগণ ছাড়া পৃথিবীর সব মানুষই গুনাহগার। তবে গুনাহের পর অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে তওবা করাই একজন মুমিনের বৈশিষ্ট্য। নির্জনে কোনো গুনাহের কাজ করে ফেললে তা গোপন রেখেই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া ইসলামের শিক্ষা। তাই গুনাহ করে তা আবার মানুষকে বলে বেড়ানো এবং অনুতপ্ত না হয়ে বরং তাতে তৃপ্ত থাকা অবাধ্যতার আলামত। এমন ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা পছন্দ করেন না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আল্লাহ কোনো মন্দ বিষয় প্রকাশ করা পছন্দ করেন না।’ (সুরা নিসা: ১৪৮)
হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘আমার উম্মতের সবাইকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে, তবে ওই সব লোককে ক্ষমা করা হবে না, যারা পাপ করার পর তা অন্যের কাছে প্রকাশ করে দেয়। অন্যের কাছে প্রকাশ করার একটি দিক হলো কোনো ব্যক্তি রাতের আঁধারে কোনো গুনাহ করল এবং মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তির গুনাহটি গোপন রাখলেন। কিন্তু ভোর হলে সে নিজেই অন্য মানুষের কাছে বলে বেড়াতে লাগল—হে অমুক, জানো, রাতে আমি এ কাজ করেছি। সারা রাত মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তির গুনাহটি গোপন রাখলেন আর ভোর হওয়ামাত্রই আল্লাহর ঢেকে রাখা বিষয়টি
সেই ব্যক্তি নিজেই প্রকাশ করে দিল।’ (বুখারি)
অন্য হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘এক লোক রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমি মদিনা থেকে দূরবর্তী এক স্থানে এক নারীর সঙ্গে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছি। সুতরাং আমাকে আমার প্রাপ্য শাস্তি দিন।’ তখন ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বললেন, ‘আল্লাহ তো তোমার পাপ গোপন রেখেছিলেন, তবে কেন তুমি তা গোপন রাখলে না?’ (মুসলিম)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
১২ আগস্ট ২০২৫পবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
১২ আগস্ট ২০২৫ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ আগস্ট ২০২৫আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১১ আগস্ট ২০২৫